আজ ২৩ আগস্ট ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ, ০৮ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে নগরীর বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্স জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন কেএমপির মান্যবর পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয়।
প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে মৎস্য পোনা অবমুক্তকালে কেএমপির মান্যবর পুলিশ কমিশনার মহোদয় বলেন, “কথায় আছে যে, মাছে ভাতে বাঙালি। বর্তমানে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনে একটা অভূতপূর্ব পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে। আমরা সবাই জানি এই মাসটি শোকের মাস, এই মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে শহীদ হয়েছিলেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরপরই ১৯৭৩ সালে তিনি প্রথমবারের মতো মৎস্য পক্ষ পালন করেন এবং গণভবনের পুকুরে পোনা মাছ অবমুক্ত করেন। এরপর তিনি মৎস্য নীতি বাস্তবায়নের জন্য ‘জাল যার জলা তার’ এই নীতি গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে আমরা দেখতে পাই যে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশটি পরিচালিত হওয়ার সময় মৎস্য সেক্টরে অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশের মৎস্য চাষ এবং উৎপাদনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, গত ২০ বছরে মাছের উৎপাদন কমপক্ষে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে স্বাদু পানির মাছ চাষে এই মুহূর্তে আমরা বিশ্বের ৪র্থ স্থানে আছি, এটি আমাদের জন্য সত্যিকার অর্থেই গর্বের বিষয়। বর্তমানে মাছ চাষের জন্য বাংলাদেশে উন্মুক্ত জলাভূমি ধীরে ধীরে কমে আসছে যার ফলে বিকল্প ভাবে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে পড়ে থাকা পুকুর, জলাশয় সংস্কার করে মৎস্য চাষের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতাই পুলিশ বিভাগে যেমন আমাদের কেএমপি’তে বেশ কিছু পুকুর রয়েছে আমাদের পুলিশ লাইনে তিনটি অনেক বড় বড় পুকুর আছে, আমাদের কেএমপি হেডকোয়ার্টার্সের পুকুর সহ যে সমস্ত থানায় পুকুর আছে সেগুলো আমরা মাছ চাষের আওতায় নিয়ে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন আগে আমরা পোনা মাছ অবমুক্ত করেছিলাম আজকে আবারো আমরা মোট চারটি পুকুরে ১০০ কেজিরও বেশি মৎস্যপোনা অবমুক্ত করেছি। আমরা আশা করছি এই পোনা মাছ অবমুক্ত করণের মাধ্যমে যে মাছ চাষ হবে তা থেকে আমাদের পুলিশ বিভাগে যে সকল সদস্যবৃন্দ মেসে খান তাদের মাছের চাহিদা বিশেষ করে পুষ্টি চাহিদার প্রোটিনের উৎস এখান থেকে পূরণ হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও পতিত থাকবে না, সেই অনুযায়ী আমাদের যে সকল পরিত্যাক্ত জলাশয় ও জলাভূমি আছে সেগুলোতে মাছ চাষ এবং অব্যবহৃত পতিত জমিতে শাকসবজি ও নানান ধরনের ফলমূল আবাদ করে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা হবে। আমাদের খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল সদস্যবৃন্দ এবং একইভাবে আমাদের খুলনা মহানগরবাসী যারা আছেন তাদের ও আহ্বান জানাচ্ছি যে, আসুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা প্রতিটা ইঞ্চি জায়গা কাজে লাগিয়ে যার যে জায়গা আছে সেখানে ধান, পাট চাষের পাশাপাশি ফলমূল, শাকসবজি উৎপাদন করার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করি এবং নিজেরাই নিজেদের চাহিদা পূরণ করি”।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) জনাব মোছাঃ তাসলিমা খাতুন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জনাব মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) জনাব এম এম শাকিলুজ্জামান এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (আরসিডি) জনাব শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী-সহ ঊধ্বর্তন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ ও ফোর্স।