খুলনা রূপসায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুই বীর শহীদের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
আজিজুল ইসলাম, খুলনা –
মহান বিজয়ের মাসে সকল শহিদ মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে আজ ২ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় পূর্ব রূপসায় শায়িত শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীর বিক্রম মহিবুল্লাহ’র মাজারে খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাদিকুর রহমান খান, রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবাইয়া তাছনিম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবির, খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহবুবার রহমান, রূপসা থানা ওসি তদন্ত মোঃ সিরাজুল ইসলাম, নৈহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন বুলবুল, এলজিইডি খুলনার সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত বিশ্বাস, রূপসা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম মাহবুবুর রহমান, সময়ের খবর স্টাফ রিপোর্টার আল মাহমুদ প্রিন্স, এলজিইডি রূপসার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু সালেহ মুসা আশিক, রূপসা বাসস্ট্যান্ড পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন, ইউপি সদস্য সেখ ইলিয়াজ হোসেন, রূপসা উপজেলার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল জলিল, সাঁর্ট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর রাজিব হাসান মুন্না, পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা মাঝি সংঘের সভাপতি মোঃ রেজা ব্যাপারী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাৎ ব্যাপারী প্রমুখ।
ঐতিহ্যে আধুনিকতায় ৫২ বছরের পথচলায় খুলনা বেতার কেন্দ্র।
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা
৪ ডিসেম্বর খুলনা বেতারের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭০ সালের আজকের এই দিনে সামান্য ক’জন কর্মী নিয়ে, খুলনাবাসীকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে স্বপ্নযাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র। ঐতিহ্যে, আধুনিকতায় এ অভিযাত্রার প্রতিটি আয়োজনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের শ্রোতাদের সাথে খুলনা বেতার গড়েছে হৃদয়ের সেতুবন্ধন। শুরু থেকে এ পর্যন্ত বহু সংখ্যক নতুন ধারণার অনুষ্ঠান শ্রোতাদের উপহার দিয়েছে। অনেক অনুষ্ঠান যুগের পর যুগ পেরিয়ে এখনও চলছে শ্রোতাদের ভাললাগা-ভালবাসায়। ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে আসছে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র।
বর্তমান আঞ্চলিক পরিচালক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে খুলনা বেতারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক অনুষ্ঠান নির্মাণের উপর জোর দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বাধুনিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে এখন অনুষ্ঠান তৈরি করা হচ্ছে, যা ফেসবুকের মাধ্যমে মুহূর্তেই পৌঁছে যাচ্ছে লাখ লাখ শ্রোতার কাছে। নির্মাণ করা হচ্ছে ইউটিউবভিত্তিক কনটেন্ট। আর এসব নতুন নতুন উদ্ভাবনের ভেতর দিয়ে খুলনা বেতার অব্যাহত রেখেছে তার গৌরবময় অভিযাত্রা। প্রথম দিন যে নতুনত্বের মালা গেঁথেছিল, আজও তা গেঁথে চলেছে খুলনা বেতার। সত্তরের দশকে খুলনা শহরের বুক চিরে সরু রাস্তার গন্তব্য ছিল নির্জন বিল এলাকা গল্লামারি। গল্লামারী ব্রীজ পার হয়ে কিছুটা দূরে বর্তমানের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনটিই ছিল খুলনা বেতারের প্রথম ভবন। আঞ্চলিক পরিচালক ইব্রাহিম আখন্দ’র নেতৃত্বে সহকারি পরিচালক আব্দুল মালেক, অনুষ্ঠান সংগঠক গোলাম কবির ও কাজী মাহমুদুর রহমান এবং অনুষ্ঠান প্রযোজক সামছুর আলী বিশ্বাস