Dhaka ১১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ঐতিহাসিক রাজবাড়িটি বিলুপ্তির পথে । 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
  • ৩৫১ Time View
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ঐতিহাসিক রাজবাড়িটি বিলুপ্তির পথে । 
 মোহাম্মদ মিলন আকতার, ঠাকুরগাঁও জেলা   প্রতিনিধি  ।
হরিপুর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত রাজবাড়িটি আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।  এই অট্টালিকা নির্মিত হয় ১৮৯৩  খ্রিস্টাব্দে। এটি নির্মাণ কাজ শুরু   করেন রায় ঘনশ্যাম কুন্ডুর  বংশধর রায় কেন্দ্র   রায় চৌধুরী  আর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন তাঁর পুত্র যোগেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরী।  যোগেন্দ্র নারায়ণের সমাপ্তকৃত রাজবাড়িটি দ্বিতল ভবনের লতা পাতার নকশা এবং পূর্ব দেওয়ালের শীর্ষে রাজশ্রী যোগেন্দ্র নারায়ণের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি   রয়েছে  ।রাজশ্রী   যোগেন্দ্র   ছিলেন বিদ্যানুরাগী তাই তিনি নির্মাণ করেছিলেন গ্রন্থগারও। ভবনটির পূর্ব পাশে একটি শিব মন্দির এবং মন্দিরের সামনে নট মন্দির  রয়েছে।  ১৯০০ সালের দিকে ঘনশ্যামের বংশধররা বিভক্ত হলে হরিপুর রাজবাড়ি টি দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে যায় । এই ঐতিহাসিক রাজবাড়িটি আজ অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।  দেখভালের নেই কেউ।  অবহেলা আর অযত্নে   ঐতিহাসিক রাজবাড়িটি আজ যেন বিড়ান বাড়ি  । তবুও এই ঐতিহাসিক স্থানটিতে ঠাকুরগাঁও জেলা সহ বিভিন্ন জেলার মানুষ ঘুরতে আসে  ।  স্থানীয়দের দাবি -এই ঐতিহাসিক রাজবাড়ীটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করে  ঐতিহ্য   ধরে রাখা সরকারের পাশাপাশি স্থানীয়দের এগিয়ে আসা উচিত  ।।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ঐতিহাসিক রাজবাড়িটি বিলুপ্তির পথে । 

Update Time : ০৩:৫১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ঐতিহাসিক রাজবাড়িটি বিলুপ্তির পথে । 
 মোহাম্মদ মিলন আকতার, ঠাকুরগাঁও জেলা   প্রতিনিধি  ।
হরিপুর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত রাজবাড়িটি আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।  এই অট্টালিকা নির্মিত হয় ১৮৯৩  খ্রিস্টাব্দে। এটি নির্মাণ কাজ শুরু   করেন রায় ঘনশ্যাম কুন্ডুর  বংশধর রায় কেন্দ্র   রায় চৌধুরী  আর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন তাঁর পুত্র যোগেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরী।  যোগেন্দ্র নারায়ণের সমাপ্তকৃত রাজবাড়িটি দ্বিতল ভবনের লতা পাতার নকশা এবং পূর্ব দেওয়ালের শীর্ষে রাজশ্রী যোগেন্দ্র নারায়ণের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি   রয়েছে  ।রাজশ্রী   যোগেন্দ্র   ছিলেন বিদ্যানুরাগী তাই তিনি নির্মাণ করেছিলেন গ্রন্থগারও। ভবনটির পূর্ব পাশে একটি শিব মন্দির এবং মন্দিরের সামনে নট মন্দির  রয়েছে।  ১৯০০ সালের দিকে ঘনশ্যামের বংশধররা বিভক্ত হলে হরিপুর রাজবাড়ি টি দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে যায় । এই ঐতিহাসিক রাজবাড়িটি আজ অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।  দেখভালের নেই কেউ।  অবহেলা আর অযত্নে   ঐতিহাসিক রাজবাড়িটি আজ যেন বিড়ান বাড়ি  । তবুও এই ঐতিহাসিক স্থানটিতে ঠাকুরগাঁও জেলা সহ বিভিন্ন জেলার মানুষ ঘুরতে আসে  ।  স্থানীয়দের দাবি -এই ঐতিহাসিক রাজবাড়ীটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করে  ঐতিহ্য   ধরে রাখা সরকারের পাশাপাশি স্থানীয়দের এগিয়ে আসা উচিত  ।।