Dhaka ১২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮৭৯ Time View

“চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা’। নগরের কাজির দেউড়ি
আউটার স্টেডিয়ামে এই মেলা শুরু হয় গত ১ ডিসেম্বর। মেলা চলবে পুরো ডিসেম্বর মাস। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়
মেলা উদযাপন পরিষদ ১৯৮৯ সালের পর গত ৩৩ বছর ধরে এই মেলার আয়োজন করে আসছে।
মেলায় পাট ও পাটজাত পণ্য ছাড়াও আছে থ্রি-পিস, জুতা, বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, নকশি কাথা, কাশ্মীরি শাল ও
কার্পেটসহ আছে ঘর সাজানোর বিভিন্ন উপকরণ। এছাড়া শিশুদের খেলনা, প্লাস্টিক পণ্য, কসমেটিকস পণ্যসহ
বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী, মাটির তৈজসপত্রসহ হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
প্রতিবারের মতো এবারও পসরা সাজিয়ে বসেছে পঞ্চরসের আচার ও শ্বশুরবাড়ির পিঠা। মেলায় ক্রেতাদের
উপচেপড়া ভিড় জমেছে। মেলা ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার আকর্ষণ বাড়াতে বিভিন্ন স্টলে একটি পণ্য কিনলে একই রকম আরও একটি পণ্য ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। মা নাসিমা গার্মেন্টস নামে একটি স্টলের কর্মচারী মো. ফেরদৌস বলেন, ‘থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। যেকোনও একটি পণ্য কিনলে একটি আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এবারের বিজয় মেলা জমে উঠেছে। সকালে লোকজনের ভিড় কিছুটা কম থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ে ক্রেতাদের ভিড়। বিকালের পর সবচেয়ে বেশি ভিড়
জমে। গভীর রাত পর্যন্ত চলে বেচা-কেনা।’
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘চট্টগ্রামে ১৯৮৯ সালের পর গত ৩৩
বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক
ইতিহাস সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা
পরিষদ এবার অসংখ্য অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করছে। যার মধ্যে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণামূলক
আলোচনা অনুষ্ঠান। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধের
চলচ্চিত্র প্রদর্শন, বিজয় শিখা প্রজ্বালন, বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি ও নারী সমাবেশ।’

“চবিতে শিক্ষক নিয়োগে ৬ মাসের স্থগিতাদেশ।”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওশানোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের
নির্বাচনী বোর্ডের ওপর ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচনী বোর্ডে
শিক্ষক নিয়োগ কেন আইন বহির্ভূত ও অবৈধ হবে না— তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি খসরুজ্জামান ও মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ
আদেশ দেন। এর আগে আইনের ব্যত্যয়ের অভিযোগ তুলে ওশানোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.
মোহাম্মদ অহিদুল আলম ও সহকারী অধ্যাপক মোঃ এনামুল হক হাইকোর্টে রিট করেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের
ভিসি, রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসনিক) ও ওশানোগ্রাফি বিভাগের সভাপতিকে বিবাদী করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রয়। তিনি সিভয়েসকে বলেন, ‘ওশানোগ্রাফি বিভাগে
শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা জানিয়ে চ্যালেঞ্জ করা রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে। ওই বিভাগে শিক্ষক
নিয়োগে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট।’
রিটকারী শিক্ষক ওশানোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম সিভয়েসকে বলেন,
‘ওশানোগ্রাফি বিভাগের জন্য বিজ্ঞাপিত ৬টি প্রভাষক পদের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট বিষয় ওশানোগ্রাফি বিভাগ থেকে
অনার্স ও মাস্টার্স করা মাত্র ৩ জন প্রার্থী আছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রার্থী না থাকায় বিভাগীয়
পরিকল্পনা কমিটি এ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রতিযোগীতামূলক করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে
পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য মত প্রকাশ করে। এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনকে জানানো হয়। কিন্তু প্রশাসন
প্ল্যানিং কমিটির বিষয়গুলো বিবেচনা না করে আগামী ১৫ ডিসেম্বর নিয়োগ বোর্ডের সভা ডাক দেয়। এভাবে
নির্বাচনী বোর্ড বসাতে পারে না। ১৯৭৩ এর অ্যাক্ট অনুযায়ী প্ল্যানিং কমিটির মতামত ছাড়া কোনো বিষয়ে
সিদ্ধান্ত হতে পারে না। তাই বিষয়টি আইন বিরোধী হওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেছি আমরা।

” শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রদীপ্ত শিখায় দূরীভূত হোক সব অন্ধকার’ এ প্রত্যয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম।  সূর্যাস্তের পর প্রদীপ প্রজ্বালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম।
তিনি বলেছেন, একাত্তরে যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা আজও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে
মেনে নেয়নি। বিজয়ের পাঁচ দশক পরে এসেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত থেমে নেই। তারা
বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্বে বাঙালির জাতীয় জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়ে
আসছে অব্যাহতভাবে। এদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে
হবে। যা ছিল আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবী ও ত্রিশ লাখ শহীদের স্বপ্ন।
স্বাধীনতার ঊষালগ্নে বাঙালি জাতির বরেণ্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত‍্যা করে পাকবাহিনীর দোসর রাজাকার
আলবদররা জাতিকে মেধাশূন‍্য করতে চেয়েছিল।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্মরণানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি বীর
মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন
চক্রবর্তী। সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের
চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম মন্টু, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম
চৌধুরী বেদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ
সভাপতি দিলুয়ারা ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌরী শংকর চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, সেলিম চৌধুরী,
কাউন্সিলর রুমকি সেন, আবদুল মালেক খান, সাহেদ মুরাদ সাকু, অ্যাডভোকেট সাইফুন্নার খুশি, জসিম উদ্দিন,
ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া, মনোয়ার জাহান মনি, মো. নাজিম উদ্দিন, পংকজ রায়, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন,
অ্যাডভোকেট কামরুল আযম, ফারজানা আকতার মিলা, ইঞ্জিনিয়ার সনাতন বিজয়, ডা. ফজলুল সিদ্দিকী, নবী
হোসেন সালাউদ্দিন, মোজাম্মেল মানিক, কামাল উদ্দিন, দীপন দাশ, শহিদুল আলম লিটন, আবদুর রহিম, সোহেল
ইকবাল, মঈনুল আলম খান, ইমরান মুন্না, নুরুল হোসেন মাসুদ, মো. হোসেন চৌধুরী সাদ্দাম, এমএইচ মানিক,
হাসান মুরাদ, ইসমে আজিম আসিফ, মো. ফয়সাল প্রমুখ।
বক্তারা আইন করে স্বাধীনতাবিরোধীদের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, ৩০ লাখ
শহীদের আত্মদানে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে কোনো আপস হতে পারে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

“চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা”

Update Time : ০৪:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

“চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা’। নগরের কাজির দেউড়ি
আউটার স্টেডিয়ামে এই মেলা শুরু হয় গত ১ ডিসেম্বর। মেলা চলবে পুরো ডিসেম্বর মাস। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়
মেলা উদযাপন পরিষদ ১৯৮৯ সালের পর গত ৩৩ বছর ধরে এই মেলার আয়োজন করে আসছে।
মেলায় পাট ও পাটজাত পণ্য ছাড়াও আছে থ্রি-পিস, জুতা, বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, নকশি কাথা, কাশ্মীরি শাল ও
কার্পেটসহ আছে ঘর সাজানোর বিভিন্ন উপকরণ। এছাড়া শিশুদের খেলনা, প্লাস্টিক পণ্য, কসমেটিকস পণ্যসহ
বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী, মাটির তৈজসপত্রসহ হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
প্রতিবারের মতো এবারও পসরা সাজিয়ে বসেছে পঞ্চরসের আচার ও শ্বশুরবাড়ির পিঠা। মেলায় ক্রেতাদের
উপচেপড়া ভিড় জমেছে। মেলা ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার আকর্ষণ বাড়াতে বিভিন্ন স্টলে একটি পণ্য কিনলে একই রকম আরও একটি পণ্য ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। মা নাসিমা গার্মেন্টস নামে একটি স্টলের কর্মচারী মো. ফেরদৌস বলেন, ‘থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। যেকোনও একটি পণ্য কিনলে একটি আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এবারের বিজয় মেলা জমে উঠেছে। সকালে লোকজনের ভিড় কিছুটা কম থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ে ক্রেতাদের ভিড়। বিকালের পর সবচেয়ে বেশি ভিড়
জমে। গভীর রাত পর্যন্ত চলে বেচা-কেনা।’
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘চট্টগ্রামে ১৯৮৯ সালের পর গত ৩৩
বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক
ইতিহাস সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা
পরিষদ এবার অসংখ্য অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করছে। যার মধ্যে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণামূলক
আলোচনা অনুষ্ঠান। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধের
চলচ্চিত্র প্রদর্শন, বিজয় শিখা প্রজ্বালন, বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি ও নারী সমাবেশ।’

