Dhaka ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“কুড়িগ্রামের উলিপুরে সাত দিনব্যাপী তৃতীয় বার লোকজ উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:১৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৭০০ Time View

“কুড়িগ্রামের উলিপুরে সাত দিনব্যাপী তৃতীয় বার লোকজ উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি-

‘শেকড়ের সন্ধানে উৎসবে মাতি-চলো ফিরে যাই মাটির টানে’ এই স্লোগানকে ধারন করে কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৭দিনব্যাপী তৃতীয় বারের মতো লোকজ উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে।বুধবার (১১ জানুয়ারী ) দুপুরে শহীদ মিনার ও বিজয় মঞ্চ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে লোকজ উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ মতিন। উদ্বোধনের পর একটি আনন্দ শোভাযাত্রা পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার ও বিজয় মঞ্চ চত্বরে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় উলিপুর লোকজ সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি রথীন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, সহ-সভাপতি তপন সেন গুপ্ত, উদীচীর জাতীয় পরিষদ সদস্য মিনহাজ আহমেদ মুকুল, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান বাবু, উলিপুর বণিক সমিতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা, লেখক ও ইতিহাস বিষয়ক গবেষক আবু হেনা মুস্তফা, সমাজসেবক নজরুল ইসলাম, সুজনের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরআলম সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১ম দিন সন্ধ্যায় স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও গুণীজন সম্মাননা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য দিনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে পল্লীগীতি, জারীগান, কুশানগান অনুষ্ঠিত হবে। লোকজ মেলাটি ১১ জানুয়ারী থেকে শুরু হয়ে ১৭ জানুয়ারী শেষ হবে। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলবে লোকজমেলাটি।”

বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি চাষাবাদ হয় একবার।
মোঃ হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর ডিমলায় বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা হইতে দক্ষিন সুন্দর খাতা পর্যন্ত প্রায় কয়েক হাজার বিঘা কৃষি জমি বর্ষা মৌসুমে পতিত থাকে। স্থানীয় কৃষকরা আমন ধান রোপন করতে পারে না। ফলে প্রতিনিয়ত ঐ এলাকার কৃষকেরা অভাব অনটনের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করে। বর্ষার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের উৎসাহ উদ্দীপনার শেষ নেই। কেউ বোরো ধানের বীজতলার পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত আবার কেউ পতিত জমির আইল (মাল্লি) ছাটাই ও সেচ পাম্প দিয়ে পানি তুলে যান্ত্রিক টিলার দিয়ে হাল চাষে ব্যস্ত। পতিত কৃষি জমিতে কৃষকের পরিশ্রমে ফলবে সোনালী ফসল বোরো ধান । জানা যায়, বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা হইতে দক্ষিন সুন্দর খাতা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিঃ মিঃ বুড়ি তিস্তার বাঁধটি দেশ স্বাধীনের পূর্বে নির্মিত। ১৯৮৮ সালের প্রাকৃতিক দূয্যোর্গ বন্যার পানিতে কচুবাড়ীর দলার বাঁধের অংশ প্রায় ৬০ মিটার ভেঙ্গে যায়। এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও জমির মালিকগনের নিজস্ব অর্থায়নে বাঁধটি এক সময় বাঁধা হলেও পুণরায় উজানের পানির ঢলে ভেঙ্গে য়ায়। তখন থেকে এ অবধি বাঁধটির ভাঙ্গা অংশ দিয়ে উজানের ঢল ও বুড়িতিস্তা নদীর পানি ঢুকে ভুট্টাসহ আমন ও বোরো মৌসুমে রোপনকৃত বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। ৬০ মিটার ভাঙ্গা বাঁধটি সংস্কারের অভাবে এলাকার কৃষকদের প্রায় কয়েক হাজার বিঘা জমি পতিত থাকে বর্ষা মৌসুমে চাষাবাদের অনুপযুক্ত। বাঁধটি মেরামত সহ বুড়িতিস্তা নদী খননের দাবী এলাকাবাসীর। স্থানীয় কৃষক পাষান আলী জানান, বুড়িতিস্তা নদীর পশ্চিম পার্শ্বের বাঁধটি কিছু অংশ অনেকে আগে বন্যায় ভেঙ্গে যায়, নদীর পানি ঢুকে আমাদের জমিগুলোতে বর্ষা মৌসুমে আমন ধান রোপন করতে পারি না। বোরো ধানের আবাদ ছাড়া কিছুই হয়না জমিগুলোতে “বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে কৃষি জমি একবার হয় আবাদ, সে আবাদ দিয়ে কি আর সংসার চলে ”। জমির মালিক আব্দুল হামিদ জানান, বুড়িতিস্তা নদী খনন ও বাঁধটি সরকারী বরাদ্ধে মেরামত করা হলে পতিত জমিগুলোতে কৃষকেরা আমন-ইরি দুই ফসল উৎপাদিত করতে পারবে, তখন জমিগুলো এক ফসল থেকে দুই ফসলে রুপান্তরিত হবে । এতে এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবে। বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জমিগুলো বৎসরে একবার পতিত থাকে শুধু বোরো ধান চাষ হয়। বোরো ধানের উপর আর নির্ভরশীল না থেকে আমন মৌসুমে যাতে পতিত জমিগুলোতে কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারে সে জন্য নীলফামারী-০১ মাননীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকারের কাছে দৃষ্টি আর্কষন করছি । এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন, বাঁধটি মেরামত হলে জমিগুলো পতিত থাকবে না তখন আমন ধান রোপন করা সম্ভব। কৃষকেরা নিজেদের খাদ্য চাহিদা মিটেয়ে দেশের জনগনের খাদ্য চাহিদা পুরন করতে সক্ষম হবে এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। সরে জমিনে দেখা যায়,  বুড়িতিস্তা নদীর পূর্বপাশ ঘেষা কচুবাড়ীর দলার বাঁধটি সংস্কারের অভাবে মেরামত করা হয়নি। মেরামত না হওয়ায় নিজ সুন্দর খাতা, মধ্যম সুন্দর খাতা, দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামের প্রায় হাজার হাজার বিঘা জমি আমন ধান রোপন করতে পারে না  ফলে কৃষকদের জমিগুলো বর্ষা মৌসুমে পতিত থাকে। যার ফলে প্রতিনিয়ত কৃষকেরা অভাব অনটনের মধ্যে মানবেতর দিনাতিপাত করছে। পতিত জমিগুলোতে বোরো ধান চাষাবাদ করলেও বোরো ধানকাটা মৌসুমে বুড়িতিস্তা নদীর পানি বাঁধটির ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে বোরো ধান কাঁটা মৌসুমে চাষাবাদকৃত পাঁকা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বর্ষা মৌসুমে মধ্যম সুন্দর খাতা মাঝিয়ালীর ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যায়লয়টির মাঠ বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার ফলে বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। বাঁধটি বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ায় সুন্দর খাতা কচুবাড়ীর দলা হইতে খোকসারঘাট ব্রীজের উজানের কৃষি জমিগুলো বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর পতিত থাকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

