পেশায় ডাক্তার নেশা জনসেবা ও পরোপকার প্রফেসার ডাঃ সাহেদুল ইসলাম কাওসার ভূঁইয়া, ফেনীতে এক মানবতার ফেরিওয়ালা সাদা মনের ডাক্তারের সন্ধান পাওয়া গেছে।
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীতে এক মানবতার ফেরিওয়ালা সাদা মনের ডাক্তারের সন্ধান পাওয়া গেছে, প্রফেসার ডাঃ সাহেদুল ইসলাম কাওসার ভূঁইয়া। পেশায় ডাক্তার হলেও সামাজিক মান মর্যাদা সবকিছু বিবেচনা করলে তাঁর উচ্চতার নাগাল পাওয়া কঠিন। তবে চাইলেই মিলে দেখা। যেকোন সময়ে রোগী দেখতে তার ভিতর কোন তিক্ততা ভিরক্ত এসব উপলব্ধি হয়নি। বিশেষ করে রোগী যদি যক্ষা আক্রান্ত হয় তাহলে তো কথাই নেই। ডাঃ কাওসার সাহেবের সযত্ন দৃষ্টিই যেন কাজ করত অ্যান্টিবায়োটিকের। রোগীকে স্রেফ সেবা নিতে আসা মানুষ ভেবে ঝটপট কোনো প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেননি কোনো দিন। শারীরিক তো বটেই, মানসিকভাবে উত্ফুল্ল না করে ছাড়তেন না। সরেজমিনে জানা যায়, ফেনীতে ব্যাক্তিগত অনেকগুলো হাসপাতাল থাকা সত্বেও কোনদিন ব্যাবসার উদ্দেশ্যে চেম্বার জমানোর চেষ্টা করেননি ডাঃ সাহেদুল ইসলাম কাওসার ভূঁইয়া। তিনি এমন এক ব্যাক্তি যিনি ডাক্তার, রাজনীতিবীদ,সমাজ সেবক, সাংবাদিক ছাড়াও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর সভাপতি, স্বাধীনতা চিকিৎসকা পরিষদ (স্বাচীপ) এর সাধারণ সম্পাদক।
ফেনীতে জনহিতৈষী ডাক্তার তো অনেকেই আছেন, কিন্তু ডাঃ সাহেদুল ইসলাম কাওসার একজনই।বঝুলিতে আছে দেশ-বিদেশের বিস্তর সম্মাননা।ফেনীতে ওনার প্রতিষ্ঠিত যেসব প্রতিষ্ঠান মানবতার সেবায় নিয়োজিত তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্টান এসকর্ট ইমেজিং সেন্টার, কনসেপ্ট হাসপাতাল, কনসেপ্ট প্লাস, সাইকা, সাইকা প্লাস,প্যাসিফিক সহ নিজ এলাকায় আনোয়ার সাজেদা হেলথ কমপ্লেক্স ও রয়েছে। যেখানে সারা বছরই রোগীদের ডাক্তার দেখাতে কোন ফী লাগে না এমন কি ওষুধ খরচ নিজ অর্থায়নে দিয়ে থাকেন। আরো জানা যায়, ওনি ফেনীতে সবচেয়ে বড় অর্জন বা যে কারনে ওনি সবচেয়ে সুখী উৎফুল্লতা অনুভব করেন। সেটা হলো তিনি ফেনী সহ আশপাশ এলাকার ধনী-গরিব-নির্বিশেষ অগণিত মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান পান।
করোনা কালীন সময়ে ওনার সম্পাদিত পত্রিকা স্পোকট্রাম পত্রিকায় প্রকাশিত, সম্পাদক কলমে লিখেছিলেন। ‘দেশ বাঁচে ভালোবাসায়’ সকল অসহায় গরীবদের মাঝে আপনার ভালোবাসার কিছু অংশ শেয়ার দিন, যেটা আপনি আপনার সম্পদের ব্যাবহার হিসেবে ও দিতে পারেন আপনার টাকার আড়াই শতাংশ জাকাত দেন। সময়ের জাকাতও যদি ২ শতাংশ হয়, সপ্তাহে প্রায় চার ঘণ্টা হয়। এই সময়ে অনেক ভালো কাজ করতে পারবেন। সবার জন্য ২৪ ঘণ্টা সমান। ব্যাপার হলো, এই ২৪ ঘণ্টা কে কিভাবে ব্যবহার করি, সেটাই ভবিষ্যতের সফলতা। যদি আপনি গ্রামের একজন লোককে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন তাহলে তিনি তাঁর পরিবারের ও গ্রামের আদর্শ মানুষ হতে পারেন।’