Dhaka ০৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চতুর্থ গণ বিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্স বাদ দিয়ে হলেও চাকুরীতে আবেদনের সুযোগ চান ইনডেক্স ধারী শিক্ষকরা।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৫৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • ২৮৯ Time View
চতুর্থ গণ বিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্স বাদ দিয়ে হলেও চাকুরীতে আবেদনের সুযোগ চান ইনডেক্স ধারী শিক্ষকরা।
মোঃ মিজানুর রহমান সটাফ রিপোর্টার খুলনা –
।বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গণবিজ্ঞপ্তির ঠিক আগ মুহূর্তে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের নিয়োগ বিধিমালার ৭ নম্বর ধারাটি স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে করে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন না আগে থেকেই এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত শিক্ষকরা। তবে ইনডেক্স নম্বর বাদ দিয়ে হলেও আবেদনের সুযোগ দাবি করেছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলীর বিষয়টি এমপিও নীতিমালায় উল্লেখ থাকলেও তাদের বদলীর কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে বিভিন্ন সময় শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন ইনডেক্সধারীরা। আবেদনের পর মেধার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার ৭ নম্বর ধারায় বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘‘কর্মরত কোন শিক্ষক যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন তবে তাকেও অপরাপর আবেদনকারীদের একইরূপ মেধাক্রমের ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হবে।’’ তবে গত ১০ নভেম্বর এটি সাময়িক স্থগিত করে পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা বলছেন, যেহেতু বেসরকারি শিক্ষকদের বদলীর কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই তারা গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে নিজ বাড়ির কাছের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পরিপত্রটি স্থগিত করায় তাদের সেই সুযোগ থাকছে। নিজ বাড়ি থেকে ৪০০/৫০০ কিলোমিটার দূরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হয়। এই অবস্থায় ইনডেক্স বাদ দিয়ে হলেও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ চান তারা।
মো. আবদুল্লাহ নয়ন নামে এক শিক্ষক জানান, আমি তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিজ বাড়ি থেকে অনেক দূরের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে বাড়ির কাছের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাওয়ার আশায় রয়েছি। তবে আমাদের আবেদনের সুযোগ স্থগিত করা হয়েছে। যেহেতু ইনডেক্সধারীদের সুযোগ দেওয়া হবে না; সেহেতু  ইনডেক্স বাদ দিয়ে হলেও যেন আমাদের আবেদনের সুযোগ যেন থাকে। নিজের পরিবার ছেড়ে শতশত মাইল দূরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার কষ্ট সবাই বোঝে না।
আবদুল্লাহ রেজওয়ান নামে আরেক শিক্ষক জানান, আমি তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে একটি এমপিও প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। তবে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ ছিল। ইনডেক্সধারীদের আবেদনের কারণে আমাদের মধ্যে অনেকেই কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি পায়নি। ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে যদি আমাদেরকে আবেদনের সুযোগ না দেওয়া হয়, এটা চরম অন্যায় হবে। কারণ, আমাদের থেকে অনেক কম নম্বরধারীরাও বাড়ির পাশে চাকরি পাবে। কিন্তু আমরা বঞ্চিত হলাম। আমরা ইনডেক্স ছাড়াও আবেদন করতে পারবো না, কারণ পুলিশ ভেরিফিকেশনে সমস্যা হবে। আমাদের প্রতি চরম অবিচার করা হচ্ছে।
ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ রাখা না রাখার বিষয়ে জানতে এনটিআরসিএ’র একাধিক কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা কর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। তবে তারা কেউ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালার সাত নম্বর পরিপত্র স্থগিতের বিষয়টি আমরাও দেখেছি। যেহেতু এটি মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়েছে। তাই এ বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবেন। আমাদের এ বিষয়ে মন্তব্য করাটা সমীচীন হবে না। এ প্রসঙ্গে জানতে শিক্ষা সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক এবং মাধ্যমিক-২ শাখার অতিরিক্ত সচিব আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
