Dhaka ০২:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেয়ারা চাষে লাভবান শ্রীপুরের কৃষক রাশেদুল।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৩৩৩ Time View
পেয়ারা চাষে লাভবান শ্রীপুরের কৃষক রাশেদুল।
মুজাহিদ শেখ, শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি –
পেয়ারা চাষে চমক দেখালেন মাগুরা শ্রীপুরের কৃষক রাশেদুল আলম কনা। তিনি মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ১৫ বিঘা জমিতে সুস্বাদু পেয়ারার চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রতিদিন অনেকেই আসছে তার এই বাগান দেখতে। তার এই সফলতা দেখে এখন অনেকেই পেয়ারা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তার কাছ থেকে অনেকেই চাষ বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ নিচ্ছেন।
পেয়ারা চাষি রাশেদুল ইসলাম কনা বলেন, ২০১৯ সালে ১৫ বিঘা জমিতে ‘থাই পেয়ারা-৫ ও থাই পেয়ারা-৮’ জাতের ৫ হাজার পেয়ারার চারা রোপণ করি। কোটচাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে উন্নতমানের এই পেয়ারার চারা সংগ্রহ করা হয়। ২০২০ সাল থেকে গাছে ফল ধরা শুরু হয়। এখন প্রতিদিন এ বাগান থেকে ২০ থেকে ২৫ মন পেয়ারা তোলা যায়। বছরে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হলেও প্রতিবছর ৪০ লাখ টাকা আয় হচ্ছে। এছাড়া একই জমির চারপাশে দেশী কাগজি লেবুসহ আরো ৫ বিঘা জমিতে মসুর, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির বিশাল এক সমন্বিত চাষ।
পেয়ারার চাষ নিয়ে তিনি জানান, বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে পেয়ারার ভালো ফলন পাওয়া যায়। তাছাড়া পেয়ারা চাষের জন্য মূলত গাছের পরিচর্যার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কাটিং, পেয়ারা ব্যাগিং করলে ভালো হয়। আর আমি এ পদ্ধতিতেই চাষ করছি। তবে উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী বাগান দেখে গেছেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন।
পেয়ারা বাগান পরিচর্যাকারী শফিকুল আলম দানা বলেন, প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগান থেকেই পেয়ারা নিয়ে যাচ্ছে। এখানে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা জানান, বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশজ ফল উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছি। রাশেদুল ইসলাম কনা উপজেলার সফল ফল চাষিদের মধ্যে অন্যতম। তার দেখা দেখি অনেকেই পেয়ারা চাষ করেছেন। বিগত পাঁচ বছরে শ্রীপুর উপজেলায় ফল উৎপাদন প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে।
মুজাহিদ শেখ
শ্রীপুর উপজেলা প্রতিনিধি
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

পেয়ারা চাষে লাভবান শ্রীপুরের কৃষক রাশেদুল।

Update Time : ০৮:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
পেয়ারা চাষে লাভবান শ্রীপুরের কৃষক রাশেদুল।
মুজাহিদ শেখ, শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি –
পেয়ারা চাষে চমক দেখালেন মাগুরা শ্রীপুরের কৃষক রাশেদুল আলম কনা। তিনি মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ১৫ বিঘা জমিতে সুস্বাদু পেয়ারার চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রতিদিন অনেকেই আসছে তার এই বাগান দেখতে। তার এই সফলতা দেখে এখন অনেকেই পেয়ারা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তার কাছ থেকে অনেকেই চাষ বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ নিচ্ছেন।
পেয়ারা চাষি রাশেদুল ইসলাম কনা বলেন, ২০১৯ সালে ১৫ বিঘা জমিতে ‘থাই পেয়ারা-৫ ও থাই পেয়ারা-৮’ জাতের ৫ হাজার পেয়ারার চারা রোপণ করি। কোটচাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে উন্নতমানের এই পেয়ারার চারা সংগ্রহ করা হয়। ২০২০ সাল থেকে গাছে ফল ধরা শুরু হয়। এখন প্রতিদিন এ বাগান থেকে ২০ থেকে ২৫ মন পেয়ারা তোলা যায়। বছরে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হলেও প্রতিবছর ৪০ লাখ টাকা আয় হচ্ছে। এছাড়া একই জমির চারপাশে দেশী কাগজি লেবুসহ আরো ৫ বিঘা জমিতে মসুর, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির বিশাল এক সমন্বিত চাষ।
পেয়ারার চাষ নিয়ে তিনি জানান, বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে পেয়ারার ভালো ফলন পাওয়া যায়। তাছাড়া পেয়ারা চাষের জন্য মূলত গাছের পরিচর্যার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কাটিং, পেয়ারা ব্যাগিং করলে ভালো হয়। আর আমি এ পদ্ধতিতেই চাষ করছি। তবে উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী বাগান দেখে গেছেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন।
পেয়ারা বাগান পরিচর্যাকারী শফিকুল আলম দানা বলেন, প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগান থেকেই পেয়ারা নিয়ে যাচ্ছে। এখানে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা জানান, বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশজ ফল উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছি। রাশেদুল ইসলাম কনা উপজেলার সফল ফল চাষিদের মধ্যে অন্যতম। তার দেখা দেখি অনেকেই পেয়ারা চাষ করেছেন। বিগত পাঁচ বছরে শ্রীপুর উপজেলায় ফল উৎপাদন প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে।
মুজাহিদ শেখ
শ্রীপুর উপজেলা প্রতিনিধি