Dhaka ০১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“নবীগঞ্জে জোড়া হাতি নিয়ে বিভিন্ন বাজারে চলছে জমজমাট চাঁদাবাজি” 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
  • ৬১৪ Time View
“নবীগঞ্জে জোড়া হাতি নিয়ে বিভিন্ন বাজারে চলছে জমজমাট চাঁদাবাজি”
স্বপন রবি দাশ,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)থেকেঃ
ঢাকা সিলেট মহা সড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার সহ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে বিশালদেহী ০২জোড়া হাতি। সেই হাতির পিঠে বসা মাহুত রাজু ও মালিক। মাহুতের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতি গুলো নিয়ে। এরপর শুঁড় সোজা এগিয়ে দিচ্ছে দোকানির কাছে। শুঁড়ের মাথায় চাহিদা অনুযায়ী টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতি গুলো। এভাবেই দেখা যায় বিভিন্ন কায়দায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার, বাংলা বাজার, সৈয়দপুর বাজার সহ বিভিন্ন হাট বাজারে হাতি নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজি করে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।(২০ নভেম্বর)শনিবার সন্ধ্যা রাত অনুমান ৭টায়  উপজেলার আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার এলাকায় দেখা যায় এই চাঁদা তোলার দৃশ্য৷ দুটি হাতি তার সাথে হাতির দুটি বাচ্চা নিয়ে হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত রাজু ও মালিক। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরন অনুযায়ী ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকান নয়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এসব মাহুতের। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজার আউশকান্দি ও বাংলা বাজারে হঠাৎ দুই জোড়া হাতি এসে শুঁড় এগিয়ে দেয় দোকানীদের নিকট। সঙ্গে সঙ্গে দোকানীরা ১০/২০ টাকা থেকে শুরু করে হাতিটির শুঁড়ে ১০০ টাকা পর্যন্ত গুঁজে দিতে হয়৷ টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই দোকানদার রূহিনী ঠাকুর, দুধু মিয়া চৌধুরী সহ আরো অনেকেই বলেন, টাকা না দিলেতো হাতি যাবে না। এ ছাড়া দেরি হলে অনেক সময় হাতি ভাংচুর ও শুরু করে। এ জন্য ঝামেলায় জড়ানোর আগেই টাকা দিয়ে জামেলা মুক্ত হই। ব্যবসায়ী কাসেম মিয়া বলেন, ওরা চাঁদাবাজ, আমার দোকানে এসেছিল আমি টাকা দেইনি। বরং একটি লাটি রেখেছিলাম পাশে যদি আমার দোকানের কোন ক্ষয়ক্ষতি হাতি দিয়ে করতো তাহলে তাদেরকে বাজার থেকে যেতে দিতাম না।
এ ব্যাপারে হাতির পিঠে বসে থাকা মাহুত রাজু বলেন, ‘হাতির ভরণপোষণের জন্য সবাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয়। আমরা চাঁদাবাজি করিনা, যে যাহা মনচায় খুশি হয়ে দেন৷ এ ব্যাপারে মাহুত মালিক বলেন, আমরা মৌলভীবাজার কুলাউড়া থেকে এখানে আসছি। এই হাতি গুলোদের ভরণ পোষণের পাশাপাশি এই টাকা দিয়ে তাদের ও তাদের সরদারের সংসার চলে৷ এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে নানান কৌতুহলের সৃষ্টি হলেও অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও কামনা করেন সচেতন মহলের লোকজন।
প্রেরক
স্বপন রবি দাশ
নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি
মোবাইলঃ০১৭০৩-৫৬৮৮৯৭
তারিখঃ২০-১১-২০২২ইং
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

“নবীগঞ্জে জোড়া হাতি নিয়ে বিভিন্ন বাজারে চলছে জমজমাট চাঁদাবাজি” 

Update Time : ০৮:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
“নবীগঞ্জে জোড়া হাতি নিয়ে বিভিন্ন বাজারে চলছে জমজমাট চাঁদাবাজি”
স্বপন রবি দাশ,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)থেকেঃ
ঢাকা সিলেট মহা সড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার সহ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে বিশালদেহী ০২জোড়া হাতি। সেই হাতির পিঠে বসা মাহুত রাজু ও মালিক। মাহুতের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতি গুলো নিয়ে। এরপর শুঁড় সোজা এগিয়ে দিচ্ছে দোকানির কাছে। শুঁড়ের মাথায় চাহিদা অনুযায়ী টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতি গুলো। এভাবেই দেখা যায় বিভিন্ন কায়দায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার, বাংলা বাজার, সৈয়দপুর বাজার সহ বিভিন্ন হাট বাজারে হাতি নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজি করে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।(২০ নভেম্বর)শনিবার সন্ধ্যা রাত অনুমান ৭টায়  উপজেলার আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার এলাকায় দেখা যায় এই চাঁদা তোলার দৃশ্য৷ দুটি হাতি তার সাথে হাতির দুটি বাচ্চা নিয়ে হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত রাজু ও মালিক। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরন অনুযায়ী ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকান নয়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এসব মাহুতের। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজার আউশকান্দি ও বাংলা বাজারে হঠাৎ দুই জোড়া হাতি এসে শুঁড় এগিয়ে দেয় দোকানীদের নিকট। সঙ্গে সঙ্গে দোকানীরা ১০/২০ টাকা থেকে শুরু করে হাতিটির শুঁড়ে ১০০ টাকা পর্যন্ত গুঁজে দিতে হয়৷ টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই দোকানদার রূহিনী ঠাকুর, দুধু মিয়া চৌধুরী সহ আরো অনেকেই বলেন, টাকা না দিলেতো হাতি যাবে না। এ ছাড়া দেরি হলে অনেক সময় হাতি ভাংচুর ও শুরু করে। এ জন্য ঝামেলায় জড়ানোর আগেই টাকা দিয়ে জামেলা মুক্ত হই। ব্যবসায়ী কাসেম মিয়া বলেন, ওরা চাঁদাবাজ, আমার দোকানে এসেছিল আমি টাকা দেইনি। বরং একটি লাটি রেখেছিলাম পাশে যদি আমার দোকানের কোন ক্ষয়ক্ষতি হাতি দিয়ে করতো তাহলে তাদেরকে বাজার থেকে যেতে দিতাম না।
এ ব্যাপারে হাতির পিঠে বসে থাকা মাহুত রাজু বলেন, ‘হাতির ভরণপোষণের জন্য সবাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয়। আমরা চাঁদাবাজি করিনা, যে যাহা মনচায় খুশি হয়ে দেন৷ এ ব্যাপারে মাহুত মালিক বলেন, আমরা মৌলভীবাজার কুলাউড়া থেকে এখানে আসছি। এই হাতি গুলোদের ভরণ পোষণের পাশাপাশি এই টাকা দিয়ে তাদের ও তাদের সরদারের সংসার চলে৷ এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে নানান কৌতুহলের সৃষ্টি হলেও অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও কামনা করেন সচেতন মহলের লোকজন।
প্রেরক
স্বপন রবি দাশ
নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি
মোবাইলঃ০১৭০৩-৫৬৮৮৯৭
তারিখঃ২০-১১-২০২২ইং