চলতি নভেম্বর মাসেই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি: (এনটিআরসিএ সচিব)
মোঃ মিজানুর রহমান, সটাফ রিপোর্টার খুলনা –
চলতি নভেম্বর মাসেই শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব মো ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেছেন, শূন্যপদের তথ্য দুই অধিদপ্তর থেকে যাচাই হয়ে এসেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিগগিরই স্কুল-কলেজের শূন্যপদের তথ্য যাচাই হয়ে চলে আসবে বলে আমরা আশা করছি। শূন্যপদের তথ্য পাওয়ার পরই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘোষণা দেন তিনি। তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে যাচাই হওয়া শূন্যপদের তালিকা এসেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দু-একদিনের মধ্যেই শূন্যপদের তথ্য চলে আসবে। নভেম্বরেই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে চতুর্থ ধাপে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রার্থীরা। বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৭৪ হাজারে বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক শূন্যপদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই বাছাই করতে অধিদপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে। সচিব আরও বলেন, শূন্যপদের তালিকা তথ্য অধিদপ্তরগুলো থেকে যাচাই হয়ে আসার পর আমাদের কিছু কাজ আছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধান ভুল চাহিদা দিয়েছেন বলে এনটিআরসিএতে আবেদন করেছেন। আমরা ভুল চাহিদা দেয়া পদগুলোকে বাদ দেবো। এরপর মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। গণবিজ্ঞপ্তির সংক্রান্ত কাজে আমাদের প্রতিদিনই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যেতে হচ্ছে।
নভেম্বর মাসে কত তারিখে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে জানতে চাইলে সচিব আরও বলেন, শূন্যপদের তথ্যগুলো যাচাইয়ের কাজ শেষ হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারেই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রার্থীরা শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবিতে এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী অনশন শুরু করেছিলেন। নভেম্বরেই গণবিজ্ঞপ্তি ঘোষণা পাওয়ায় দুপুরে তারা আন্দোলন স্থগিত করেছেন। যদিও নিবন্ধিত প্রার্থীরা বলছেন, কর্মকর্তারা আগেও নভেম্বরে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। দৈনিক আমাদের বার্তা ও দৈনিক শিক্ষাডটকমের মাধ্যমে আমরা সে খবর পেয়েছিলাম। তারা এখনো একই আশ্বাস দিলেন। আশা করি তারা কথা রাখবেন।