“খুলনার দাকোপ উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের তিন সদস্যের বিদায় সংবর্ধনা”
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা –
খুলনার দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাসের উপস্থিতে দাকোপ উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের তিন জনকে বিদায় সংবর্ধনা। সকাল ১১ঘটিকায় ইউএইচ&এফপি এবং ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হক নিজামী, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার প্রবীর কুমার রায়, গ্রাম বাংলার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর শাখা ব্যবস্থাপক মনীষ রায় কে বিদায় জানানো হয়েছে। দাকোপ উপজেলা অফিসার্স ক্লাব, দাকোপ, খুলনা এর পক্ষ থেকে তিন জনকে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যলায়ে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেন। সাথে সাথে নবনিযুক্ত নতুন ইউএইচ&এফপিও  সমাজসেবা অফিসার সহ দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। দাকোপ উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, গত ইং ৫ নভেম্বর দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হক নিজামীর চাকরির মেয়াদ কাল শেষ হয়। এবং সমাজ সেবা অফিসার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর ব্যবস্থাপক এর স্থান পরিবর্তনের জন্য এ বিদায় সংবর্ধনা। জানা যায়, দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ দিন যাবত ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হক নিজামী সু নামের সাথে দাকোপের মানুষের সেবা দিয়েছেন। তাছাড়া অন্য দিকে দাকোপ উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার প্রবীর কুমার রায় একজন উদার মানবিক মানুষ, মায়াবী, সহজ সরল সততার প্রতীক, সৎ অফিসার হিসাবে দাকোপ বাসির পাশে ছিলেন। আর এক জন মানুষ, তিনি দাকোপ উপজেলার লাউডোব ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য সরোজিত কুমার রায়ের সন্তান,যার হাতে গরীব অসহায় মানুষের পথ চলা যিনি দায়িত্বে ছিলেন পল্লী সঞ্জয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় মনীষ রায়। এ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত অফিসারদের প্রতি প্রত্যেকের সাথে বুকে মিলিত হন এবং সকলের প্রতি সকলেই দোয়া আশীর্বাদ করেন। যার যার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন এবং দীর্ঘ আয়ু কামনায় এক আনন্দের স্মৃতি নিয়ে বিদায় নেন।
“খুলনার দাকোপে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কাজী মাসুম আক্তার কে সম্মাননা স্মারক প্রদান”
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা –
খুলনার দাকোপে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কাজী মাসুম আক্তার কে সম্মাননা স্মারক প্রদান। ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী পদক পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মিঃ কাজী মাসুম আক্তারকে চালনা অনার্স কলেজের পক্ষ থেকে সন্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। এ লক্ষ্য ২৬ শে নভেম্বর শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় উক্ত কলেজের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।চালনা অনার্স কলেজের অধক্ষ্য ডঃ অচিন্ত্য কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী পদক পুরস্কার প্রাপ্ত মিঃ কাজী মাসুম আক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত পশ্চিম বঙ্গের সাংস্কৃতিক মোর্চার যুগ্ম আহবায়ক দেবারতী মিত্র, দাকোপ,উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রি, দিগরাজ কলেজের সহকারী অধ্যাপক ধ্রুব শংকর রায়,উক্ত কলেজের সহকারী অধ্যাপকদের মধ্যে বিশ্বজিত রায়,তপন কুমার রায়,মিনা রানী রায়,প্রদীপ কুমার রায়,সমরেশ মিস্ত্রী,অসিত বরণ গোলদার, তপন কুমার মন্ডল,আব্দুল জব্বার হাওলাদার,নীলকমল সাহা,সন্তোষ কুমার মন্ডল,স্বপন কুমার সরকার,সুর্পনা মল্লিক, কার্তিক বিশ্বাস,মোঃ ইমরান শেখ,নিখিল রঞ্জন রায়,শ্যামলী মহালদার,অপূর্ব সরকার,বিদ্যুত রায়,দাকোপ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শিপন ভূঁইয়া, সাবেক সভাপতি শচীন্দ্র নাথ মন্ডল, সাংবাদিক বিধান ঘোষ,চালনা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শহর আলী শেখ মনি,হরি চন্দ্র মন্ডল,বিলাশ বিশ্বাস,কৃষ্ণপদ বিশ্বাস প্রমুখ।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

