উপজেলা প্রতিনিধি রামগঞ্জ লক্ষ্মীপুর। দীর্ঘই ষোল বছর ধরে ইউস ভূঁইয়া ও তার নেতাকর্মী অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, উদনপাড়া ও সাউধেরখীল এলাকার জনসাধারণকে শোষন,করে ইউসুফ ভুঁইয়া ও তার নেতা কর্মী স্বৈরাচার শাসন আমলে অকর্থ নির্যাতন, চাঁদাবাজি, মাদকদ্রব্য বিক্রয়, ঘরে ঘরে ঢুকে সালিশের নামে মানুষকে আর্থিকভাবে হয়রানি, লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নানান অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিক্ষেপ করেন উদনপাড়া জনসাধারণ।
রিপোর্ট : মো মোবারক হোসেন
প্রবাসী মনসুর খান ও শামসুদ্দিন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে, আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ইউসুফ ভূঁইয়া, শাহাবুদ্দিন মেম্বার সহ তাদের সহোযোগি সন্ত্রাসী গ্যাং এর অত্যাচারে দীর্ঘ ১৬ বছর লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে- উদনপাড়া ও সাউধেরখীল এলাকার জনসাধারণকে শোষন, স্বৈরাচার শাসন আমলে অকর্থ নির্যাতন, চাঁদাবাজি, মাদকদ্রব্য বিক্রয়, ঘরে ঘরে ঢুকে সালিশের নামে মানুষকে আর্থিকভাবে হয়রানি, লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নানান অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিক্ষেপ করেন উদনপাড়া জনসাধারণ।
এমনকি গ্রামের কোন প্রবাসী যখন ছুটিতে আসতো তাদেরকে ফোন দিয়ে চাঁদা চাইতো, যদি কোন প্রবাসী চাঁদা দেওয়াতে অস্বীকার করত, তাতে তারা তাদের বাড়িতে এসে মারধর করতো এবং মিথ্যা মামলা ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো। এবং জোরপূর্বক মানুষের জায়গা দখল করতো।
বিক্ষোপে তাদের বক্তব্যে উঠে আসেন, উদনপাড়া খোশালের বাড়ি আফাজউদ্দিন পাটওয়ারী ও তার ছেলে ফরিদের বক্তব্যে, তার থেকে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটা পারিবারিক জামেলাকে কেন্দ্র করে। তারা এসব টাকা ফেরত ছেয়ে একটা সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
পানাউল্লাহ বাড়ির মন্তাজ আড়ৎদার এর ছেলে ফারুক হোসেন এর থেকে- সাউধেরখীল মজুমদার বাড়ির ইউছুফ ভূঁইয়া ও তার দল জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে অশ্ররুদ্ধ করে ৫০,০০০/-টাকা চাঁদা আদায় করে নিয়ে গেল বলে জানান ফারুকের স্ত্রী ফিন্কী।
এমনকি মাতৃত্বের কার্ড দিবে বলে অসহায় পারুকের স্ত্রীর কাছ থেকে 5000/- টাকা নিয়ে গেছে।
গুনার বাড়ির আনোয়ারের বিল্ডিং এর কাজ করতে কন্টাক্টর এর সাথে সামান্য ঝামেলা হওয়াতে তার শ্বশুর পানাউল্লা বাড়ির বিল্লালের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলো মজুমদার বাড়ির ইউসুফ ভূঁইয়া, ইসমাইল, এছাক।
পানাউল্লা বাড়ি দেলোয়ার বিল্ডিং করছে ছাড়া বাড়িতে, তাদের ঘরে তালা মেরে ১,৭০,০০০/- চিন্তাই করে নিয়ে গেছে। বক্তব্যেপানাউল্লা বাড়ির মোঃ বিল্লাল হোসেন এবং তাদের দাবি তার এর উপযুক্ত বিচার চায় ও তাদের টাকা ফেরত চায়।
ভিক্ষা করে পানাউল্লা বাড়ির মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও তার মা ছালেয়া বেগম, তাদের কাছ থেকেও ৩০ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করে হাতিয়ে নিয়েছি মোহাম্মদ ইউসুফ ভূঁইয়া।
