Dhaka ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা প্রকল্পের দুই কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:০৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৬৫৩ Time View

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা প্রকল্পের দুই কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

মোঃ মিজানুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার খুলনা –

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের (২য় পর্যায়) গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ পর্যায়ে ২৯ জন গবেষকের গবেষণা প্রকল্পের অনুক‚লে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি ) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টার আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গবেষকদের হাতে চেক তুলে দেন প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্তর্নিহিত চিন্তা উন্নয়নের রোডম্যাপে বাংলাদেশকে পরিচালিত করা। প্রধানমন্ত্রী ও জাতির আকাক্সক্ষা হলো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভ‚মিকা রাখা। এই দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের। আমরা সবাই সেই আকাক্সক্ষা পূরণে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নে ও গবেষণায় নিজস্ব তহবিল গঠনে যে আহবান জানিয়েছেন, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এ লক্ষ্যে কাজ করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত গবেষণা বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে এ বছর বিগত বছরের তুলনায় গবেষণায় দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আজ ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার গবেষণার চেক বিতরণ করা হলেও আনুষাঙ্গিক ও অন্যান্য খাত মিলিয়ে এখানে বরাদ্দ ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এমনকি গবেষণার আনুষাঙ্গিক কেমিক্যাল ও ইনস্ট্রুমেন্টেও বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপাচার্য বলেন, গবেষণায় বরাদ্দপ্রাপ্ত এই অর্থ জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গবেষণা যেনো মানসম্মত হয় এবং গবেষণালব্ধ ফল যেনো জনগণের কল্যাণে আসে সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। যদি গবেষণা প্রকল্পে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট নেওয়ার সুযোগ থাকে, সেক্ষেত্রে যেসব শিক্ষার্থী অর্থনৈতিকভাবে একটু পিছিয়ে পড়া তাদেরকে তিনি অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানান। তিনি বলেন, গবেষকদের শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ ফান্ডের ওপর নির্ভর না করে আন্তর্জাতিক বা বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা থেকে তহবিল সংগ্রহের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাজী দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর ড. লস্কার এরশাদ আলী। অনুদানপ্রাপ্ত গবেষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন রসায়ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. রেজাউল হক। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক ও অনুদানপ্রাপ্ত গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা প্রকল্পের দুই কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

Update Time : ০৯:০৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা প্রকল্পের দুই কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

মোঃ মিজানুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার খুলনা –

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের (২য় পর্যায়) গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ পর্যায়ে ২৯ জন গবেষকের গবেষণা প্রকল্পের অনুক‚লে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি ) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টার আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গবেষকদের হাতে চেক তুলে দেন প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্তর্নিহিত চিন্তা উন্নয়নের রোডম্যাপে বাংলাদেশকে পরিচালিত করা। প্রধানমন্ত্রী ও জাতির আকাক্সক্ষা হলো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভ‚মিকা রাখা। এই দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের। আমরা সবাই সেই আকাক্সক্ষা পূরণে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নে ও গবেষণায় নিজস্ব তহবিল গঠনে যে আহবান জানিয়েছেন, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এ লক্ষ্যে কাজ করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত গবেষণা বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে এ বছর বিগত বছরের তুলনায় গবেষণায় দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আজ ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার গবেষণার চেক বিতরণ করা হলেও আনুষাঙ্গিক ও অন্যান্য খাত মিলিয়ে এখানে বরাদ্দ ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এমনকি গবেষণার আনুষাঙ্গিক কেমিক্যাল ও ইনস্ট্রুমেন্টেও বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপাচার্য বলেন, গবেষণায় বরাদ্দপ্রাপ্ত এই অর্থ জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গবেষণা যেনো মানসম্মত হয় এবং গবেষণালব্ধ ফল যেনো জনগণের কল্যাণে আসে সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। যদি গবেষণা প্রকল্পে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট নেওয়ার সুযোগ থাকে, সেক্ষেত্রে যেসব শিক্ষার্থী অর্থনৈতিকভাবে একটু পিছিয়ে পড়া তাদেরকে তিনি অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানান। তিনি বলেন, গবেষকদের শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ ফান্ডের ওপর নির্ভর না করে আন্তর্জাতিক বা বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা থেকে তহবিল সংগ্রহের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাজী দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর ড. লস্কার এরশাদ আলী। অনুদানপ্রাপ্ত গবেষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন রসায়ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. রেজাউল হক। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক ও অনুদানপ্রাপ্ত গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।