ও মুন্সি আহসান কবীর-শিল্পী সংগ্রহ থেকে শুরু করে অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় নতুন নতুন সৃষ্টির আনন্দে দিন-রাত এক করে ফেলতেন। অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে পরে এসে যোগ দিয়েছিলেন আব্দুস সাত্তার শেখ ও ওয়ালিউর রহমান। সংবাদ অনুবাদক ও পাঠক আহমদ আলী খান, লিয়াকত আলী ও হুমায়ুন কবির বালু, সঙ্গীত প্রযোজক আব্দুল হালিম চৌধুরী, সৈয়দ নুরুল ইসলাম মুফতি ও আব্দুল মজিদ এবং নাট্য প্রযোজক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন নানা সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে অনুষ্ঠানের মান শ্রোতাপ্রিয় করতে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় মগ্ন থাকতেন।
প্রায় ৪০ জন সঙ্গীত শিল্পী আর ২০ জন নাট্যশিল্পী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র। কথকও ছিলেন মুষ্টিমেয় কয়েকজন। অনুষ্ঠান ঘোষণায় ছিলেন রেহানা আখতার, সুরাইয়া বেগম ও জহির শমসেরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আহসান আরা রুমী, জেবুন্নেসা বেগম, সেলিনা বিলকিস আনার, শেখ আব্দুস সালাম, শেখ বজলার রহমান, শাহ্ মোহাম্মদ ইয়াসীন, শাম্মী আখতার। যন্ত্র সঙ্গীতে ছিলেন শেখ আলী আহম্মেদ, দুলাল চন্দ্র শীল, ফজলে আকবর, মোঃ সাদ্তকী ও আব্দুল মজিদ। অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে খুলনা বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে অনুপ্রাণিত হয়ে খুলনা বেতার রেডিও পাকিস্তান নামটি বর্জন করে স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে। খুলনা বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধিকার আন্দোলনের স্বপক্ষে গান, কবিতা, সংবাদ, কথিকা প্রচারিত হতে থাকে এবং পাকিস্তান জিন্দাবাদ-এর পরিবর্তে জয় বাংলা ধ্বনি প্রচার শুরু হয়।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গল্লামারীর নির্জন বিল এলাকায় যে গণহত্যা সংগঠিত হয় খুলনা বেতার তার নীরব সাক্ষী। ২৫ মার্চ ১৯৭১-এ গল্লামারী বেতার ভবনের পুলিশ ব্যারাক পাকিস্তানি সৈন্যরা দখল করে নেয় এবং সেখানে ঘাঁটি স্থাপন করে। মুক্তিযুদ্ধের পুরো ন’মাস বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গণহত্যা চালিয়ে বাংলাদেশে যে অসংখ্য বধ্যভূমি সৃষ্টি করেছিল খুলনার গল্লামারী তার অন্যতম। প্রতিদিন ট্রাক বোঝাই করে হাত-পা-চোখ বেঁধে অসংখ্য বন্দীকে আনা হতো গল্লামারীতে। খালের পাড়ে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করা হতো তাদের। এরপর তারা আর গুলি খরচ করতো না। ট্রাক বোঝাই বন্দীদের সাথেই নিয়ে আসতো দু’তিনজন বিহারী কসাই। জল্লাদরা বন্দীদের জবাই করে খালের পানিতে ফেলে দিত। তাদের করুণ চিৎকারে কেঁপে উঠতো আকাশ-বাতাস। ৪ এপ্রিল ১৯৭১-এ খুলনা বেতার কেন্দ্র দখলের যুদ্ধে পাকিস্তানি হায়েনাদের আক্রোশের শিকার হয়ে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন-জয়নুল আবেদীন, মোঃ মোসলেম আলী ও মোঃ হাবিবুর রহমান। আত্মসমর্পনের আগে ১৫ ও ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী সারা খুলনা শহরে চালায় নারকীয় হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সেতু, কালভার্টসহ তারা খুলনা বেতারের ট্রান্সমিটার, ষ্টুডিও, যন্ত্রপাতি, টেপ,নথিপত্র সবকিছুই ডিনামাইট দিয়ে ধ্বংস করে ফেলে। স্তব্ধ হয়ে পড়ে খুলনা বেতার। বিজয় বর্ষণে সিক্ত খুলনা বেতার কেন্দ্র অবশেষে সচল হয় রংপুর বেতার কেন্দ্র থেকে ১ কিলোওয়াট শক্তির ট্রান্সমিটার সংস্থাপন করে। ২৬শে মার্চ ১৯৭৩। খুলনা বেতার থেকে প্রচার শুরু হল নিজস্ব অনুষ্ঠান। সময়ের হিসেবে সামান্য ৫৫ মিনিট! অথচ কী অসামান্য প্রেরণা! কী মার্জিত প্রকাশ! চারপাশের প্রশংসা, মূল্যায়ন আর নিজের দায়বদ্ধতা থেকে নিজস্ব অনুষ্ঠানের ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হল। ৫৫ মিনিট ছাড়িয়ে নিজেদের অনুষ্ঠান প্রচারের সময় দাঁড়ালো ৪ ঘন্টায়। তখনও খুলনা বেতারের শ্রোতা বাঁধা পড়ে ছিল ১০ মাইলের চৌহদ্দিতে। ১৯শে এপ্রিল ১৯৭৬। ১০ মাইলের চৌকাঠ পেরিয়ে ৩৫ মাইলের শ্রোতার কানে পৌঁছালো খুলনা বেতার-আয়োজন। যে শব্দের যাত্রা শুরু হয়েছিল গল্লামারির ছোট্ট ভবন থেকে সে ঠিকানা পেল শহরের প্রাণকেন্দ্রে। বাড়লো শক্তির প্রখরতা।