“চবিতে শিক্ষক নিয়োগে ৬ মাসের স্থগিতাদেশ।”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওশানোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের
নির্বাচনী বোর্ডের ওপর ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচনী বোর্ডে
শিক্ষক নিয়োগ কেন আইন বহির্ভূত ও অবৈধ হবে না— তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি খসরুজ্জামান ও মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ
আদেশ দেন। এর আগে আইনের ব্যত্যয়ের অভিযোগ তুলে ওশানোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.
মোহাম্মদ অহিদুল আলম ও সহকারী অধ্যাপক মোঃ এনামুল হক হাইকোর্টে রিট করেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের
ভিসি, রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসনিক) ও ওশানোগ্রাফি বিভাগের সভাপতিকে বিবাদী করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রয়। তিনি সিভয়েসকে বলেন, ‘ওশানোগ্রাফি বিভাগে
শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা জানিয়ে চ্যালেঞ্জ করা রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে। ওই বিভাগে শিক্ষক
নিয়োগে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট।’
রিটকারী শিক্ষক ওশানোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম সিভয়েসকে বলেন,
‘ওশানোগ্রাফি বিভাগের জন্য বিজ্ঞাপিত ৬টি প্রভাষক পদের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট বিষয় ওশানোগ্রাফি বিভাগ থেকে
অনার্স ও মাস্টার্স করা মাত্র ৩ জন প্রার্থী আছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রার্থী না থাকায় বিভাগীয়
পরিকল্পনা কমিটি এ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রতিযোগীতামূলক করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে
পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য মত প্রকাশ করে। এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনকে জানানো হয়। কিন্তু প্রশাসন
প্ল্যানিং কমিটির বিষয়গুলো বিবেচনা না করে আগামী ১৫ ডিসেম্বর নিয়োগ বোর্ডের সভা ডাক দেয়। এভাবে
নির্বাচনী বোর্ড বসাতে পারে না। ১৯৭৩ এর অ্যাক্ট অনুযায়ী প্ল্যানিং কমিটির মতামত ছাড়া কোনো বিষয়ে
সিদ্ধান্ত হতে পারে না। তাই বিষয়টি আইন বিরোধী হওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেছি আমরা।

” শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রদীপ্ত শিখায় দূরীভূত হোক সব অন্ধকার’ এ প্রত্যয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম।  সূর্যাস্তের পর প্রদীপ প্রজ্বালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম।
তিনি বলেছেন, একাত্তরে যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা আজও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে
মেনে নেয়নি। বিজয়ের পাঁচ দশক পরে এসেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত থেমে নেই। তারা
বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্বে বাঙালির জাতীয় জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়ে
আসছে অব্যাহতভাবে। এদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে
হবে। যা ছিল আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবী ও ত্রিশ লাখ শহীদের স্বপ্ন।
স্বাধীনতার ঊষালগ্নে বাঙালি জাতির বরেণ্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত‍্যা করে পাকবাহিনীর দোসর রাজাকার
আলবদররা জাতিকে মেধাশূন‍্য করতে চেয়েছিল।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্মরণানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি বীর
মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন
চক্রবর্তী। সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের
চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম মন্টু, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম
চৌধুরী বেদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ
সভাপতি দিলুয়ারা ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌরী শংকর চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, সেলিম চৌধুরী,
কাউন্সিলর রুমকি সেন, আবদুল মালেক খান, সাহেদ মুরাদ সাকু, অ্যাডভোকেট সাইফুন্নার খুশি, জসিম উদ্দিন,
ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া, মনোয়ার জাহান মনি, মো. নাজিম উদ্দিন, পংকজ রায়, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন,
অ্যাডভোকেট কামরুল আযম, ফারজানা আকতার মিলা, ইঞ্জিনিয়ার সনাতন বিজয়, ডা. ফজলুল সিদ্দিকী, নবী
হোসেন সালাউদ্দিন, মোজাম্মেল মানিক, কামাল উদ্দিন, দীপন দাশ, শহিদুল আলম লিটন, আবদুর রহিম, সোহেল
ইকবাল, মঈনুল আলম খান, ইমরান মুন্না, নুরুল হোসেন মাসুদ, মো. হোসেন চৌধুরী সাদ্দাম, এমএইচ মানিক,
হাসান মুরাদ, ইসমে আজিম আসিফ, মো. ফয়সাল প্রমুখ।
বক্তারা আইন করে স্বাধীনতাবিরোধীদের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, ৩০ লাখ
শহীদের আত্মদানে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে কোনো আপস হতে পারে না।