“কিশোরগঞ্জে রাসায়নিক সারের তীব্র সঙ্কট কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে”
রতন কুমার রায়, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী):
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় রাসায়নিক সারের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত সার কৃষকদের মধ্যে বিতরণ না করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের যোগসাজসে বিসিআইসি ডিলাররা সেই সার দ্বিগুণ দামে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। কৃষকরা অবশেষে ডিলাদের কাছে সার না পেয়ে সরকারিভাবে নির্ধারিত ৭৫০ টাকার এমওপি (পটাশ) সার এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায় কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি মাগুরা ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মোজাহারুল ইসলাম কৃষকদের সার না দিয়ে সেই সার ট্রাকে করে বাইরে পাচার করার সময় ৪১৮ বস্তা সার আটক করে এলাকাবাসী।বড়ভিটা ইউনিয়নে বড়ডুমুরিয়া পাইকারটারী গ্রামের কৃষক আব্দুল মাসুদ জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সরকারীভাবে বিতরণকৃত ৭৫০ টাকার সার ১৪০০ টাকায় ক্রয় করেছে।
মাগুড়া ইউনিয়নের কৃষক রহিদুল ইসলাম ও সবুর আলী বলেন, আমরা জমি প্রস্তুত করে দিনের পর দিন ঘুরেও সার পাচ্ছি না। অথচ আমাদের ইউনিয়নের ডিলার মোজাহারুল ইসলাম আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত সার বেশি দামে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। সারের সরকারি মূল্য যেখানে ৭৫০ টাকা, ডিলার কৌশল করে হাতিয়ে নিচ্ছে এক হাজার ৪০০ টাকা।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ৭৫০ টাকা মূল্যের পটাস এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ সময় খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা বাইরে থেকে বেশি দামে পটাশ কিনতে বাধ্য হচ্ছি। তাই বেশি দামেই সার বিক্রি করতে হচ্ছে।
মাগুড়া ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মোজাহারুল ইসলামের কাছে বরাদ্দকৃত সার অন্যত্র বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ওই সারগুলো বাইরে থেকে কিনে এনেছিলাম। এগুলো সরকারি বরাদ্দের সার নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কিশোরগঞ্জ বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, সরকারিভাবে যে সার বরাদ্দ হয় তা আগেভাগেই ভাগ বাটোয়ারা হয়ে যায়। অনেকেই বেশি করে সার নিয়ে তা বেশি দামে বিক্রি করে দেয়।
উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে একজন করে বিসিআইসি ডিলার রয়েছেন। এসব ডিলারের মধ্যে চলতি মাসে রাসায়নিক সার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ডিলার প্রতি এমওপি ১৪ দশমিক ২০ মেট্রিক টন, টিএসপি ২ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন ও ডিএপি ১০ দশমিক ৫ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে এবার আগাম ও নাবীজাতের আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকরা আগাম আলু চাষ করার জন্য জমি প্রস্তুত করে রেখেছেন। কিন্তু জমিতে সঠিক সময়ে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে না পেরে আগাম আলু চাষ বিলম্বিত হয়ে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা বলেন, সরকারিভাবে যে পরিমাণ সার বরাদ্দ দেয়া হয় তা আসার সাথে সাথেই হাওয়া হয়ে যায়। আমরা কৃষি কর্মকর্তা ও ডিলারদের গোডাউনে দিনের পর দিন ঘুরেও সার পাচ্ছি না। অথচ বাইরে থেকে অধিক মূল্যে সেই সার সহজেই কিনতে পাওয়া যায়।
পুটিমারী ইউনিয়নের প্রান্তিক চাষি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আলু চাষের জন্য আমি এবার সাত বিঘা জমি প্রস্তুত করেছি। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে পটাস সারের জন্য আমার ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলারের কাছে ধরনা দিয়ে পাইনি। সাত বিঘা জমিতে আমার পটাস সারের প্রয়োজন চার বস্তা। ডিলার আমাকে দিয়েছেন মাত্র এক বস্তা সার। বাকি তিন বস্তা সার দ্বিগুণ দামে খুচরা বাজার থেকে কিনতে হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, সারের কোনো সঙ্কট নেই। পর্যাপ্ত সার রয়েছে। তাহলে কৃষকরা দিনের পর দিন ডিলারের কাছে কেনো ধরনা দিয়েও সার কেন পাচ্ছেন না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বরাদ্দ আসার সাথে সাথে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। খুচরা বাজারে বেশি দামে সার বিক্রির বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। মাগুড়া ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মোজাহারুল ইসলামের সার পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই ডিলারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ৭৫০ টাকা মূল্যের পটাস এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ সময় খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা বাইরে থেকে বেশি দামে পটাশ কিনতে বাধ্য হচ্ছি। তাই বেশি দামেই সার বিক্রি করতে হচ্ছে।
মাগুড়া ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মোজাহারুল ইসলামের কাছে বরাদ্দকৃত সার অন্যত্র বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ওই সারগুলো বাইরে থেকে কিনে এনেছিলাম। এগুলো সরকারি বরাদ্দের সার নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কিশোরগঞ্জ বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, সরকারিভাবে যে সার বরাদ্দ হয় তা আগেভাগেই ভাগ বাটোয়ারা হয়ে যায়। অনেকেই বেশি করে সার নিয়ে তা বেশি দামে বিক্রি করে দেয়।
উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে একজন করে বিসিআইসি ডিলার রয়েছেন। এসব ডিলারের মধ্যে চলতি মাসে রাসায়নিক সার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ডিলার প্রতি এমওপি ১৪ দশমিক ২০ মেট্রিক টন, টিএসপি ২ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন ও ডিএপি ১০ দশমিক ৫ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে এবার আগাম ও নাবীজাতের আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকরা আগাম আলু চাষ করার জন্য জমি প্রস্তুত করে রেখেছেন। কিন্তু জমিতে সঠিক সময়ে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে না পেরে আগাম আলু চাষ বিলম্বিত হয়ে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা বলেন, সরকারিভাবে যে পরিমাণ সার বরাদ্দ দেয়া হয় তা আসার সাথে সাথেই হাওয়া হয়ে যায়। আমরা কৃষি কর্মকর্তা ও ডিলারদের গোডাউনে দিনের পর দিন ঘুরেও সার পাচ্ছি না। অথচ বাইরে থেকে অধিক মূল্যে সেই সার সহজেই কিনতে পাওয়া যায়।
পুটিমারী ইউনিয়নের প্রান্তিক চাষি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আলু চাষের জন্য আমি এবার সাত বিঘা জমি প্রস্তুত করেছি। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে পটাস সারের জন্য আমার ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলারের কাছে ধরনা দিয়ে পাইনি। সাত বিঘা জমিতে আমার পটাস সারের প্রয়োজন চার বস্তা। ডিলার আমাকে দিয়েছেন মাত্র এক বস্তা সার। বাকি তিন বস্তা সার দ্বিগুণ দামে খুচরা বাজার থেকে কিনতে হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, সারের কোনো সঙ্কট নেই। পর্যাপ্ত সার রয়েছে। তাহলে কৃষকরা দিনের পর দিন ডিলারের কাছে কেনো ধরনা দিয়েও সার কেন পাচ্ছেন না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বরাদ্দ আসার সাথে সাথে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। খুচরা বাজারে বেশি দামে সার বিক্রির বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। মাগুড়া ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মোজাহারুল ইসলামের সার পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই ডিলারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রতন কুমার রায়
প্রার্থী – ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
০১৭৬৪৭৬৩১৬১