স্বাধীনতার পর চৌকস অফিসারসহ এক ঝাঁক গুণী মানুষ যোগ দেন খুলনা বেতারে। অনুষ্ঠানে আসে নতুনত্ব। সঙ্গীত, নাটক, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের অতুলনীয় নির্মাণ, স্বর্ণালী সে দিনগুলোতে খুলনা বেতারকে রাঙিয়ে তুললো ভিন্ন রঙে। অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে উঠলো খুলনা বেতারের অনুষ্ঠানমালা। সেসময় খুলনা বেতারের অনুষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করেছেন সাধন সরকার, অচিন্ত্য কুমার ভৌমিক, প্রণব ঘোষ, কবিয়াল বিজয় সরকার, রণজিৎ দেবনাথ, শামছুদ্দিন আহমেদ, মালেক চিশতি, কালিপদ দাস, বিনয় রায়, সাধন ঘোষ, ফরিদা পারভীন, আবু জাফর, শাম্মী আখতার, নাসির হায়দার, গোলাম মোস্তফা সিন্দাইনী, আনোয়ারুল কাদির, খালিদ হাসান মিলু, আব্দুস সবুর খান চৌধুরী, লায়লা বিলকিস খান চৌধুরী, মোখলেসুর রহমান বাবলু, আনোয়ার কবির, নাসিরুজ্জামান, শাহ আলম বাদল, রেশমা চৌধুরী, হামিদুর রহমান, সাহিদা আক্তার পুতুল, অপূর্ব রায়, অশোক কুমার দে, গুরুপদ গুপ্ত, নাসির জবেদ, সাইদুর রহমান সাইদ, মাজেদ জাহাঙ্গীর, গাজী আব্দুল হাকিম, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ গোলাম মোস্তফা, দেলোয়ার হোসেন, শেখ আফজাল হোসেন, মোর্তজা আহমেদ বাবু, লুৎফুন নাহার লতা, বীণা মজুমদার, হাসান আলী, মোঃ আকরামুজ্জামান, সেগুফতা আহমেদ, সেলিনা আক্তার নার্গিস প্রমূখ।
নব্বই এর দশকের শেষদিকে সহকারি পরিচালক সামছুর আলী বিশ্বাস তুলে আনলেন বিপ্লব রহমান, বদরুদ্দোজা আলমাজী, ড. সাঈদুর রহমান, নাজমুল হক লাকি, মারজুক রাসেল, তৌহিদ হাসান ফারুকী, নাহিদ সুলতানা, লুবনা হাসনা ফারুক, হাসান ইমাম আলমাজী, প্রিয়াংকা বিশ্বাস, জান্নাতুল পিয়া, প্রমিত হোসেন, বাপ্পী আশরাফসহ আরো কিছু প্রতিভাবান তরুণ-তরুণীকে। যারা সৃষ্টি সুখের উল্লাসে একের পর এক নির্মাণ করেছেন বৈচিত্র্যে ভরা অলংকারসমৃদ্ধ অনুষ্ঠানমালা। জাতীয় পর্যায়েও তাঁরা সমান অবদান রেখে চলেছেন। ১লা জুলাই ১৯৭৯। সর্বাধুনিক ব্রডকাস্টিং হাউজ হিসেবে খুলনার বয়রায় গড়ে ওঠে বাংলাদেশ বেতার কর্তৃক নির্মিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ বেতার ভবন। স্টুডিও ৪টি। সেখানে সারাক্ষণ চলছে শব্দের ভাঁঁজে তথ্যের সন্ধি, স্বরের সঙ্গে সুরের কাব্যিক মাত্রা, মনের অচেনা গলিতে অযান্ত্রিক অনুভূতির উপস্থাপন। সেইসাথে উৎকীর্ণ শ্রোতার সমান্তরাল যাত্রা। খুলনা বেতার থেকে উচ্চারিত প্রতিটি বাক্যের প্রতিধ্বনি যেন পূর্ণতা পায় একেকটি দৃশ্যকল্পে। সেখানে চিত্রিত হয় নির্মোহ দৃষ্টির ইতিহাস। মাইক্রোফোনে প্রাণ পায় পরিবেশের বেপরোয়া আর্তনাদ, প্রকৃতির পূর্বাভাস। বন্দি হয় ধর্মের খোলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে মানবিক সমাজের সচকিত উচ্চারণ। শ্রুতিমধুর বাক্যগঠন চিনিয়ে দেয় বাণিজ্যের সওদাগর থেকে চিলেকোঠার সেপাই জীবন। উপলব্ধির বৈচিত্র্য পূর্ণতা পায় দৃষ্টিপাতে। রূপায়িত হয় স্বাস্থ্যের মানচিত্র। এসবই খুলনা বেতারের নিত্যদিনের পরিবেশনা। পরিকল্পিত কাঠামো, নিখুঁত বুননে বাঁধা পড়ে শ্রোতার ইচ্ছেপূরণের প্রার্থনা। আয়োজনের আবশ্যিক উপাদান হয়ে ওঠে খেলা, তারুণ্য, বিজ্ঞান, কৃষির তত্ত্বতালাশ। অগণিত শ্রোতার কাঙ্খিত তথ্যের খোঁজে পাড়ি জমাতে হয় বিশ্বগ্রামে, দরজার ওপাশে। বিমূর্ত হয়ে ওঠে নারীর অন্দরমহলের ক্যানভাস। রচিত হয় শিশুদের আগামির মঞ্চকথা। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার প্রশ্নে গণমাধ্যমের ভূমিকার জায়গাটুকুতে সবসময় তৎপর খুলনা বেতার।