Dhaka ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“নলডাঙ্গায় ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে মেলার শুরু”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
  • ৫৬৭ Time View
“নলডাঙ্গায় ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে মেলার শুরু”
এ,কে,এম,খোরশেদ আলম, নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
নাটোরের নলডাঙ্গায় ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা এবং জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড শুরু হয়েছে। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ‘জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ প্রতিপাদ্যে উপজেলা প্রশাসন এ মেলার আয়োজন করে। মঙ্গলবার(২২ নভেম্বর) উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজিনা আকতার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজিনা আকতার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস শুকুর, খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, উপজেলা পয্যায়ের সকল সরকারি কর্মকর্তাগণ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সহ নলডাঙ্গা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সাংবাদিকবৃন্দ।
পরে অতিথিরা মেলায় শিক্ষার্থীদের ২২ টি স্টল পরিদর্শন করেন।
এ,কে,এম,খোরশেদ আলম
নাটোর।
২২-১১-২২ইং

বই পড়ার আগ্রহ তৈরির উদ্দেশ্যে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় তমালতলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। 

মসজিদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সুরাইয়া মমতাজ প্রধান অতিথি থেকে নাম ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পাঠাগারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় সেখানে বক্তব্য দেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী, মসজিদের কার্যনির্বাহি কমিটির সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাধারন কমিটির সভাপতি জামিলুর রহমান বাবু, সাধারন সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন প্রমুখ। পরে দোয়া পরিচালনা করেন মওলানা সাব্বির হোসেন।

মোঃ মুক্তার হোসেন বাগাতিপাড়া নাটোর প্রতিনিধঃ

মোবাইল নম্বর  ০১৭৩৬-৬৯১৮৭৬

২২/১১/২০২২

“গুরুদাসপুরে শীতের আমেজে ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম”
মোঃ সোহাগ আরেফিন গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
সকালের কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যার হিমেল বাতাসে ভাঁপা পিঠার গরম আর সুগন্ধি ধোঁয়ায় মন আনচান করে ওঠে। সরষে বা ধনে পাতা বাটা অথবা শুঁটকির ভর্তা মাখিয়ে চিতই পিঠা মুখে দিলে ঝালে কান গরম হয়ে শীত পালায়। শীতের আমেজ শুরুর সাথে সাথে নাটোরের  গুরুদাসপুরের  অলি-গলির ফুটপাতের বিভিন্ন পয়েন্টে এখন চলছে পিঠ তৈরি ও বেচাকেনার ধুম। পিঠা প্রেমি মানুষ শীতের পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে ফুটপাতের এসব পিঠার দোকানে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ভির করছেন। আবার অনেককেই দেখা যাচ্ছে পিঠার দোকানের চুলার পাশে বসেই গরম পিঠা খাওয়াকে রেওয়াজে পরিণত করেছেন। অনেকে পরিবারের চাহিদা মেটাতে পিঠা ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও সন্ধ্যার পর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, দোকান, ক্লাব, আড্ডায়ও পিঠার আয়োজন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে শ্রমজীবী, রিক্সা-ভ্যান চালক, ড্রায়ভার, বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকসহ অভিজাত শ্রেণীর লোকজনের কাছে অত্যন্ত প্রিয় খাবার শিতের পিঠা। এই শীতে ফুটপাতের পিঠাওয়ালা ভদ্রঘরের অভিজাত গৃহবধূদের মুক্তি দিয়েছে পিঠা তৈরির কষ্ট থেকে। শীতে পরিবারের সবাই নানা পিঠা খেতে উৎসাহী হয়। গ্রাম থেকে শহরের সকল পরিবারেই চলে এ চাহিদা। কিন্তু এ পিঠা তৈরিতে নানা ঝামেলা পোহাতে হয় গৃহবধূদের। দরকার পড়ে নানা উপকরণ। আবার তার সঙ্গে লাগে অভিজ্ঞতা। সব মিলে অন্যসব খাবারের মত সহজে তৈরি করা যায় না শীতের পিঠা। সামর্থেরও প্রয়োজন পড়ে। তাদের সংসারে অধিক মূল্যে চিনি, গুড়, দুধ কেনা কষ্টসাধ্য। তাদের কাছে পিঠা খাওয়া শুধুই স্বপ্ন। কিন্তু তারপরও থেমে থাকেনা তাদের পিঠা খাওয়া। দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের পিঠা খাওয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠেছে প্রায় শতাধিক পিঠার দোকান। এসব পিঠার দোকান বসছে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এ সমস্ত ভাসমান পিঠার দোকানের অধিকাংশ মালিকরাই হলো হতদরিদ্র পরিবারের । স্বচ্ছছলতা ফেরাতে সংসারে অর্থেও যোগান দিতে তারা রাস্তার পাশে চিতই পিঠা ও ভাঁপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করছে। প্রতিটি পিঠা ৩ টাকা থেকে ৫ টাকায় বিক্রি করছে তারা। ভ্যান চালক, দিনমজুর, পথচারী ও শিশু-কিশোর ছাত্র-ছাত্রীরাও এ সমস্থ পিঠা দোকানের প্রধান ক্রেতা। এছাড়া এমন অনেক স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য রয়েছেন যারা মর্নিং ওয়ার্ক করতে গিয়ে ফেরার সময় ওই পিঠা ক্রয় করে বাড়ি নিয়ে যান। সকাল- সন্ধ্যা উপজেলার বিভিন্ন সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে, হাট-বাজারগুলোতে প্রতিদিন ওই সমস্ত পিঠার দোকান বসে। উপজেলার নয়াবাজারের এক দরিদ্র পিঠা বিক্রেতা সাইদুর রহমান জানান,তিনি পিঠা বিক্রি করে প্রতিদিন ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা আয় করে থাকেন। এ কারণে শীত মৌসুমে তাদের সংসারে অভাব একেবারেই থাকে না। দেবদার মোড়ের আব্দুল মালেক মূলত ভাঁপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে। এতে থাকে নারিকেল, খেজুর গুড় ও বাদাম এবং খেতেও স্বাদের। ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা ফুটপাতের এসব দোকানে বিভিন্ন রকমের পিঠা পেয়ে খুব খুশি। এসব পিঠা তারা নিজেরাও খান ও পরিবারের লোকজনদের জন্য নিয়ে যান। তারা অরো বলেন শীতের সকালে বা সন্ধ্যায় গরম গরম পিঠা খেলে মনও ভালো থাকে পেটও ভরে।
শিধুলীর গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী শেখ স্বপন বলেন, শীতের মৌসুমে চিতই  ও ভাপা পিঠা খুবই মজাদার ও সুস্বাদু। আমি প্রতিদিন এই পিঠার একজন ভক্ত। আমার খেতে অনেক মজা লাগে।
উপজেলার সচেতন মহল মনেকরছেন পিঠা ব্যবসায়িরা বেকারত্ব দুরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি তারা লালন করছেন দেশীয় এ সংস্কৃতি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

