কুড়িগ্রাম, উলিপুরে ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন করা হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ। উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি –
“বিজ্ঞান মনষ্ক জাতি গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” এই প্রতিপাদ্যকে ধারন করে কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন ও ৭ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা’র উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (১৮ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ উদ্বোধন
হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ মোঃ তারিকুল ইসলাম, মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর
আলম প্রমুখ। “ইন্টারনেটের আসক্তির ক্ষতি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৪৪ তম জাতীয়
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন ও ৭ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা উদ্বোধন হয়। বিজ্ঞান প্রযুক্তি সপ্তাহ দুইদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞান প্রযুক্তি সপ্তাহ অনুষ্ঠানে উপজেলার হযরত ফাতিমা (রাঃ) পৌর বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, এম এস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উলিপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, নুরুল ইসলাম সামছুন্নাহার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল, দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সাকসেস রেসিডেন্সিয়াল স্কুল, গোড়াই পাঁচপীর উচ্চ বিদ্যালয়, বজরা কলেজ, থেতরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বকশীগঞ্জ রাজিবিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও এম এ মতিন কারিগরি ও কৃষি কলেজ অংশগ্রহণ করেন।”
হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ মোঃ তারিকুল ইসলাম, মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর
আলম প্রমুখ। “ইন্টারনেটের আসক্তির ক্ষতি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৪৪ তম জাতীয়
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন ও ৭ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা উদ্বোধন হয়। বিজ্ঞান প্রযুক্তি সপ্তাহ দুইদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞান প্রযুক্তি সপ্তাহ অনুষ্ঠানে উপজেলার হযরত ফাতিমা (রাঃ) পৌর বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, এম এস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উলিপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, নুরুল ইসলাম সামছুন্নাহার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল, দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সাকসেস রেসিডেন্সিয়াল স্কুল, গোড়াই পাঁচপীর উচ্চ বিদ্যালয়, বজরা কলেজ, থেতরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বকশীগঞ্জ রাজিবিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও এম এ মতিন কারিগরি ও কৃষি কলেজ অংশগ্রহণ করেন।”
“তিস্তার চরে আগাম জাতের আলুর বম্পার ফলন। “বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি”।
আবুল কালাম আজাদ। উলিপুর প্রতিনিধি –
কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তায় ভেসে উঠা চরে আগাম জাতের আলু চাষে বম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি দেখা যায়। দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন আলু চাষিরা। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়ে তা ভেসে ওঠে চরে পরিণত হয়েছে। সে চড়ে একর ময় একর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন আলু চাষিরা। আলুর বম্পার ফলন ও বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি। তারা এখন আগাম জাতের আলু উঠাতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। তারা বলেন আগাম জাতের আলু উঠিয়ে আবার আলু চাষ করবেন। একই জমিতে দু’বার আলু চাষ হবে বলে তারা জানান। তারা বলেন দ্বিতীয় বারের আলুর ফলন এর থেকেও বেশি হবে। সে গুলো কোল্ডস্টোরেজে রাখা হবে। আবার বাজার জাতও করা হবে। তাতে অনেক লাভবান হতে পারব। তবে এখন আগাম জাতের আলু চাষে বেশি ঝুকছেন তিস্তার চরের আলু চাষিরা। কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,এবারে উপজেলায় আগাম জাত সহ আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ৭’শ ২০ হেক্টর।
আগাম জাতের আলু চাষি আব্দুল মতিন বলেন, আমি ভেসে উঠা তিস্তার চরে প্রায় ৮ একর জমিতে আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি। বাম্পার ফলন হওয়ায় আমি অনেক খুশি। আমি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আলুর বীজ ও সার বিনামূল্যে পেয়েছি। তাদের বিভিন্নধরনের সহযোগিতাও পেয়েছি। তিনি বলেন, আমার ৮ একর জমিতে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। আলু হবে প্রায় ১১’শ ২০ বস্তা। ১ বস্তায় আলু থাকে ৬০ কেজি। মোট আলু হবে ৬৭ হাজার ২’শ কেজি। বর্তমান বাজারে আলুর প্রতি কেজি ২৫ টাকা। যার মুল্য প্রায় ১৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা প্রায়।
এছাড়াও তিস্তার চরে আগাম জাতের আলু চাষিদের মধ্যে মান্নান, আব্দুস ছবুর, নুর মোহাম্মদ, কুদ্দুছ, মজিবর ও আবুল পাগলা সহ আরও অনেকে বলেন, তিস্তায় ভেসে উঠা চরে আগাম জাতের আলুর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। বর্তমান বাজার দর ভালো থাকায় আমরা অনেক লাভবান হতে পারব। তারা বলেন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় ও রোগ বালাই দমন সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন। এবং বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করেছেন। আশা করি খরচের থেকে দ্বিগুণ টাকা আয় করতে পারব বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, আমি আগাম জাতের আলু চাষের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি। তারা আগাম জাতের আলু চাষে অনেক আগ্রহী হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই ও পোকামাকড় দমন সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আগাম জাতের আলুর বম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি তারা অনেক লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোশাররফ হোসেন বলেন, উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ৭’শ ২০ হেক্টর। উপজেলার কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা মাঠে আলু চাষিদের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই পোকামাকড় দমন সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। এবারে আগাম জাতের আলুর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। বাজারে আলুর দর ভালো থাকায় আলু চাষিরা অনেক লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।”