“চট্টগ্রামে মেট্রোরেল ৭০ কোটি টাকা অনুমোদন”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এরিয়ার জন্য ট্রান্সপোর্ট মাস্টার প্ল্যানের উদ্যোগ
নেওয়া হচ্ছে। এজন্য ‘ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান অ্যান্ড প্রিলিমিনারি ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর আরবান মেট্রোরেল
ট্রানজিট কন্সট্রাকশন অব চিটাগাং মেট্রোপলিটন এরিয়া’ শীর্ষক প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া
হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১৩
কোটি ৬৩ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা থেকে ৫৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক
পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যানজট হ্রাস ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জনগণের
জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য পরিবেশবান্ধব মেট্রো সিস্টেম চালু করা হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ডিটিসিএ,
সিডিএ, সিসিসি ও সিএএ’র প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
একনেক সভা জানায়, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগরী চট্টগ্রামে ৪০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। শিল্পকারখানা ও
ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান প্রসারের মাধ্যমে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক
উন্নয়ন ও দ্রুত নগরায়ন ঘটেছে। ফলে চট্টগ্রামে মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় ক্রমান্বয়ে চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ট্রাফিক জ্যাম, দুর্ঘটনা, বায়ুদূষণ ইত্যাদি সমস্যা বেড়ে চলছে।
চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশের পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন
কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রামের ট্রাফিক ও
পরিবহনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন কৌশল নিয়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে। পরে চট্টগ্রাম সিটি
করপোরেশন এমআরটি লাইন স্থাপনের জন্য একটি প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করে। চট্টগ্রাম মহানগরীর
যানজট পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সংস্থা নানা পদক্ষেপ নিলেও সমন্বিত পরিকল্পনা না থাকায় বিচ্ছিন্নভাবে
নেওয়া প্রকল্প জনদুর্ভোগে লাঘবে ফলপ্রসূ হয়নি।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রমে ৫৭ কোটি টাকার পরামর্শক সেবা (মাস্টারপ্ল্যান এবং প্রাক সম্ভব্যতা সমীক্ষা), ৩ কোটি
৫০ লাখ টাকার পরামর্শক সেবা (প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন), ২ কোটি ২৯ লাখ টাকার আউটসোর্সিং, ১ কোটি টাকার
কারিগরি পরামর্শক, এক কোটি টাকার পরিবহন পরামর্শক এবং ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার গাড়িভাড়া বাবদ ব্যয়
ধরা হয়েছে।
“চট্টগ্রামে ৪৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুট”
চট্টগ্রামে ৪৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুট চট্টগ্রামের রাউজানে প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় আটজনকে
গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৬ ভরি স্বর্ণালংকার, মুদ্রা ও সোনা বিক্রির নগদ ৩০ লাখ
টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)
মো. নুরুল আবছার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মুসা, সাইদুল ইসলাম প্রকাশ সাইফুল, খোরশেদুল আলম, সাজ্জাদ হোসেন, মো. বাপ্পি, সজল
শীল, মো. ইদ্রিস প্রকাশ কাজল ও বিপ্লব চন্দ্র সাহা। এর আগে সোমবার (২১ নভেম্বর) রাউজান থানার বিভিন্ন
এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো.
নুরুল আবছার বলেন, গত ২৭ অক্টোবর প্রবাসী মোহাম্মদ সরোয়ার চৌধুরী দুবাই থেকে দেশে আসেন।
পরদিন রাতে সপরিবারে তিনি এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। ঘরে রেখে যান তার বয়স্ক বাবাকে। এই
সুযোগে গভীর রাতে ডাকাতরা তার লোহার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। ভিতরে ঢুকেই তার বাবার মুখ চেপে
ধরে হাত-পা বেঁধে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আলমারিতে থাকা ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫ লাখ টাকা ও
৫টি মোবাইল ও একটি ট্যাব নিয়ে যায়।
ভোর ৪টা পর্যন্ত তারা ওই বাড়িতে ডাকাতি করে। এ ঘটনায় গত ৯ নভেম্বর সরোয়ার চৌধুরী রাউজান থানায়
মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া তিনি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য র্যাবের কাছেও লিখিত আবেদন করেন। তিনি
আরও বলেন, তার আবেদনের পর এ ঘটনায় র্যাব অভিযান শুরু করে। গতকাল সোমবার বিকেলে রাউজান
থানাধীন দক্ষিণ গহিরা সিবের ঘাট এলাকার একটি বাসা থেকে ডাকাতির মূলহোতা মুসাকে গ্রেপ্তার করা হয়।