“নলডাঙ্গায় ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে মেলার শুরু”

Update Time : ০৬:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
“নলডাঙ্গায় ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে মেলার শুরু”
এ,কে,এম,খোরশেদ আলম, নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
নাটোরের নলডাঙ্গায় ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা এবং জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড শুরু হয়েছে। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ‘জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ প্রতিপাদ্যে উপজেলা প্রশাসন এ মেলার আয়োজন করে। মঙ্গলবার(২২ নভেম্বর) উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজিনা আকতার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজিনা আকতার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস শুকুর, খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, উপজেলা পয্যায়ের সকল সরকারি কর্মকর্তাগণ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সহ নলডাঙ্গা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সাংবাদিকবৃন্দ।
পরে অতিথিরা মেলায় শিক্ষার্থীদের ২২ টি স্টল পরিদর্শন করেন।
এ,কে,এম,খোরশেদ আলম
নাটোর।
২২-১১-২২ইং

বই পড়ার আগ্রহ তৈরির উদ্দেশ্যে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় তমালতলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। 

মসজিদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সুরাইয়া মমতাজ প্রধান অতিথি থেকে নাম ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পাঠাগারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় সেখানে বক্তব্য দেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী, মসজিদের কার্যনির্বাহি কমিটির সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাধারন কমিটির সভাপতি জামিলুর রহমান বাবু, সাধারন সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন প্রমুখ। পরে দোয়া পরিচালনা করেন মওলানা সাব্বির হোসেন।

