Dhaka ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে সাংবাদিক কে অপহরণ করে সাদা স্টামে স্বাক্ষর নেয়ার ঘটনায় স্টাম উদ্ধারে আরেকটি মামলা 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ৪২ Time View
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: সাংবাদিক অপহরণ কারীরা পুলিশের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও এবার নন জুডিশিয়াল সাদা স্টামে স্বাক্ষর নেয়া স্টাম দিয়ে   সাংবাদিক কে হেনস্থা করার জন্য মিথ্যা মামলায় জড়ানোর পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  ফলে বাদী হয়ে সাংবাদিক রাকিবুল স্টাম উদ্ধারের জন্য আদালতে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা ও বাদী সূত্রে জানা যায়,  সাংবাদিক রাকিবুল হাসানের পরিবারের সঙ্গে বজলুর রহমানের পরিবারের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসে। এক পর্যায় গত ৩ নভেম্বর/২০২৪ ইং উক্ত সাংবাদিক চীফ জুডিশিয়াল আদালতে কাজ শেষে ফেরার পথে বজলুর ও আনোয়ার এর ভাড়াটিয়া ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আদালত গেট হতে তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে চোখ বেঁধে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণ করে পাশ্ববর্তী ভেলাকোপার চরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারপিট করে ১০টি সাদা স্টামে স্বাক্ষর, পকেটে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা, ও মুক্তিপণের জন্য উক্ত সাংবাদিকের ব্যবহিত ফোন দিয়ে অপহৃত সাংবাদিকের পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবি করেন। পরবর্তীতে অপহৃত সাংবাদিকের পরিবার নিরুপায় হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অবগত করলে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইন্সপেক্টর ) নাজমুল আলম তাৎক্ষণিকভাবে এসআই মনোয়ার হোসেন কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিলে উক্ত এসআই এর নেতৃত্বে তার কয়েকজন সঙ্গীয় ফোর্স বাদ পক্ষের সহযোগিতায় কৌশলে অপহৃত সাংবাদিককে  উদ্ধার সহ সিফাত আহমেদ নামক ১ জন আসামিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে এবং তাকে প্রাথমিক ভাবে জিঙ্গাসা করলে সে শফিকুল (বিদেশী), রুবেল, লাভলুসহ ১০/১২ জন অপহরণের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে জানান এমনটাই তথ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ মনোয়ার হোসেন গ্ৰেফতারকৃত আসামির কাছে সঠিক তথ্য উদঘাটনের জন্য ১১নভেম্বর বিজ্ঞ আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  তবে রিমান্ডে থাকা আসামী  কি তথ্য দিয়েছে মামলার তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। এদিকে দীর্ঘ ২১ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ নন জুডিশিয়াল সাদা সাদা স্টাম সহ অন্য আসামিদের কে গ্ৰেফতার করতে না পারেনি । তবে পুলিশ বলছে আসামে গ্রেফতারের জন্য তারা চেষ্টা চালাচ্ছে। বাদীপক্ষ জানান, আসামি পক্ষ বলছে অপহরণ করে কিছুই করতে পারিনি এবার স্টাম দিয়ে মামলা করে উচিত শিক্ষা দিব। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে বাদী রাকিবুল হাসান কুড়িগ্রাম অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল আদালতে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) নন জুডিশিয়াল স্টাম উদ্ধারের জন্য অপহরণ কারীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। বাদী রাকিবুল হাসান সাংবাদিকদের জানান আসামিরা  বারবার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে এবং আমার পরিবার কে মিথ্যা মামলায় জড়ানোৎ স্বয়ংসহ নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এ অবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ মনোয়ার হোসেন জানান,  ইতিমধ্যে একজন আসামি কে গ্ৰেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের কে গ্ৰেফতারের জন্য জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

কুড়িগ্রামে সাংবাদিক কে অপহরণ করে সাদা স্টামে স্বাক্ষর নেয়ার ঘটনায় স্টাম উদ্ধারে আরেকটি মামলা 

Update Time : ০৮:০৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: সাংবাদিক অপহরণ কারীরা পুলিশের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও এবার নন জুডিশিয়াল সাদা স্টামে স্বাক্ষর নেয়া স্টাম দিয়ে   সাংবাদিক কে হেনস্থা করার জন্য মিথ্যা মামলায় জড়ানোর পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  ফলে বাদী হয়ে সাংবাদিক রাকিবুল স্টাম উদ্ধারের জন্য আদালতে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা ও বাদী সূত্রে জানা যায়,  সাংবাদিক রাকিবুল হাসানের পরিবারের সঙ্গে বজলুর রহমানের পরিবারের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসে। এক পর্যায় গত ৩ নভেম্বর/২০২৪ ইং উক্ত সাংবাদিক চীফ জুডিশিয়াল আদালতে কাজ শেষে ফেরার পথে বজলুর ও আনোয়ার এর ভাড়াটিয়া ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আদালত গেট হতে তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে চোখ বেঁধে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণ করে পাশ্ববর্তী ভেলাকোপার চরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারপিট করে ১০টি সাদা স্টামে স্বাক্ষর, পকেটে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা, ও মুক্তিপণের জন্য উক্ত সাংবাদিকের ব্যবহিত ফোন দিয়ে অপহৃত সাংবাদিকের পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবি করেন। পরবর্তীতে অপহৃত সাংবাদিকের পরিবার নিরুপায় হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অবগত করলে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইন্সপেক্টর ) নাজমুল আলম তাৎক্ষণিকভাবে এসআই মনোয়ার হোসেন কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিলে উক্ত এসআই এর নেতৃত্বে তার কয়েকজন সঙ্গীয় ফোর্স বাদ পক্ষের সহযোগিতায় কৌশলে অপহৃত সাংবাদিককে  উদ্ধার সহ সিফাত আহমেদ নামক ১ জন আসামিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে এবং তাকে প্রাথমিক ভাবে জিঙ্গাসা করলে সে শফিকুল (বিদেশী), রুবেল, লাভলুসহ ১০/১২ জন অপহরণের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে জানান এমনটাই তথ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ মনোয়ার হোসেন গ্ৰেফতারকৃত আসামির কাছে সঠিক তথ্য উদঘাটনের জন্য ১১নভেম্বর বিজ্ঞ আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  তবে রিমান্ডে থাকা আসামী  কি তথ্য দিয়েছে মামলার তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। এদিকে দীর্ঘ ২১ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ নন জুডিশিয়াল সাদা সাদা স্টাম সহ অন্য আসামিদের কে গ্ৰেফতার করতে না পারেনি । তবে পুলিশ বলছে আসামে গ্রেফতারের জন্য তারা চেষ্টা চালাচ্ছে। বাদীপক্ষ জানান, আসামি পক্ষ বলছে অপহরণ করে কিছুই করতে পারিনি এবার স্টাম দিয়ে মামলা করে উচিত শিক্ষা দিব। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে বাদী রাকিবুল হাসান কুড়িগ্রাম অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল আদালতে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) নন জুডিশিয়াল স্টাম উদ্ধারের জন্য অপহরণ কারীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। বাদী রাকিবুল হাসান সাংবাদিকদের জানান আসামিরা  বারবার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে এবং আমার পরিবার কে মিথ্যা মামলায় জড়ানোৎ স্বয়ংসহ নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এ অবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ মনোয়ার হোসেন জানান,  ইতিমধ্যে একজন আসামি কে গ্ৰেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের কে গ্ৰেফতারের জন্য জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে