“পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৪০ সদস্যের সুন্দরবন পরিদর্শন”
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা
জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটির একদল সুন্দরবন পরিদর্শন করছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তারা মোংলার ফুয়েল জেটি থেকে লঞ্চে করে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ৪০ সদস্যের এ কমিটিতে উল্লেখযোগ্য রয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, এমপি খোদেজা বেগম নাসরিন আক্তার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বনবিভাগের প্রধান বনসংরক্ষক মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আঃ হালিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাকিয়া আফরোজ, বনবিভাগের খুলনাঞ্চলের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো, সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার বিভাগীয় প্রধান নির্মল কুমার পাল। বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন আরো জানান, প্রথমেই এ কমিটি করমজল ইকোট্যুরিজম ও সেখানকার কুমির ও বাটাগুর বাস্কা কচ্ছপের প্রজনন কেন্দ্র ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ (সুন্দরবনের পরিবেশবান্ধব পর্যটন সুবিধা সম্প্রসারণ, উন্নয়ন প্রকল্প ও সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্প) পরিদর্শন করেন। এরপর করমজল থেকে ওইদিনই তারা কটকায় যান। কটকার জামতলা বিচ, বনাঞ্চল ও উন্নয়নমূলক টেকসই বন ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সুন্দরবনে সুপেয় পানীয় জল সরবরাহরে জন্য পুকুর খনন ও পুনঃখনন প্রকল্প এবং সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্প) পরিদর্শন করেছেন। তারপর শুক্রবার নীলকমলের হিরণপয়েন্টের অভয়ারণ্য কেন্দ্রের বনাঞ্চল ও সুন্দরবনে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার পুনঃস্থাপন প্রকল্প এবং সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে রয়েছেন। এছাড়া শনিবার হাড়বাড়ীয়া পর্যটন কেন্দ্রের বনাঞ্চল ও উন্নয়নমূলক টেকসই বন ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সুন্দরবনে সুপেয় পানীয় জল সরবরাহের জন্য পুকুর খনন ও পুনঃখনন প্রকল্প ও সুন্দরবন-সুরক্ষা প্রকল্প পরিদর্শন করেন পরে মোংলায় ফিরে আসেন এবং শনিবারই ঢাকার উদ্দেশ্যে মোংলা ত্যাগ করেন এ কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সদস্যরা।