Dhaka ০৬:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ ২০ কেজি চাউলের পরিবর্তে ৫ কেজি

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৪:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
  • ৮০ Time View

মনিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
মে মাসের ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে যশোরের মনিরামপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ৭০০ পরিবারপ্রতি ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে ১৫০ পরিবারে এই চাল বিতরণের কথা। অভিযোগ উঠেছে, শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন ২০ কেজির পরিবর্তে মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন।আজ শুক্রবার ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে তিনি জেনারেল রিলিফের (জিআর) এই চাল বিতরণ করেছেন।আজ শুক্রবার ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে তিনি জেনারেল রিলিফের (জিআর) এই চাল বিতরণ করেছেন। শ্যামকুড় ইউনিয়নের চিনাটোলা দাসপাড়ার একাধিক ব্যক্তি।লালন দাস বলেন, ‘আমি ভ্যান চালায়ে খাই। আজ সকালে চেয়ারম্যান আমাদের পাড়ার মন্দিরের সামনে চাল নিয়ে আসেন। তিনি আমাকে ডেকে পাঁচ কেজি চাল দেছেন।ওই পাড়ার প্রান্ত দাস বলেন, ‘চিনাটোলা দাসপাড়ায় আমরা ৭০-৭২ পরিবার আছি। চেয়ারম্যান সবাইকে ৫ কেজি করে চাল দেছে। আমিও ৫ কেজি পাইছি।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার মিডিয়া কে বলেন ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য জিআরের ৫৪ টন চাল বরাদ্দ এসেছে। আমরা ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৩ টন করে চাল বরাদ্দ দিয়েছি। প্রতি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০ পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) আলমগীর হোসেন ৫ কেজি করে চাল বিতরণের বিষয়টি আজকের পত্রিকার কাছে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে গরিব লোকের সংখ্যা বেশি। তা ছাড়া ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সেইভাবে করা সম্ভব হয়নি। দরিদ্র সবাই যেন পায় এ জন্য ৫ কেজি করে চাল দিয়েছি। চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের ২০ কেজি করে চাল বিতরণের লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরে ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ৫ কেজি করে বিতরণের মৌখিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।এই বিষয়ে জানতে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে খুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।মনিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ বায়েজিদ বলেন, ‘২০ কেজির পরিবর্তে ৫ কেজি করে চাল বিতরণ অন্যায়। আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ ২০ কেজি চাউলের পরিবর্তে ৫ কেজি

Update Time : ১১:৫৪:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

মনিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
মে মাসের ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে যশোরের মনিরামপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ৭০০ পরিবারপ্রতি ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে ১৫০ পরিবারে এই চাল বিতরণের কথা। অভিযোগ উঠেছে, শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন ২০ কেজির পরিবর্তে মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন।আজ শুক্রবার ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে তিনি জেনারেল রিলিফের (জিআর) এই চাল বিতরণ করেছেন।আজ শুক্রবার ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে তিনি জেনারেল রিলিফের (জিআর) এই চাল বিতরণ করেছেন। শ্যামকুড় ইউনিয়নের চিনাটোলা দাসপাড়ার একাধিক ব্যক্তি।লালন দাস বলেন, ‘আমি ভ্যান চালায়ে খাই। আজ সকালে চেয়ারম্যান আমাদের পাড়ার মন্দিরের সামনে চাল নিয়ে আসেন। তিনি আমাকে ডেকে পাঁচ কেজি চাল দেছেন।ওই পাড়ার প্রান্ত দাস বলেন, ‘চিনাটোলা দাসপাড়ায় আমরা ৭০-৭২ পরিবার আছি। চেয়ারম্যান সবাইকে ৫ কেজি করে চাল দেছে। আমিও ৫ কেজি পাইছি।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার মিডিয়া কে বলেন ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য জিআরের ৫৪ টন চাল বরাদ্দ এসেছে। আমরা ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৩ টন করে চাল বরাদ্দ দিয়েছি। প্রতি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০ পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) আলমগীর হোসেন ৫ কেজি করে চাল বিতরণের বিষয়টি আজকের পত্রিকার কাছে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে গরিব লোকের সংখ্যা বেশি। তা ছাড়া ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সেইভাবে করা সম্ভব হয়নি। দরিদ্র সবাই যেন পায় এ জন্য ৫ কেজি করে চাল দিয়েছি। চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের ২০ কেজি করে চাল বিতরণের লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরে ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ৫ কেজি করে বিতরণের মৌখিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।এই বিষয়ে জানতে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে খুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।মনিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ বায়েজিদ বলেন, ‘২০ কেজির পরিবর্তে ৫ কেজি করে চাল বিতরণ অন্যায়। আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।’