ঠাকুরগাঁওয়ে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুলের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা ।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি –
ঠাকুরগাঁও জেলায় বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। দুটি বিশেষ দিন সামনে রেখে বাহারি ফুলের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দুদিনে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকার ফুল বিক্রি করবেন এমনটাই আশা করছেন। অনেক ব্যবসায়ী ফুলে ক্যাপ পরিয়ে রেখেছেন। বিক্রির ২/৩ দিন আগে ক্যাপ খুলে তা বিক্রি করবেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শহর সহ ঠাকুরগাঁও জেলার ৫ টি উপজেলার বিভিন্ন বাজার, সড়কের মোড় আবাসিক এলাকায় টাটকা ফুল নিয়ে বসেছেন মৌসুমী ফুল ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকৈল, পীরগঞ্জ, হরিপুর, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সহ ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সারা বছর টুকটাক করে ফুলের ব্যবসা চললেও ব্যবসা জমজমাট হয় পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে। সব মিলিয়ে দেখা গেছে পাইকার, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা ফুল নিয়ে বাড়তি বিক্রি ও বাড়তি আয়ের জন্য ব্যস্ত রয়েছেন। কয়েক বছর আগেও ফুলের এমন কদর ছিল না। সময় পল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে এখন সর্বত্রই ফুলের কদর বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা লাল গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, কসমস, ডালিয়া, টিউলিপ, কালো গোলাপ, ঝুমকা লতা, গাজানিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ফুলের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ছাড়াও সামনে রয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারি। এই ৩টি দিবসকে সামনে রেখে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুসরত নেই। ফুল ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ জানান, এবার বসন্তের প্রথম দিনই ভালোবাসা দিবস। এ কারণে ফুলের চাহিদা বেশি। বিক্রিও হচ্ছে ভালো দামে। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে প্রতিটি গোলাপ মানভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হবে।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,
০১৭১৭-৫৯০৪৪৪
ঠাকুরগাঁওয়ে আধুনিক হাসপাতালের ভেতরে বিক্রি হচ্ছে খোলা খাবার ।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি –
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল। হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন রোগী। নানা জাতের রোগ তাদের। কেউ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। কেউ তাকিয়ে আছেন সুস্থতার দিকে। ইদানিং বিভিন্ন রোগের সংক্রমণও বাড়ছে। এর মধ্যে এসব কিছুর তোয়াক্কা না করে হাসপাতালের ভেতরে ফেরিওয়ালা বিক্রি করছেন খোলা খাবার। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ৫ তলায় নারকেলের খোলা ট্রে নিয়ে মেডিসিন বিভাগে প্রবেশ করলেন এক ফেরিওয়ালা। আর রোগীদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিক্রি করছেন ১০ টাকা মূল্যের খোলা নারকেলের অংশ। রোগী ও হাসপাতালে থাকা স্বজনেরাও কিনছেন বেশ সানন্দে। কাছে গিয়ে ছবি তুলতে চাইলে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করেন তিনি। ১৬ টাকার ইনজেকশন কিনতে হল ৮০০ টাকায় হাসপাতালের ভেতরে খোলা খাবার বিক্রি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ইফতেখায়রুল ইসলাম সজীব বলেন, খোলা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। আর হাসপাতালের ভেতরে খাওয়া আরও বেশি ঝুকিপূর্ণ। এতে করে পেটে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে ৷ আর হাসপাতালে এমনি নানা রোগী নানা অসুবিধা নিয়ে আসেন। খোলা খাবার খেলে রোগী ও তার সঙ্গে থাকা স্বজনরাও বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ জামান জুয়েল বলেন, ভেতরে যাতে করে কেউ খাবার বিক্রি করতে না পারে সেজন্য গার্ড রাখা হয়েছে। তাদের অগোচরে হয়তো প্রবেশ করেছে। বিক্রেতাদের অনেকবার বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টিতে আরও সচেতন হব। তবে যারা কিনছেন তাদেরও সচেতন হওয়া জরুরি।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,
০১৭১৭৫৯০৪৪৪