বিদ্যুৎতের শর্টসার্কিটের ফলে আগুন,ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন পরিবার ।
মোহরম আলী বাপ্পী, চট্টগ্রাম (সীতাকুুন্ড) –
চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে আগুনে তিনটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।এতে ওই পরিবারগুলো সর্বস্ব হারিয়েছে। শুক্রবার (১৩ই জানুয়ারি) মধ্যরাতে প্রায় দুইটার সময় সীতাকুণ্ড কুমিরা এলাকার মসজিদ্দা গ্রামের মোল্লাপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে, প্রায় এক ঘণ্টা বিশ মিনিট চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
পুড়ে যাওয়া ঘরগুলোর মালিক যথাক্রমে মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন,মোহাম্মদ হারুন, মোঃ আফছার। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের মালিক নাসির আহমেদ প্রতিবেদক কে বলেন ঘর থেকে একটি খরও বের করা যায়নি কোনমতে পরিবার নিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছি।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিবেদক কে জানান,আগুনের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে রওনা করলেও রাস্তার কারণে একটু বিলম্বিত হতে হয়েছে, আমাদের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় এবং একঘন্টা দশ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
গ্রামবাসী জানান ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার সময় প্রথমে কালবার্টের সাথে গাড়ির চাকা আটকে পড়ে,ওইখান থেকে কিছু সামনে আসলে রাস্তা ভাঙ্গা থাকার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে, পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ওইখান থেকে যথাস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে বিলম্ব ঘটে। তাই সকলের দাবি গ্রামবাসীর কথা বিবেচনা করে, যেন দ্রুত রাস্তা এবং অপরিকল্পিত কালভার্ট সংস্কার করা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য মানবিক সংগঠনগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়।
গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর আয়োজনে ফ্রি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রিপোর্ট – মিনহাজ বাঙালী –
আগামি ১০ মাঘ (২৪ জানুয়ারি) মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এঁর ১১৭তম বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিন শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ফ্রি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল ক্যাম্প ও টেলিমেডিসিন সেবা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাইজভাণ্ডারী শাহ এমদাদীয়া ব্লাড ডোনার্স গ্রুপের আয়োজনে এবং গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও নায়েব সাজ্জাদানশীন, মাইজভাণ্ডারী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিআইআরআই)’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এই মেডিকেল ক্যাম্প।
মেডিকেল ক্যাম্পে মেডিসিন, হৃদরোগ, গাইনী, শিশু রোগ, বাথ-ব্যাথা, অর্থোপেডিক্স, মানসিক স্বাস্থ্য, চর্ম ও চক্ষু বিভাগের ১০০০ রোগীকে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
ফি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসাসেবা দেন ডা. গোলাম মোস্তফা জামাল, ডা. মো. ইয়াছিন, ডা. মু. সৈয়দুল আলম কোরাইশী, ডা. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (সুমন), ডা. ফাহমিদা ইউসুফ, ডা. আসমা হাফিজ, ডা. তৌহিদুল আলম, ডা. কে এম রাসেল, ডা. মোহাম্মদ রিদওয়ান চৌধুরী, ডা. আয়শা সিদ্দিকা, ডা. উম্মুল খায়ের ফেন্সী, ডা. মাহমুদুল ইসলাম মুন্না, ডা. সায়মা নুর, ডা. মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, ডা. মোহাম্মদ পারভেজ রানা, ডা. মো. ওহী উদ্দিন সুমন, ডা. রিগান কুমার শীল, ডা. নাহিদা সেলিম, ডা. আরাফাত সুলতানা, ডা. একরামুল হক এবং আল নূর কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল।
সকাল ১১টার দিকে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) ও নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) এবং ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরেফিন আজিম।
প্রতিবছরের মতো এ বছরও ওরশে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও ভারত, মিয়ানমার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, চায়না, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ওমানসহ নানা দেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্ত অংশ নেবেন। আগামি ২৪ জানুয়ারি রাতে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ১০ দিনব্যাপী ওরশের কার্যক্রম।