মোঃ মুক্তার হোসেন বাগাতিপাড়া নাটোর প্রতিনিধঃ

মোবাইল নম্বর  ০১৭৩৬-৬৯১৮৭৬

২২/১১/২০২২

“গুরুদাসপুরে শীতের আমেজে ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম”
মোঃ সোহাগ আরেফিন গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
সকালের কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যার হিমেল বাতাসে ভাঁপা পিঠার গরম আর সুগন্ধি ধোঁয়ায় মন আনচান করে ওঠে। সরষে বা ধনে পাতা বাটা অথবা শুঁটকির ভর্তা মাখিয়ে চিতই পিঠা মুখে দিলে ঝালে কান গরম হয়ে শীত পালায়। শীতের আমেজ শুরুর সাথে সাথে নাটোরের  গুরুদাসপুরের  অলি-গলির ফুটপাতের বিভিন্ন পয়েন্টে এখন চলছে পিঠ তৈরি ও বেচাকেনার ধুম। পিঠা প্রেমি মানুষ শীতের পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে ফুটপাতের এসব পিঠার দোকানে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ভির করছেন। আবার অনেককেই দেখা যাচ্ছে পিঠার দোকানের চুলার পাশে বসেই গরম পিঠা খাওয়াকে রেওয়াজে পরিণত করেছেন। অনেকে পরিবারের চাহিদা মেটাতে পিঠা ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও সন্ধ্যার পর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, দোকান, ক্লাব, আড্ডায়ও পিঠার আয়োজন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে শ্রমজীবী, রিক্সা-ভ্যান চালক, ড্রায়ভার, বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকসহ অভিজাত শ্রেণীর লোকজনের কাছে অত্যন্ত প্রিয় খাবার শিতের পিঠা। এই শীতে ফুটপাতের পিঠাওয়ালা ভদ্রঘরের অভিজাত গৃহবধূদের মুক্তি দিয়েছে পিঠা তৈরির কষ্ট থেকে। শীতে পরিবারের সবাই নানা পিঠা খেতে উৎসাহী হয়। গ্রাম থেকে শহরের সকল পরিবারেই চলে এ চাহিদা। কিন্তু এ পিঠা তৈরিতে নানা ঝামেলা পোহাতে হয় গৃহবধূদের। দরকার পড়ে নানা উপকরণ। আবার তার সঙ্গে লাগে অভিজ্ঞতা। সব মিলে অন্যসব খাবারের মত সহজে তৈরি করা যায় না শীতের পিঠা। সামর্থেরও প্রয়োজন পড়ে। তাদের সংসারে অধিক মূল্যে চিনি, গুড়, দুধ কেনা কষ্টসাধ্য। তাদের কাছে পিঠা খাওয়া শুধুই স্বপ্ন। কিন্তু তারপরও থেমে থাকেনা তাদের পিঠা খাওয়া। দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের পিঠা খাওয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠেছে প্রায় শতাধিক পিঠার দোকান। এসব পিঠার দোকান বসছে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এ সমস্ত ভাসমান পিঠার দোকানের অধিকাংশ মালিকরাই হলো হতদরিদ্র পরিবারের । স্বচ্ছছলতা ফেরাতে সংসারে অর্থেও যোগান দিতে তারা রাস্তার পাশে চিতই পিঠা ও ভাঁপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করছে। প্রতিটি পিঠা ৩ টাকা থেকে ৫ টাকায় বিক্রি করছে তারা। ভ্যান চালক, দিনমজুর, পথচারী ও শিশু-কিশোর ছাত্র-ছাত্রীরাও এ সমস্থ পিঠা দোকানের প্রধান ক্রেতা। এছাড়া এমন অনেক স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য রয়েছেন যারা মর্নিং ওয়ার্ক করতে গিয়ে ফেরার সময় ওই পিঠা ক্রয় করে বাড়ি নিয়ে যান। সকাল- সন্ধ্যা উপজেলার বিভিন্ন সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে, হাট-বাজারগুলোতে প্রতিদিন ওই সমস্ত পিঠার দোকান বসে। উপজেলার নয়াবাজারের এক দরিদ্র পিঠা বিক্রেতা সাইদুর রহমান জানান,তিনি পিঠা বিক্রি করে প্রতিদিন ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা আয় করে থাকেন। এ কারণে শীত মৌসুমে তাদের সংসারে অভাব একেবারেই থাকে না। দেবদার মোড়ের আব্দুল মালেক মূলত ভাঁপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে। এতে থাকে নারিকেল, খেজুর গুড় ও বাদাম এবং খেতেও স্বাদের। ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা ফুটপাতের এসব দোকানে বিভিন্ন রকমের পিঠা পেয়ে খুব খুশি। এসব পিঠা তারা নিজেরাও খান ও পরিবারের লোকজনদের জন্য নিয়ে যান। তারা অরো বলেন শীতের সকালে বা সন্ধ্যায় গরম গরম পিঠা খেলে মনও ভালো থাকে পেটও ভরে।
শিধুলীর গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী শেখ স্বপন বলেন, শীতের মৌসুমে চিতই  ও ভাপা পিঠা খুবই মজাদার ও সুস্বাদু। আমি প্রতিদিন এই পিঠার একজন ভক্ত। আমার খেতে অনেক মজা লাগে।
উপজেলার সচেতন মহল মনেকরছেন পিঠা ব্যবসায়িরা বেকারত্ব দুরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি তারা লালন করছেন দেশীয় এ সংস্কৃতি।