Dhaka ০৪:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
  • ১৬৮ Time View

মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা প্রতিনিধিঃ- খুলনায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, গণহত্যার বিষয়টি অনুধাবনের অংশ। পাকিস্তানি ঘাতকরা কেবল বাংলাদেশের নিরীহ সাধারণ মানুষদেরই হত্যা করেনি, তারা একাত্তরের পুরো মুক্তিযুদ্ধকালে আমাদের দেশের জ্ঞানী-গুণী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। ঐ মহান বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে আমাদের পথ দেখাতে পারতেন। মহান বুদ্ধিজীবীদের হারানোর ফলে জ্ঞানের শূণ্যতা আজও পূরণ হয়নি। তবে সেই শূণ্যতা হতে জাতিকে বের করে আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতি হিসেবে বাঙালিদের কোন রাষ্ট্র ছিলোনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র দিয়েছেন। এখন জাতি হিসেবে বিশে^র বুকে আমাদের মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে হবে। এর মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ত্বরান্বিত হবে। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস) মোঃ হাসানুজ্জামান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির ও সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহাবুবার রহমান। সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে খুলনা শিল্পকলা একডেমি প্রাঙ্গণে আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডির) উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুর্লভ আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। স্কুল-কলেজ-মাদ্্রাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি/বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কন্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাদজোহর ২৫ মার্চের রাতে নিহতদের স্মরণে সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া অনুষ্ঠান এবং মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

খুলনায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত

Update Time : ০২:৫১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা প্রতিনিধিঃ- খুলনায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, গণহত্যার বিষয়টি অনুধাবনের অংশ। পাকিস্তানি ঘাতকরা কেবল বাংলাদেশের নিরীহ সাধারণ মানুষদেরই হত্যা করেনি, তারা একাত্তরের পুরো মুক্তিযুদ্ধকালে আমাদের দেশের জ্ঞানী-গুণী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। ঐ মহান বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে আমাদের পথ দেখাতে পারতেন। মহান বুদ্ধিজীবীদের হারানোর ফলে জ্ঞানের শূণ্যতা আজও পূরণ হয়নি। তবে সেই শূণ্যতা হতে জাতিকে বের করে আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতি হিসেবে বাঙালিদের কোন রাষ্ট্র ছিলোনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র দিয়েছেন। এখন জাতি হিসেবে বিশে^র বুকে আমাদের মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে হবে। এর মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ত্বরান্বিত হবে। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস) মোঃ হাসানুজ্জামান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির ও সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহাবুবার রহমান। সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে খুলনা শিল্পকলা একডেমি প্রাঙ্গণে আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডির) উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুর্লভ আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। স্কুল-কলেজ-মাদ্্রাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি/বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কন্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাদজোহর ২৫ মার্চের রাতে নিহতদের স্মরণে সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া অনুষ্ঠান এবং মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।