টেকনাফ টু সেন্টমার্টিন নৌ-পথে জাহাজ চলাচল বন্ধে মানববন্ধন।
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, টেকনাফ নৌ-পথ দিয়ে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট মালিকরা হ্নীলা ইউপিস্থ সকাল ১১টায় (বৃহস্পতিবার ১৩ অক্টোবর) দমদমিয়া নৌ-ঘাটে এক মানববন্ধন করেন। এ সময় বক্তারা বলেন দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সেন্টমার্টিনের মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস হচ্ছে পর্যটনখাত। বছরে ৪-৫ মাস পর্যটনের মৌসুম থাকে সে পর্যটন মৌসুমকে ঘিরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের আশি থেক এক লক্ষ মানুষ তাদের জীবিকা পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে। তাঁরা বলেন এভাবে হলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের মানুষের বেহাল অবস্থায় পড়তে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনাফকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করছে (বিশেষ করে সাবরাং ও জলিয়ার দ্বীপ) সেখানে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে শুধু মাত্র পর্যটন খাতে উন্নয়নের জন্য, সেখানে পর্যটনখাত বাধার সম্মুখীন হলে আমরা টেকনাফবাসীরা অনেক ধরনের ক্ষতিগ্রস্থ হবো। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, নৌ- পরিবহন মন্ত্রী ও পর্যটন মন্ত্রীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান করেন। রেষ্টুরেন্ট মালিক আয়ুব নামের এক ব্যাক্তি বলেন কক্সবাজার নুনিয়াছড়া (বিআইডব্লিউটি) ঘাট থেকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস যে জাহাজটি সেন্টমার্টিনে আসে, সে জাহাজটি ৫-৬ ঘন্টা সময় অতিক্রম করে সেন্টমার্টিনে পৌঁছায় পাশাপাশি ৭০০-৮০০ জন যাত্রী নিয়ে যায় এবং যাত্রীদের ভোগান্তি শেষ থাকে না খরচের পরিমাণও বেড়ে যায়। এই নিয়ে পর্যটকরা খরচ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন নেপাল-শ্রীলংকা ভ্রমণ করতে যে পরিমাণ খরচ হয় না তার চেয়ে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যেতে। পর্যটকরা নাফনদী ঘেরা পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারে না। কিছু স্বার্থ মহলরা টেকনাফ নৌ-ঘাট থেকে চলাচল বাধাগ্রস্থ করে রেখেছে। এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা এরফানুল হক বলেন, নদীর নাব্যতার সংকটে কথা বিবেচনা করে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্বাভাবিক হলে, স্বাভাবিকতায় ফিরে আসবে। মানববন্ধন শেষে বক্তারা উপজেলা মিলনায়তনে জেলা প্রশাসেনর বরাবর ইউএনও মহোদয়কে স্মারক লিপি প্রদান করেন।