পানাউল্লা বাড়ি সোহেল বিল্ডিং করা সময় মজুমদার বাড়ির শাহাবুদ্দিন মেম্বার ও তার ভাই ইউসুফ দুজনে মিলে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিল নানান অজুহাতে, বললেন সোহেল হোসেনের মা খুরশিদা বেগম।
পানাউল্লাহ বাড়ির মনোহার তাদের এসব নানান কীর্তি কান্ডের ঘটনা তুলে ধরেন।
এবং তারা বলেন মজুমদার বাড়ির তাদের অত্যাচার নির্যাতিত হয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের আগে একটা ফুটবল খেলা কে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুর কোটে একটা চিয়ার মামলা করেন পানাউল্লা বাড়ির মোঃ জয়নাল আবেদিন।
গত ৫ ই সেপ্টম্বর লক্ষ্মীপুর কোর্টে তাদের হাজিরার তারিখ থাকায় আগাম জামিন নিয়ে এসে তার আবার জয়নাল আবদিনের নাতি মোহাম্মদ শামীম হোসেন তার নানার বাড়ি থেকে তার বাড়িতে যাওয়ার পথে আবার পরিকল্পিতভাবে হামলা করেন- মজুমদার বেপারি বাড়ির মনসুর খান, মুনসুর এর ছেলে নাহিদ, ইউসুফ আলী ভূঁইয়া,
বাবুল মিয়া, স্বপন আহমেদ, ইব্রাহিম, আরমান হোসেন, কাউসার হোসেন, শাহাবুদ্দিন মেম্বার, সাফিন সহ তাদের গ্যাং। তাদের বিরুদ্ধে আবার থানায় অভিযোগ হওয়াতে। ১ নং আসামি মনসুরের বিল্ডিং এর গ্লাস রাতের অন্ধকারে অজান্তে কেউ ভাঙ্গাতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন – সাউধেরখীল মজুমদার বাড়ির মনসুরের স্ত্রী সেলিনা বেগম।
মো: মনুহার বলেন, এসব মামলা প্রত্যাহার সহ বিগত দিনের দাগি অত্যাচারী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ইউছুফ ভূঁইয়া( সাধারণ সম্পাদক ২ নং নোয়াগাঁ ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ।)
ও তার ভাই মো:শামসুদ্দিন ভূঁইয়া ও শাহাবুদ্দিন মেম্বার এবং তাদের সঞ্চালক মো মুনসুর খান সহ গ্যাংদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
পানাউল্লা বাড়ির জয়নাল আবেদিন বলেন,
সাধারন একটা খেলা কে কেন্দ্র করে আমার নাতির উপর বারবার হামলা এবং ঘর থেকে টেনে নিয়ে তাকে মারধর করা, এবং আমার স্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়া, এবং পরবর্তীতেও আমার নাতিকে আবার আক্রমণ করা। এইসবের আসামী মজুমদার বেপারি বাড়ির মনসুর খান, মুনসুর এর ছেলে নাহিদ, ইউসুফ আলী ভূঁইয়া,
বাবুল মিয়া, স্বপন আহমেদ, ইব্রাহিম, আরমান হোসেন, কাউসার হোসেন, শাহাবুদ্দিন মেম্বার, সাফিন সহ তাদের গ্যাংদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জাবান।
সাম্প্রতিক মজুমদার বাড়ীর মুন্সুরের বিল্ডিং এর গ্লাস ভেঙ্গাকে কেন্দ্র করে ৪ নং আসামী শাফায়েত বলেন, যখন রাতে হইছই শুরু হয়, তখনই একটা ফেসবুক নিয়ে যে দেখলাম, দুর্বৃত্তদের আক্রমণে গ্লাস ভাঙ্গা ছিল একটা, ফেজবুক নিউজে কোন চিন্তাইর কথা বলেনি, সকালে শুনি তাদের নগদ অর্থ ও সোনাগায়না লুট করেছে, তাহলে রাতে কেন বলল না তাদের নগদ অর্থ সোনাগায়না লুট হয়েছিল। এটা সম্ভবত পরিকল্পিত ও মামলা মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য।