রহজান আহম্মেদ (রঞ্জু), বরিশাল
জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আ. ন. ম শামসুল ইসলাম
বলেছেন, দীর্ঘদিনের স্বৈরচারী দুঃশাসনের পর দেশের মানুষ এখন শান্তি চায়,
স্বস্তি চায়। তারা জামায়াত ইসলামকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। কারণ মানুষ জানে,
জামায়াতই পারবে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে। শনিবার (২৮
সেপ্টেম্বর) বরিশাল নগরের একটি অডিটরিয়ামে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে
আয়োজিত রুকন (সদস্য) শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা
বলেন। শামসুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী স্বৈরারচার ১৫ বছর জনগণের ওপর চেপে
বসেছিল, কিন্তু আল্লাহর রহমত যখন আসে তখন শয়তানি শক্তি পালাতে বাধ্য হয়।
ন্যায়ের জন্য যারা লড়াই করে তাদের বিজয় নিশ্চিত। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এখন
আমরা আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করতে চাই। জামায়াতের এ নায়েবে আমির
বলেন, শেষ পর্যন্ত তরুণ প্রজন্মকেও রাজাকার সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তাদের
দমন করতে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু আবু সাঈদের মতো তরুণরা
বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে। তরুণদের এ ত্যাগের মাধ্যমেই দেশ স্বৈরাচার
মুক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম-১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক এ সংসদ
সদস্য বলেন, ১৫ বছর জামায়াতের কর্মীরা ঘরে থাকতে পারেননি। আমাদের শীর্ষ
নেতাদের বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে। আরও অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করা
হয়েছে। মামলা-হামলা, গুম-খুন করে দমানোর চেষ্টা করা হয়েছে; কিন্তু জামায়াতে
ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দমানো যায়নি। যার সাক্ষ্য দিচ্ছে এখন দেশের
প্রতিটি জনগণ। এ নেতা বলেন, এখন দেশের মানুষ জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্কে
ইতিবাচক ধারণ পোষণ করে। তাদের ভুল বোঝানোর আওয়ামী অপচেষ্টা ব্যর্থ
হয়েছে। জনগণের সামনে এখন জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে ধারণা দিবালোকের মতো
স্পষ্ট। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবদুল জব্বারের সভাপতিত্বে ও নায়েবে
আমির ড. এসএম মাহফুজুর রহমানের পরিচালনায় শিক্ষা শিবিরে আরও বক্তব্য
রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম, অ্যাডভোকেট
মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিশে সুরা সদস্য মাওলানা ফখরুদ্দিন
খান রাজী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে
আমির মাস্টার আবদুল মান্নান, সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুন্নবী তালুকদার,
সহকারী সেক্রেটারি আজিজুর রহমান অলিদ, অধ্যাপক সাইয়েদ আহমেদ খান।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াত নেতা হাফেজ সাইফুল ইসলাম,
অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, সাইফুর রহমান অ্যাডভোকেট আজম খান,
অ্যাডভোকেট জহিরউদ্দিন ইয়ামিন, নুরুল হক সোহরাব, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম,
ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি আবদুল কাদের ও সেক্রেটারি আলি আকবর।