চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি ৬ মাসের জন্য স্থগিত করল হাইকোর্ট ফলে ইনডেক্স ধারীদের আবেদন করতে আর কোন বাধা রইল না।
নিজস্ব প্রতিবেদক –
চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রোববার (৮ জানুয়ারি) ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের পক্ষে করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি জাফর আহমেদ এবং বিচারপতি মো. বশিরুল্লাহ’র বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মনিরুজ্জুমান আসাদ ও অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরজ রাসূল ও অ্যাডভোকেট পায়েল। রুলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান, এনটিআরসিএ সচিব ছাড়াও বেশ কয়েকজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার মনিরুজ্জুমান আসাদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। পরিপত্রে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সমপদে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হয়। এই পরিপত্র অনুযায়ী প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা আবেদন করে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করেছেন।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরেকটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সমপদে আবেদনের সুযোগ সাময়িক স্থগিত করা হয়। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ১২ নম্বর পয়েন্টে একই বিষয়টি পুনরায় উল্লেখ করা হয়। মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র এবং চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির এই দুটি বিষয়ের ওপর আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
ব্যারিস্টার মনিরুজ্জুমান আসাদ আরও বলেন, ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ বন্ধের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। এর ফলে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদের আবেদনের ক্ষেত্রে আর কোনো বাঁধা থাকল না।
ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের পক্ষে রিটটি করেছিলেন শিক্ষক নেতা মো. উজ্জ্বল আলী।