চতুর্থ গণ বিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্স বাদ দিয়ে হলেও চাকুরীতে আবেদনের সুযোগ চান ইনডেক্স ধারী শিক্ষকরা।

Update Time : ০৪:৫৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
চতুর্থ গণ বিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্স বাদ দিয়ে হলেও চাকুরীতে আবেদনের সুযোগ চান ইনডেক্স ধারী শিক্ষকরা।
মোঃ মিজানুর রহমান সটাফ রিপোর্টার খুলনা –
।বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গণবিজ্ঞপ্তির ঠিক আগ মুহূর্তে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের নিয়োগ বিধিমালার ৭ নম্বর ধারাটি স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে করে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন না আগে থেকেই এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত শিক্ষকরা। তবে ইনডেক্স নম্বর বাদ দিয়ে হলেও আবেদনের সুযোগ দাবি করেছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলীর বিষয়টি এমপিও নীতিমালায় উল্লেখ থাকলেও তাদের বদলীর কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে বিভিন্ন সময় শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন ইনডেক্সধারীরা। আবেদনের পর মেধার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার ৭ নম্বর ধারায় বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘‘কর্মরত কোন শিক্ষক যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন তবে তাকেও অপরাপর আবেদনকারীদের একইরূপ মেধাক্রমের ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হবে।’’ তবে গত ১০ নভেম্বর এটি সাময়িক স্থগিত করে পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা বলছেন, যেহেতু বেসরকারি শিক্ষকদের বদলীর কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই তারা গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে নিজ বাড়ির কাছের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পরিপত্রটি স্থগিত করায় তাদের সেই সুযোগ থাকছে। নিজ বাড়ি থেকে ৪০০/৫০০ কিলোমিটার দূরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হয়। এই অবস্থায় ইনডেক্স বাদ দিয়ে হলেও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ চান তারা।
মো. আবদুল্লাহ নয়ন নামে এক শিক্ষক জানান, আমি তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিজ বাড়ি থেকে অনেক দূরের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে বাড়ির কাছের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাওয়ার আশায় রয়েছি। তবে আমাদের আবেদনের সুযোগ স্থগিত করা হয়েছে। যেহেতু ইনডেক্সধারীদের সুযোগ দেওয়া হবে না; সেহেতু  ইনডেক্স বাদ দিয়ে হলেও যেন আমাদের আবেদনের সুযোগ যেন থাকে। নিজের পরিবার ছেড়ে শতশত মাইল দূরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার কষ্ট সবাই বোঝে না।
আবদুল্লাহ রেজওয়ান নামে আরেক শিক্ষক জানান, আমি তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে একটি এমপিও প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। তবে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ ছিল। ইনডেক্সধারীদের আবেদনের কারণে আমাদের মধ্যে অনেকেই কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি পায়নি। ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে যদি আমাদেরকে আবেদনের সুযোগ না দেওয়া হয়, এটা চরম অন্যায় হবে। কারণ, আমাদের থেকে অনেক কম নম্বরধারীরাও বাড়ির পাশে চাকরি পাবে। কিন্তু আমরা বঞ্চিত হলাম। আমরা ইনডেক্স ছাড়াও আবেদন করতে পারবো না, কারণ পুলিশ ভেরিফিকেশনে সমস্যা হবে। আমাদের প্রতি চরম অবিচার করা হচ্ছে।
ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ রাখা না রাখার বিষয়ে জানতে এনটিআরসিএ’র একাধিক কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা কর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। তবে তারা কেউ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালার সাত নম্বর পরিপত্র স্থগিতের বিষয়টি আমরাও দেখেছি। যেহেতু এটি মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়েছে। তাই এ বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবেন। আমাদের এ বিষয়ে মন্তব্য করাটা সমীচীন হবে না। এ প্রসঙ্গে জানতে শিক্ষা সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক এবং মাধ্যমিক-২ শাখার অতিরিক্ত সচিব আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
