“খুলনার দাকোপের বাজুয়া খুটাখালী আর্য্যহরিসভার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক প্রয়ত প্রফুল্ল কুমার শীলের স্বরন সভা”
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা –
খুলনার দাকোপের বাজুয়ার খুটাখালী আর্য্যহরি সভার প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক সাবেক সংসদ সদস্য প্রফুল্য কুমার শীলের অষ্টম বর্ষীয় মৃত্যু বার্ষিক আর্য্য হরিসভা অঙ্গনে ২৩ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬.৩০ দিকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন আর্য্যহরিসভার সভাপতি সরোজিত কুমার রায়, সাধারন সম্পাদক বিজন কুমার রায়, কোষাধ্যক্ষ শ্যামল কুমার রায়, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক প্রবীর রায় বাপী, অধ্যাপক অসিত সরকার, সজল ব্রম্মচারী, অচিন্ত সাহা, দেবেন্দ্র নাথ মিস্ত্রী, অরুন দাস, প্রিতীশ সরকার, সহ আর্য্যহরিসভার সকল কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ। বক্তারা বলেন সনাতন ধর্ম প্রচারে তার অগ্রনী ভুমিকা শ্রদ্ধ্যার সাথে স্বরন করেন। এবং তার কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক আলোক পাত করেন।
”প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিয়েছে খুলনা আ’লীগের ৫০ হাজার নেতাকর্মী”
মোঃ শামীম হোসেন -খুলনা –
যশোরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিয়েছে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) খুলনা থেকে ৫০ হাজার নেতাকর্মী যাবেন বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। বাস-ট্রেন এবং ব্যক্তিগত যানবাহনে করে নেতারা সভাস্থলে যোগ দিয়েছে দলটির সূত্রে জানা গেছে। বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী। এদিকে, খুলনা বিভাগের যশোর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে উজ্জীবিত খুলনা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর যশোরে আগমনের বার্তায় শুধু যশোর নয়, গোটা খুলনাঞ্চলের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার যশোরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কয়েক লাখ মানুষের জমায়েতের লক্ষ্য নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন শীর্ষ নেতারা। এরই অংশ হিসেবে এ জনসভায় খুলনা থেকে ৫০ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার এবং বাকি নেতাকর্মীরা খুলনার বিভিন্ন উপজেলা থেকে অংশ নেবেন। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় পাঁচ লাখ মানুষ সমাগমের টার্গেট করেছে। আর এ গণমানুষের সিংহভাগ আসবে শহরের বাইরে থেকে। যশোরের আটটি উপজেলাসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে আসবে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী-সমর্থকরা। এর জন্য প্রায় পাঁচ হাজার গাড়ি যশোরে আসার টার্গেট করা হয়েছে। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন, ‘খুলনা মহানগর থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার নেতাকর্মী যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ নেবেন। তবে যাতায়াতের জন্য আলাদা করে কোনো পরিবহন নির্দিষ্ট করা হয়নি। সাধারণত বাস-ট্রেন এবং ব্যক্তিগত যানবাহনে নেতাকর্মীরা জনসভায় অংশ নেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেই খুলনা থেকে তারা রওনা করবেন। ’ খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, ‘খুলনা থেকে অর্ধলাখ নেতাকর্মী যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসভায় যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে খুলনা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। যশোরে মানুষের ঢল নামবে বলেও আমি আশাবাদী।’প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোর ঈদগাহ মাঠে নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর পর এ জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে দলের কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন।
“খুলনার দাকোপে টোনাজালে মাছ শিকারে খালগুলো গভীরতা সংকটে”
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা –
খুলনার দাকোপে বিভিন্ন খাল ও জলাশয়ে আড়াআড়ি টোনাজাল ও পাটাতন নেটের বেড়া দিয়ে চলছে মাছ শিকার। এতে পানি নিষ্কাশনসহ নানা প্রতিবন্দকতা সৃষ্টির ফলে উপজেলার বাজুয়া চড়া নদী, পূর্ব বাজুয়া, কচা, কৈলাশগঞ্জের বোর্টবাড়ি, দোলখোলা, মাতৃমন্দির, চড়ারগেট, লাউডোবের কালিকাবাটি, খুটাখালি, বানিশান্তার খেজুরিয়া, ভোজনখালি, দাকোপের গেটসহ অসংখ্য খালের দিন দিন কমে আসছে গভীরতা। এছাড়া এলাকার বহু মানুষের আমিষের চাহিদা পূরনেও পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে কৃষি কাজ মারাত্মক ভাবে ব্যহত হতে পারে বলে এলাকার হাজারো কৃষক আশঙ্কা করছেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবন উপকূল ঘেঁষা এই উপজেলায় বিভিন্ন নামে ২২৮টি বেশি খাল ও জলাশয় রয়েছে। এসব অধিকাংশ সরকারী খাস খালগুলো নাম মাত্র ইজারা নিয়ে ইজারাদার অথবা গায়ের জোরে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় দখলে রেখেছেন। তারা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে আড়াআড়ি অবৈধ ভাবে বাঁধ, খন্ড খন্ড টোনাজাল, নেটজাল, পাটাজাল, চাকজাল, কারেন্ট জাল ও পাটাতন নেটের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করছেন। তাছাড়া খালের উপর গড়ে উঠেছে বসত ঘরসহ নানা স্থাপনা এমনকি পাকা প্রচীরও। এতে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দূর্বলে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে অধিকাংশ কৃষকের বীজতলা ও রোপা আমনের ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে চলেছে। আর শুকনো মৌসুমে খালে পানি ধারন ক্ষমতা না থাকায় সেচ সংকটের কারনে প্রধান অর্থকারি ফসল তরমুজ, রবি শস্য ও বোরো চাষ চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে। এসব কারনে এক সময়েকার জলাশয়ে ভরা এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌকা যেমন হারিয়ে যাচ্ছে তেমনি কৃষিকাজেও দেখা দিচ্ছে চরম বিপর্যয়। অন্যদিকে পলি মিশ্রিত পানি ঐ সব জালে বাধাগ্রস্থ হয়ে খালের গভীরতা দিন দিন কমে আসছে। এতে অসংখ্য দেশী প্রজাতির মাছের পোনা নিধন হচ্ছে বলে কৃষকদের অভিযোগ। ফলে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১০৬টি গ্রামের প্রায় দুই লক্ষ মানুষের আমিষের চাহিদা পূরনেও পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। কৈলাশগঞ্জ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সিন্ধু রায় জানান, ইজারা নিয়ে ইজারাদাররা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে খালে আড়াআড়ি নেটপাটা এবং টোনাজাল দিয়ে মাছ শিকারের ফলে পানি সরবরাহের ব্যাপক প্রতিবন্দকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দূর্বল হয়ে এবং পলি পড়ে দিন দিন খালের গভীরতা কমে যাচ্ছে। এছাড়া শুকনো মৌসুমে খালের পানি সেচে ফেলে দিয়ে মাছ ধরে নেওয়ায় কৃষকরা সেচ সংকটে রবি শস্যসহ বোরো চাষ করতে পারে না। এমনকি রবি শস্য ক্ষেতেও সেচ দিতে পারে না। এতে কৃষি কাজ মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া অসংখ্য দেশী প্রজাতী মাছের পোনা নিধন হচ্ছে। ফলে উপজেলার বিপুল জনগোষ্ঠির আমিষের চাহিদা পুরনে নেতিবাচক প্রভাবের আশংঙ্কা করছেন তিনি। অবিলম্বে বিভিন্ন খালের সকল জাল অপসারন এবং কৃষকের কথা বিবেচনা করে খালগুলো ইজারা বন্দের দাবি জানান তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান বলেন, খালে আড়াআড়ি টোনাজাল পেতে রাখলে এবং পানি সরবরাহ সঠিক ভাবে না করলে দিন দিন গভীরতা কমে যাবে। এতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং শুকনো মৌসুমে কৃষকরা সেচ সংকটে পড়ে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময়ে কৃষি কাজ মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান বলেন, আগে একবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অনেক জাল বিনষ্ট করেছি। আগামী কয়েক দিন পর আবারও অভিযান পরিচালনা করে সব জাল তুলে ফেলবো। এলাকাবাসীর দাবি মাঝে মধ্যে নাম মাত্র অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা দুই একটি জাল তুলে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে একটু পরে আবারও জাল পাততে দেখা যায়। এভাবে চলবে আর কতদিন এলাকাবাসী জানতে চায় দাকোপের দ্বায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছে।