Dhaka ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন আনন্দের দিন পালিত।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৬৭৭ Time View
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন আনন্দের দিন পালিত।
রউফুল আলম, ব্যুরো চীফ, রংপুরঃ
সারা দেশে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। শুভ বড়দিনে আনন্দে মেতে উঠেছেন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। সকাল থেকেই গির্জায় গির্জায় প্রার্থনায় অংশ নেন ভক্তরা। পবিত্র বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। করোনা মহামারির পর এবারের বড়দিনে সমবেতদের প্রত্যাশা, বিশ্ব থেকে মুছে যাবে সব অস্থিরতা।
আজ রোববার (২৫ ডিসেম্বর) রবিবার  সকাল থেকেই পৌষের ঘনকুয়াশা। তবুও গির্জায় গির্জায় ভিড় ছিল খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের। সূর্য যখন মাত্র উঁকি দিচ্ছে, তখনই প্রতিটি চার্চে প্রার্থনার সুরে মুখরিত চারদিক। উদ্দেশ্য বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন।
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এ বড়দিনেই মাতা মেরির কোলজুড়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন যিশু খ্রিষ্ট। তাই খ্রিষ্টীয় আধ্যাত্মিক ও লৌকিক সংস্কার পালনের মাধ্যমে প্রতিবছর পালিত হয় এ দিনটি।
করোনা মহামারির পর এবার বাধাহীনভাবে বড়দিন পালন করতে পারছেন সকলে। তাই আনন্দটা এবার অন্যান্যবারের তুলনায় অনেক বেশি। চার্চে আসা ভক্তরা জানান, সারা বিশ্বে আমরা একযুগে বড়দিন পালন করছি।
এ দিনে যিশু খ্রিষ্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই আমরা খ্রিষ্টান ভাই-বোনেরা এ দিনটিতে এক হয়ে উৎসবের মাধ্যমে পালন করে থাকি। জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিষ্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়। বড়দিন থেকে শিক্ষা নিয়ে শান্তি ও মিলন শক্তিতে বলীয়ান হবে মানুষ। এদিকে রংপুর ছাড়াও সারা দেশে নানা আড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছে বড়দিন।
মোঃ রউফুল আলম
০১৭১৭-৭৫৭৭১০
তারিখঃ ২৫/১২/২২
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে রবি শস্যের পাশাপাশি আগাম আলু চাষে ব্যস্ত চাষিরা।       
সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম-
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে রবি শস্যের পাশাপাশি আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। ধরলা নদীর বিস্তীর্ণ বালুচরে স্যালো মেশিনে পানি তুলে আলুর চাষ করছেন কৃষকরা। চরের বুকে আলু পাতার সবুজ সমারোহ যেন এক সমৃদ্ধির হাতছানি। এ বছর ডিজেল, সার, কীটনাশক ও মজুরির দাম বেশি হওয়ার খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে বাজারে আলুর দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা ।কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার ৯টি উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর চাষ হচ্ছে। আলুর দাম ও ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে।সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ধরলা নদীর বুকে পতিত জমিতে সেভেন জাতের আলুর চাষ করেছি। এটি আগাম জাতের আলু। আলুর বীজ রোপণের পর ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে এ আগাম আলু তোলা যায়। এক বিঘা জমিতে ২০-২৫ মণ আলু হয়। বর্তমান বাজারে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’কাঁঠাল বাড়ি ইউনিয়নের আলু চাষি মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমি ১ বিঘা জমিতে আগাম সেভেন জাতের আলু চাষ করেছি। আলুর ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করি বিঘাপ্রতি ২৫ মণ আলু পাওয়া যাবে। গত বছর বিঘাপ্রতি ৬৫-৭০ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। এ বছর তেল, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকা খরচ হবে।’
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘অন্য ফসলের পাশাপাশি চরগুলোয় এ বছর আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। জেলায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে কৃষকরা লাভবান হবেন।’
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন আনন্দের দিন পালিত।

Update Time : ০৫:৫১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন আনন্দের দিন পালিত।
রউফুল আলম, ব্যুরো চীফ, রংপুরঃ
সারা দেশে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। শুভ বড়দিনে আনন্দে মেতে উঠেছেন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। সকাল থেকেই গির্জায় গির্জায় প্রার্থনায় অংশ নেন ভক্তরা। পবিত্র বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। করোনা মহামারির পর এবারের বড়দিনে সমবেতদের প্রত্যাশা, বিশ্ব থেকে মুছে যাবে সব অস্থিরতা।
আজ রোববার (২৫ ডিসেম্বর) রবিবার  সকাল থেকেই পৌষের ঘনকুয়াশা। তবুও গির্জায় গির্জায় ভিড় ছিল খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের। সূর্য যখন মাত্র উঁকি দিচ্ছে, তখনই প্রতিটি চার্চে প্রার্থনার সুরে মুখরিত চারদিক। উদ্দেশ্য বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন।
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এ বড়দিনেই মাতা মেরির কোলজুড়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন যিশু খ্রিষ্ট। তাই খ্রিষ্টীয় আধ্যাত্মিক ও লৌকিক সংস্কার পালনের মাধ্যমে প্রতিবছর পালিত হয় এ দিনটি।
করোনা মহামারির পর এবার বাধাহীনভাবে বড়দিন পালন করতে পারছেন সকলে। তাই আনন্দটা এবার অন্যান্যবারের তুলনায় অনেক বেশি। চার্চে আসা ভক্তরা জানান, সারা বিশ্বে আমরা একযুগে বড়দিন পালন করছি।
এ দিনে যিশু খ্রিষ্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই আমরা খ্রিষ্টান ভাই-বোনেরা এ দিনটিতে এক হয়ে উৎসবের মাধ্যমে পালন করে থাকি। জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিষ্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়। বড়দিন থেকে শিক্ষা নিয়ে শান্তি ও মিলন শক্তিতে বলীয়ান হবে মানুষ। এদিকে রংপুর ছাড়াও সারা দেশে নানা আড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছে বড়দিন।
মোঃ রউফুল আলম
০১৭১৭-৭৫৭৭১০
তারিখঃ ২৫/১২/২২
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে রবি শস্যের পাশাপাশি আগাম আলু চাষে ব্যস্ত চাষিরা।       
সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম-
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে রবি শস্যের পাশাপাশি আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। ধরলা নদীর বিস্তীর্ণ বালুচরে স্যালো মেশিনে পানি তুলে আলুর চাষ করছেন কৃষকরা। চরের বুকে আলু পাতার সবুজ সমারোহ যেন এক সমৃদ্ধির হাতছানি। এ বছর ডিজেল, সার, কীটনাশক ও মজুরির দাম বেশি হওয়ার খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে বাজারে আলুর দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা ।কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার ৯টি উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর চাষ হচ্ছে। আলুর দাম ও ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে।সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ধরলা নদীর বুকে পতিত জমিতে সেভেন জাতের আলুর চাষ করেছি। এটি আগাম জাতের আলু। আলুর বীজ রোপণের পর ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে এ আগাম আলু তোলা যায়। এক বিঘা জমিতে ২০-২৫ মণ আলু হয়। বর্তমান বাজারে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’কাঁঠাল বাড়ি ইউনিয়নের আলু চাষি মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমি ১ বিঘা জমিতে আগাম সেভেন জাতের আলু চাষ করেছি। আলুর ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করি বিঘাপ্রতি ২৫ মণ আলু পাওয়া যাবে। গত বছর বিঘাপ্রতি ৬৫-৭০ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। এ বছর তেল, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকা খরচ হবে।’
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘অন্য ফসলের পাশাপাশি চরগুলোয় এ বছর আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। জেলায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে কৃষকরা লাভবান হবেন।’