“কুড়িগ্রামের উলিপুরে মাইশা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।”
আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি –
কুড়িগ্রামের উলিপুরে শিশু মারুফা জাহান মাইশা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের গবামোড়ে উলিপুরের সচেতন নাগরিকের ব্যানারের ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন হয়।মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, উলিপুর বণিক সমিতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর মর্জিনা বেগম, নারী সংগঠনের উদ্যোক্তা ফরিদা ইয়াসমিন, সমাজকর্মী মোতলেবুর রহমান, মাসুম করিম প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিশু মাইশার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, সেই চিকিৎসকদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মাইশার মত আর কোনো বাবা-মায়ের সন্তানদের জীবন যেন এমন ডাক্তার নামক কসাইদের হাতে না যায়। আর কোনও বাবা-মাকে যেন এভাবে সন্তান হারা হওয়া না লাগে। এ সময় তারা মাইশা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবী জানান।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে মাইশা নামে কুড়িগ্রামের এক শিশুর হাতের আঙুলের অপারেশন করার সময় শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে সেদিনই শিশুটির মরদেহ নিয়ে কুড়িগ্রামে ফিরে আসে তার বাবা-মা। দাফনের আগে শিশু মাইশার গোসল করানো নারীরা দেখতে পান, মাইশার নাভির নিচে পেট জুড়ে কেটে সেলাই করা। এ ঘটনা প্রকাশ হলে এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়। শিশুটির পরিবারের দাবি, হাতের অপারেশন করার সময় তাদের মেয়ের পেট কেন কাটা হয়েছে তা তারা জানেন না। এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানায় শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী।”
উলিপুরে প্রমিলা রাণীর অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন।
আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর প্রতিনিধি –
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ছেলের সাথে অভিমান করে প্রমিলা রাণী(৪৫) নামে এক মহিলা আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই পুটিয়ার পাড় গ্রামে। জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় গোড়াই পুটিয়ার পাড় গ্রামের বাবলু চন্দ্রের স্ত্রী প্রমিলা রাণী পারিবারিক বিষয়ে ছেলের সাথে অভিমান করে নিজ ঘরের আঁড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার(৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
“উলিপুরে সবজিতে স্বস্তি-ক্রেতার ভীড় দেখা যায়।”
আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর প্রতিনিধি –
কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার পৌরসভাধীন বড় সবজির বাজারে শীত কালীন সবজি প্রচুর পরিমাণ আমদানি হওয়ায় স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ছাড়ছেন সকল শেণীর ক্রেতারা। সবজি ক্রয় করতে ক্রেতার ভীড় দেখা যায়। সরেজমিন উপজেলার পৌরসভাধীন বড় সবজির বাজার সহ অন্যান্য ছোট বড় বাজার গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, সবজির বাজারে সবজির মূল্য প্রায় নিম্নগতি এবং হাতের লাগালে থাকায় সবজি ক্রেতার উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়। সারাদিন পাইকেরি ও খুচরায় সবজি বিক্রি করতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন সবজি ব্যাবসায়ীরা। তারা বলেন বর্তমান সবজির প্রচুর পরিমাণ আমদানি হওয়ায় দামও হাতের লাগালে থাকায় সকল শ্রেণির ক্রেতা বিভিন্ন ধরনের সবজি কিনছেন। পাইকারি দরে সবজি বিক্রেতারা জানান উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন ধরনের সবজি আমদানি হওয়ায় সবজির বাজার অনেক কমে গেছে। ক্রেতারা অনেক স্বস্তিতে সবজি কিনছেন বলে জানান তারা। উপজেলার পৌরসভাধীন বড় সবজির বাজারে সবজি পাইকেরিতে ও খুচরায় বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে আলু কেজি প্রতি ১৯ টাকা খুচরায় ২৫ টাকা, পাইকারিতে কেজি প্রতি মরিচ ২৫ টাকা খুচরায় কেজি প্রতি ৩৫ টাকা, পাইকারিতে কেজি প্রতি মুলা ৭ টাকা খুচরায় কেজি প্রতি ১০ টাকা, পাইকারিতে বেগুন ৮ টাকা খুচরায় ১২ টাকা, পাইকারিতে পাতা কপি প্রতি পিচ ২০ টাকা খুচরায় প্রতি পিচ ২৫ টাকা, পাইকারিতে ফুল কপি প্রতি কেজি ২৫ টাকা খুচরায় প্রতি কেজি ৩০ টাকা, পাইকারিতে পিয়াজ কেজি প্রতি ৪০ টাকা খুচরায় প্রতি কেজি ৫০ টাকা, পাতা পিয়াজ পাইকারিতে কেজি প্রতি ১৮ টাকা খুচরায় ২৫ টাকা, পাইকারিতে রসুন কেজি প্রতি ৬০ টাকা খুচরায় কেজি প্রতি ৭০ টাকা, পাইকেরিতে সিম কেজি প্রতি ৪০ টাকা খুচরায় কেজি প্রতি ৫০ টাকা, ধনে পাতা পাইকেরিতে কেজি প্রতি ৩০ টাকা খুচরায় কেজি প্রতি ৪০ টাকা এবং আদা পাইকেরিতে কেজি প্রতি ১০০ টাকা খুচরায় কেজি প্রতি ১২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
সবজি ক্রেতা উপজেলার ধরনিবারি ও তবকপুর থেকে আসা ফয়জার মিয়া (৬৫) এবং আজিমুদ্দিন (৭০) বলেন, কিছুদিন আগে সবজির বাজার এতই বেশি ছিল যে বাজারে সবজি কিনতে সাহস পাচ্ছিলাম না। তারা বলেন আমরা গরিব মানুষ টাকা আয় করতে পারিনা দাম বেশি থাকলে কিভাবে কিনে খাব। এখন বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম কমেছে অল্প টাকায় অনেক সবজি কিনতে পেরেছি। এরকম সবজির বাজার সারা বছর কম থাকলে আমাদের মত গরিব অসহায় মানুষ কিনে খেতে পারতাম বলে জানান তারা। পাইকেরিতে সবজি বিক্রেতা জয়নাল মিয়া বলেন, এখন বাজারে প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের সবজির আমদানি হয়েছে দামও হাতের লাগালে তাই ক্রেতার অনেক ভীড় দেখা যাচ্ছে। আমরা কিছুদিন আগে সবজি নিয়ে বসে ছিলাম কিন্তু দাম বেশি থাকায় ক্রেতার উপস্তিতি একদম কম ছিল। বর্তমান এতই ক্রেতার উপস্থিতি যে সারাদিন পাইকেরি ও খুচরায় বিক্রি করতে ব্যাস্ত সময় পার করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।”