“খুলনার দাকোপ উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের তিন সদস্যের বিদায় সংবর্ধনা”
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা –
খুলনার দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাসের উপস্থিতে দাকোপ উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের তিন জনকে বিদায় সংবর্ধনা। সকাল ১১ঘটিকায় ইউএইচ&এফপি এবং ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হক নিজামী, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার প্রবীর কুমার রায়, গ্রাম বাংলার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর শাখা ব্যবস্থাপক মনীষ রায় কে বিদায় জানানো হয়েছে। দাকোপ উপজেলা অফিসার্স ক্লাব, দাকোপ, খুলনা এর পক্ষ থেকে তিন জনকে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যলায়ে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেন। সাথে সাথে নবনিযুক্ত নতুন ইউএইচ&এফপিও  সমাজসেবা অফিসার সহ দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। দাকোপ উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, গত ইং ৫ নভেম্বর দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হক নিজামীর চাকরির মেয়াদ কাল শেষ হয়। এবং সমাজ সেবা অফিসার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর ব্যবস্থাপক এর স্থান পরিবর্তনের জন্য এ বিদায় সংবর্ধনা। জানা যায়, দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ দিন যাবত ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হক নিজামী সু নামের সাথে দাকোপের মানুষের সেবা দিয়েছেন। তাছাড়া অন্য দিকে দাকোপ উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার প্রবীর কুমার রায় একজন উদার মানবিক মানুষ, মায়াবী, সহজ সরল সততার প্রতীক, সৎ অফিসার হিসাবে দাকোপ বাসির পাশে ছিলেন। আর এক জন মানুষ, তিনি দাকোপ উপজেলার লাউডোব ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য সরোজিত কুমার রায়ের সন্তান,যার হাতে গরীব অসহায় মানুষের পথ চলা যিনি দায়িত্বে ছিলেন পল্লী সঞ্জয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় মনীষ রায়। এ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত অফিসারদের প্রতি প্রত্যেকের সাথে বুকে মিলিত হন এবং সকলের প্রতি সকলেই দোয়া আশীর্বাদ করেন। যার যার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন এবং দীর্ঘ আয়ু কামনায় এক আনন্দের স্মৃতি নিয়ে বিদায় নেন।
“খুলনার দাকোপে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কাজী মাসুম আক্তার কে সম্মাননা স্মারক প্রদান”
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা –
খুলনার দাকোপে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কাজী মাসুম আক্তার কে সম্মাননা স্মারক প্রদান। ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী পদক পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মিঃ কাজী মাসুম আক্তারকে চালনা অনার্স কলেজের পক্ষ থেকে সন্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। এ লক্ষ্য ২৬ শে নভেম্বর শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় উক্ত কলেজের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।চালনা অনার্স কলেজের অধক্ষ্য ডঃ অচিন্ত্য কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী পদক পুরস্কার প্রাপ্ত মিঃ কাজী মাসুম আক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত পশ্চিম বঙ্গের সাংস্কৃতিক মোর্চার যুগ্ম আহবায়ক দেবারতী মিত্র, দাকোপ,উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রি, দিগরাজ কলেজের সহকারী অধ্যাপক ধ্রুব শংকর রায়,উক্ত কলেজের সহকারী অধ্যাপকদের মধ্যে বিশ্বজিত রায়,তপন কুমার রায়,মিনা রানী রায়,প্রদীপ কুমার রায়,সমরেশ মিস্ত্রী,অসিত বরণ গোলদার, তপন কুমার মন্ডল,আব্দুল জব্বার হাওলাদার,নীলকমল সাহা,সন্তোষ কুমার মন্ডল,স্বপন কুমার সরকার,সুর্পনা মল্লিক, কার্তিক বিশ্বাস,মোঃ ইমরান শেখ,নিখিল রঞ্জন রায়,শ্যামলী মহালদার,অপূর্ব সরকার,বিদ্যুত রায়,দাকোপ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শিপন ভূঁইয়া, সাবেক সভাপতি শচীন্দ্র নাথ মন্ডল, সাংবাদিক বিধান ঘোষ,চালনা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শহর আলী শেখ মনি,হরি চন্দ্র মন্ডল,বিলাশ বিশ্বাস,কৃষ্ণপদ বিশ্বাস প্রমুখ।