“কুড়িগ্রামের উলিপুরে সাত দিনব্যাপী তৃতীয় বার লোকজ উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে।

Update Time : ০৬:১৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

“কুড়িগ্রামের উলিপুরে সাত দিনব্যাপী তৃতীয় বার লোকজ উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি-

‘শেকড়ের সন্ধানে উৎসবে মাতি-চলো ফিরে যাই মাটির টানে’ এই স্লোগানকে ধারন করে কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৭দিনব্যাপী তৃতীয় বারের মতো লোকজ উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে।বুধবার (১১ জানুয়ারী ) দুপুরে শহীদ মিনার ও বিজয় মঞ্চ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে লোকজ উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ মতিন। উদ্বোধনের পর একটি আনন্দ শোভাযাত্রা পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার ও বিজয় মঞ্চ চত্বরে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় উলিপুর লোকজ সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি রথীন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, সহ-সভাপতি তপন সেন গুপ্ত, উদীচীর জাতীয় পরিষদ সদস্য মিনহাজ আহমেদ মুকুল, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান বাবু, উলিপুর বণিক সমিতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা, লেখক ও ইতিহাস বিষয়ক গবেষক আবু হেনা মুস্তফা, সমাজসেবক নজরুল ইসলাম, সুজনের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরআলম সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১ম দিন সন্ধ্যায় স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও গুণীজন সম্মাননা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য দিনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে পল্লীগীতি, জারীগান, কুশানগান অনুষ্ঠিত হবে। লোকজ মেলাটি ১১ জানুয়ারী থেকে শুরু হয়ে ১৭ জানুয়ারী শেষ হবে। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলবে লোকজমেলাটি।”

বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি চাষাবাদ হয় একবার।
মোঃ হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর ডিমলায় বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা হইতে দক্ষিন সুন্দর খাতা পর্যন্ত প্রায় কয়েক হাজার বিঘা কৃষি জমি বর্ষা মৌসুমে পতিত থাকে। স্থানীয় কৃষকরা আমন ধান রোপন করতে পারে না। ফলে প্রতিনিয়ত ঐ এলাকার কৃষকেরা অভাব অনটনের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করে। বর্ষার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের উৎসাহ উদ্দীপনার শেষ নেই। কেউ বোরো ধানের বীজতলার পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত আবার কেউ পতিত জমির আইল (মাল্লি) ছাটাই ও সেচ পাম্প দিয়ে পানি তুলে যান্ত্রিক টিলার দিয়ে হাল চাষে ব্যস্ত। পতিত কৃষি জমিতে কৃষকের পরিশ্রমে ফলবে সোনালী ফসল বোরো ধান । জানা যায়, বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা হইতে দক্ষিন সুন্দর খাতা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিঃ মিঃ বুড়ি তিস্তার বাঁধটি দেশ স্বাধীনের পূর্বে নির্মিত। ১৯৮৮ সালের প্রাকৃতিক দূয্যোর্গ বন্যার পানিতে কচুবাড়ীর দলার বাঁধের অংশ প্রায় ৬০ মিটার ভেঙ্গে যায়। এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও জমির মালিকগনের নিজস্ব অর্থায়নে বাঁধটি এক সময় বাঁধা হলেও পুণরায় উজানের পানির ঢলে ভেঙ্গে য়ায়। তখন থেকে এ অবধি বাঁধটির ভাঙ্গা অংশ দিয়ে উজানের ঢল ও বুড়িতিস্তা নদীর পানি ঢুকে ভুট্টাসহ আমন ও বোরো মৌসুমে রোপনকৃত বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। ৬০ মিটার ভাঙ্গা বাঁধটি সংস্কারের অভাবে এলাকার কৃষকদের প্রায় কয়েক হাজার বিঘা জমি পতিত থাকে বর্ষা মৌসুমে চাষাবাদের অনুপযুক্ত। বাঁধটি মেরামত সহ বুড়িতিস্তা নদী খননের দাবী এলাকাবাসীর। স্থানীয় কৃষক পাষান আলী জানান, বুড়িতিস্তা নদীর পশ্চিম পার্শ্বের বাঁধটি কিছু অংশ অনেকে আগে বন্যায় ভেঙ্গে যায়, নদীর পানি ঢুকে আমাদের জমিগুলোতে বর্ষা মৌসুমে আমন ধান রোপন করতে পারি না। বোরো ধানের আবাদ ছাড়া কিছুই হয়না জমিগুলোতে “বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে কৃষি জমি একবার হয় আবাদ, সে আবাদ দিয়ে কি আর সংসার চলে ”। জমির মালিক আব্দুল হামিদ জানান, বুড়িতিস্তা নদী খনন ও বাঁধটি সরকারী বরাদ্ধে মেরামত করা হলে পতিত জমিগুলোতে কৃষকেরা আমন-ইরি দুই ফসল উৎপাদিত করতে পারবে, তখন জমিগুলো এক ফসল থেকে দুই ফসলে রুপান্তরিত হবে । এতে এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবে। বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জমিগুলো বৎসরে একবার পতিত থাকে শুধু বোরো ধান চাষ হয়। বোরো ধানের উপর আর নির্ভরশীল না থেকে আমন মৌসুমে যাতে পতিত জমিগুলোতে কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারে সে জন্য নীলফামারী-০১ মাননীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকারের কাছে দৃষ্টি আর্কষন করছি । এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন, বাঁধটি মেরামত হলে জমিগুলো পতিত থাকবে না তখন আমন ধান রোপন করা সম্ভব। কৃষকেরা নিজেদের খাদ্য চাহিদা মিটেয়ে দেশের জনগনের খাদ্য চাহিদা পুরন করতে সক্ষম হবে এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। সরে জমিনে দেখা যায়,  বুড়িতিস্তা নদীর পূর্বপাশ ঘেষা কচুবাড়ীর দলার বাঁধটি সংস্কারের অভাবে মেরামত করা হয়নি। মেরামত না হওয়ায় নিজ সুন্দর খাতা, মধ্যম সুন্দর খাতা, দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামের প্রায় হাজার হাজার বিঘা জমি আমন ধান রোপন করতে পারে না  ফলে কৃষকদের জমিগুলো বর্ষা মৌসুমে পতিত থাকে। যার ফলে প্রতিনিয়ত কৃষকেরা অভাব অনটনের মধ্যে মানবেতর দিনাতিপাত করছে। পতিত জমিগুলোতে বোরো ধান চাষাবাদ করলেও বোরো ধানকাটা মৌসুমে বুড়িতিস্তা নদীর পানি বাঁধটির ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে বোরো ধান কাঁটা মৌসুমে চাষাবাদকৃত পাঁকা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বর্ষা মৌসুমে মধ্যম সুন্দর খাতা মাঝিয়ালীর ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যায়লয়টির মাঠ বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার ফলে বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। বাঁধটি বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ায় সুন্দর খাতা কচুবাড়ীর দলা হইতে খোকসারঘাট ব্রীজের উজানের কৃষি জমিগুলো বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর পতিত থাকে।