প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা তহবিল থেকে মনিরামপুর হতদরিদ্র রোগিদের হাতে চেক তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী স্বপণ ভট্টাচার্য্য।
আব্দুল্লাহ আল মামুন যশোর জেলা প্রতিনিধি –
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার চিকিৎসা সহয়তা তহবিল থেকে অসহায়,হতদরিদ্র ক্যানসার রোগীদের মাঝে মোট ৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন মনিরামপুরের গণমানুষের প্রিয় অভিভাবক, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, মনিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র অধ্যাক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, যুবলীগ নেতা গাজী আসাদ সহ ইলেকট্রনিক্স প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
যশোর জেলার শার্শায় সার সংকট চেষ্টা কালে ২জনকে জরিমানা ও রাস্তা নষ্ট করায় ৭ জনকে কারাদন্ড।
আঃজলিল, স্টাফ রিপোর্টারঃ
আসন্ন বোরো মৌসুমে শার্শা উপজেলার জন্য বরাদ্দের সার অন্যত্র বিক্রি করে শার্শায় সার সংকট সৃষ্টির চেষ্টা কালে অত্র উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নাধীন বাগআঁচড়া বাজারস্থ “মেসার্স জনতা ট্রেডার্স” কে পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন’১৯৫৬ ধারায় ৫০.০০০(পঞ্চাশ হাজার) টাকা এবং একই উপজেলার গোগা ইউনিয়নাধীন গোগা বাজারস্থ “মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স” কে ১০.০০০(দশ হাজার) টাকা নগদ অর্থদন্ড করা হয়। অন্যদিকে,অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে রাস্তা নষ্ট করে ইটভাটায় মাটি বিক্রির কারনে ” বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন’২০১০ ধারায় ৭দিন করে মোট ০৬(ছয়) জন কে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। অভিযুক্তরা হলো:-১। শাহীন(২৩) ২। রনি(২১) ৩। রিয়াজ(২২) ৪। মেহেদী হাসান(২২) ৫। আব্দুল কাদির(২৩) ৬। ফিরোজ(২৪)। এদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(১২ জানুয়ারী) দিন ব্যাপি এসকল মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট- ফারজানা ইসলাম, সহকারী কমিশনার(ভূমি),শার্শা উপজেলা,যশোর।
এ ব্যাপরে ফারজানা ইসলাম বলেন, আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে সরকার অত্র উপজেলায় ডিলারদের মাধ্যমে সার-বীজ কৃষকদের জন্য যে বরাদ্দ দিয়েছে তা সুষ্ঠ বাজার ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে মোবাইল কোর্টের আজকের এ অভিযান। সার অন্যত্র বিক্রির চেষ্টাকালে দুই ডিলারকে অর্থদন্ড করা হয়। অপরদিকে,ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি উত্তোলণ এবং ইটভাটায় মাটি বহনে যানবাহণ এবং জনচলাচলে রাস্তা নষ্ট করায় ৭ জনকে ৭ দিন করে জেল প্রদান করা হয়।
প্রেরক,
আঃজলিল
যশোরের চৌগাছা উপজেলা প্রশাষনের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী খেঁজুর গুড়ের মেলা।
আঃজলিলঃ–
যশোরের যশ, খেঁজুরের রস’ এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আগামী সোমবার থেকে দুই দিনব্যাপী খেঁজুর গুড়ের মেলার আয়োজন করেছে চৌগাছা উপজেলা প্রশাষন। শত-শত বছর ধরে এ অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ খেঁজুর গুড় উৎপাদন হলেও আজ পর্যন্ত এমন মেলার আয়োজন করা হয়নি। চৌগাছা উপজেলার বর্তমান সৃজনশীল নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা এ উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে নানারকম ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করে সাধারণ মানুষকে কাছে টেনে নেন। তার সেই সব উদ্যোগের সাথে আরো একটি নতুন উদ্যোগ যোগ হলো খেঁজুর গুড়ের মেলা।
আগামী ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদের মাঠের বৈশাখী মঞ্চে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিন সকালে মেলার উদ্বোধন এবং দ্বিতীয় দিন আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে। মেলায় প্রধান অতিথি থাকবেন যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি থাকবেন চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তানিছুর রহমান।
খেঁজুর গুড়ের মেলার মত একটি নতুন আইডিয়া সর্ম্পকে জানতে চাইলে নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন- দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষের সাথে বেড়ে উঠার কারনে আমি রস গুড় সর্ম্পকে অবহিত ছিলাম। কিন্তু যখন আমি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করি তখন আমার মনে হয়েছে যশোরের এ ঐতিহ্যকে যদি আমরা জাতীয় আর্ন্তজাতিকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারি তাহলে এ গুড় একটি অর্থনৈতিক সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন- চলতি বছরে মওসুমের শুরুতেই আমি গাছিদেরকে ডেকেছিলাম মতবিনিময় করতে। সে সময় এতো বিপুল সংখ্যক গাছি যোগদান করেন যে, আমি বিস্মিত হয়ে যাই। সেখান থেকেই মূলত আমি এ মেলা করার প্রেরণা লাভ করি। সেই চিন্তা থেকেই আজকের এই মেলা। তিনি বলেন- আমি আশাকরি আমাদের এই মেলার আয়োজন যশোরের ঐতিহ্য খেজুরের রস ও গুড়কে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রেরক,
আঃজলিল
ভারতে পাচারের শিকার শিশু সহ ৫ বাংলাদেশি বেনাপোল দিয়ে দেশে হস্তান্তর।
আঃজলিল,স্টাফ রিপোর্টারঃ–
অবৈধভাবে ভারতে পাচারের শিকার ৫ জন বাংলাদেশি নারী, শিশু ও পুরুষ ২ বছর জেল খেটে বেনাপোল চেকপোষ্ট হয়ে দেশে ফিরেছে। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারী) বিকালে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে তাদের হস্তান্তর করেন। ফেরত আসারা হলেন, বাগেরহাট জেলার রাজাপুর উপজেলার সরণখোলা গ্রামের জালাল হাওলাদারের ছেলে কাওছার হাওলাদার (৪৮) কুলসুম খাতুন (৩৪) মুছা হাওলাদার (১৬) আমানুল হাওলাদার (৫) এরা একই পরিবারের সদস্য ও যশোর জেলার শার্শা উপজেলার ২ নং ঘিবা গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (২৩)।
এদের মধ্যে পুরুষ তিন জন, একজন নারী ও শিশু ভারতের গুয়া কুলাআড়ি সেন্টার কারাগারে ছিলো।সেখান থেকে পরে ভারতের ডিটেন্সন একটি বেসরকারী এনজিও সংস্থা গ্রহন করে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ফেরত আসাদের ইমিগ্রেশন আনুষ্টানিকতা শেষ করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জাস্টিন এন্ড কেয়ার এর ফিল্ড অফিসার রোকেয়া খাতুন জানান, এদের যশোর শেল্টার হোমে রাখা হবে। এরপর পরিবারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যেমে তাদরে হাতে তুলে দেওয়া হবে।
প্রেরক,
আঃজলিল