Dhaka ১২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে জামায়াত নেতা হত্যা মামলায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও এসপিসহ আসামি-১৯

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:২১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭১ Time View

মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরে জামায়াত নেতা তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, তৎকালীন মেহেরপুর পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলামসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর), দুপুরের দিকে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহারের আদালতে জামায়াত নেতা তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের ভাই তাওফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত মেহেরপুর সদর থানাকে এফআইআর এর নির্দেশ দেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান, এএসপি আব্দুল জলিল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোমিন মজুমদার, সদর এসিল্যান্ড ফরিদ হোসেন, গাংনী র‍্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন আশরাফ হোসেন, ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম, বুড়িপোতা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক আসাদ মিয়া, ডিবি’র ওসি বাবুল আক্তার, সদর থানার ওসি রিয়াজুল ইসলাম, ওসি তদন্ত তরিকুল ইসলাম, এএসআই আব্দুল হান্নান, কনস্টেবল সাধন কুমার, নারদ কুমার, ডিবির কনস্টেবল জিল্লুর রহমান, সাবেক সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন ও ইউপি সদস্য দরুদ আলী।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০১৪ সালে তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মেহেরপুর জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারী ছিলেন। পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা থাকায় ভিন্নমতের নেতৃত্বকে সমূলে বিনাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সাইফুল ইসলামকে হত্যা করে।
গত ১৯শে জানুয়ারি-২০২৪ দুপুরের দিকে ব্যক্তিগত কাজে সাইফুল ইসলাম মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার ইসলামী ব্যাংকের নিকটে গেলে আসামি বারিকুল ইসলাম লিজন ও ইউপি সদস্য দরুদ আলী বিষয়টি সাবেক জন্যপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রসুলকে জানায়।
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সুপারিশে তৎকালীন পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলামের নির্দেশে মামলার অন্যান্য আসামিরা তারিককে আটক করলে তারিকের স্ত্রী তার সন্ধানে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গেলে পুলিশ সুপার আটক এর বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ সময় তারিককে গোপন স্থানে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় আসামিরা।
পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মেহেরপুর বামনপাড়া শ্মশানঘাট এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের নামে একাধিক গুলি করে তারিককে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে থেকে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে তারিকের লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবারের কাছে দেওয়া হয়নি। এমনকি মামলা না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয় এবং লাশ দাফনের নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশেষে গত ৫ আগস্ট-২০২৪ শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর দেশের দায়িত্ব নেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এমতবস্থায় ন্যায় বিচারের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে লক্ষ্যে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে মামলা দায়ের করেন জামায়াত নেতা তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের ভাই তাওফিকুল ইসলাম

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

মেহেরপুরে জামায়াত নেতা হত্যা মামলায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও এসপিসহ আসামি-১৯

Update Time : ১২:২১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরে জামায়াত নেতা তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, তৎকালীন মেহেরপুর পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলামসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর), দুপুরের দিকে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহারের আদালতে জামায়াত নেতা তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের ভাই তাওফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত মেহেরপুর সদর থানাকে এফআইআর এর নির্দেশ দেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান, এএসপি আব্দুল জলিল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোমিন মজুমদার, সদর এসিল্যান্ড ফরিদ হোসেন, গাংনী র‍্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন আশরাফ হোসেন, ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম, বুড়িপোতা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক আসাদ মিয়া, ডিবি’র ওসি বাবুল আক্তার, সদর থানার ওসি রিয়াজুল ইসলাম, ওসি তদন্ত তরিকুল ইসলাম, এএসআই আব্দুল হান্নান, কনস্টেবল সাধন কুমার, নারদ কুমার, ডিবির কনস্টেবল জিল্লুর রহমান, সাবেক সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন ও ইউপি সদস্য দরুদ আলী।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০১৪ সালে তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মেহেরপুর জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারী ছিলেন। পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা থাকায় ভিন্নমতের নেতৃত্বকে সমূলে বিনাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সাইফুল ইসলামকে হত্যা করে।
গত ১৯শে জানুয়ারি-২০২৪ দুপুরের দিকে ব্যক্তিগত কাজে সাইফুল ইসলাম মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার ইসলামী ব্যাংকের নিকটে গেলে আসামি বারিকুল ইসলাম লিজন ও ইউপি সদস্য দরুদ আলী বিষয়টি সাবেক জন্যপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রসুলকে জানায়।
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সুপারিশে তৎকালীন পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলামের নির্দেশে মামলার অন্যান্য আসামিরা তারিককে আটক করলে তারিকের স্ত্রী তার সন্ধানে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গেলে পুলিশ সুপার আটক এর বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ সময় তারিককে গোপন স্থানে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় আসামিরা।
পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মেহেরপুর বামনপাড়া শ্মশানঘাট এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের নামে একাধিক গুলি করে তারিককে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে থেকে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে তারিকের লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবারের কাছে দেওয়া হয়নি। এমনকি মামলা না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয় এবং লাশ দাফনের নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশেষে গত ৫ আগস্ট-২০২৪ শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর দেশের দায়িত্ব নেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এমতবস্থায় ন্যায় বিচারের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে লক্ষ্যে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে মামলা দায়ের করেন জামায়াত নেতা তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের ভাই তাওফিকুল ইসলাম