Dhaka ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নোটিশ না দিয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধার স্থাপনা উচ্ছেদ করে।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৮৫০ Time View

বরিশালে ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নোটিশ না দিয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধার স্থাপনা উচ্ছেদ করে।

রমজান আহম্মেদ (রঞ্জু), বরিশাল ব্যুরো চীফ –
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় নোটিশ না দিয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির বিভিন্ন স্থাপনা
উচ্ছেদ করে নালা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বাধা
দিতে গেলে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে আটকে রেখে মারধর ও ছাদ থেকে ফেলে দেয়ার হুমকিও
দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিনা অপরাধে তাদের দুই ছেলেকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবে
এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম। লিখিত
বক্তব্যে তিনি বলেন, ফসলি জমিতে পানি সেচের জন্য নালা তৈরি করতে নোটিশ না দিয়েই
সোমবার আমার বাড়িতে উচ্ছেদে যায় বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। এ সময় আমার বসতবাড়ির
উঠানে থাকা মুরগির খামার, গাছপালা ও গভীর নলকূপ উপড়ে ফেলে তারা। উচ্ছেদের বিষয়ে
জানতে চাইলে ইউএনও নুসরাত ফাতিমা ক্ষেপে যান। কোনো কথা বললে ধরে নিয়ে যাওয়ারও
হুমকি দেন। আবদুল হালিম আরও বলেন, ইউপি সদস্য মোসলে উদ্দিনের বিরোধিতা করায়
আমার বাড়ির ওপর থেকে ফসলি জমির জন্য পানি নিষ্কাশনের নালা নির্মাণ করাচ্ছেন। আমার
কেনা এবং পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৪২ শতক জমির ওপর পাঁচ বছর আগে বাড়ি করি। আমার
বসতবাড়ির পাশে অব্যবহৃত অনেক জমি পড়ে আছে। কিন্তু সেখানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা
না করে ইউপি সদস্যের ইন্ধনে আমা উঠান নষ্ট করে করে নালা নির্মাণ করা হচ্ছে। আমি এ
বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন,
‘প্রশাসন আমার পুরো পরিবার ধরে নিয়ে গেছে। আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমি
প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাই। বিনা কারণে আমার ২০ লাখ টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে। আমার
ছেলেদের সাজা দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানি করার বিচার চাই। হালিমের স্ত্রী
বলেন, ‘ইউএনও এসেই আমাকে ধরে ছাদে নিয়ে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন। তার কথার প্রতিবাদ
করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার গালে থাপ্পড় মারেন। শুধু বসতভিটা ভাঙচুর নয়, মিথ্যা অভিযোগ
এনে আমার তিন ছেলেকে আটক করেন তারা। সবার অনুরোধে এক ছেলেকে ছেড়ে দেয়। বাকি
দুজনকে তিন মাসের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও নুসরাত
ফাতিমা বলেন, ‘চাঁদপাশা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আরজী কালিকাপুর গ্রামের
আনুমানিক ৪৫ একর ফসলি জমিতে ৩০ জন কৃষক পরিবার ৬০-৭০ বছর ধরে চাষাবাদ করে
আসছেন। ওই ফসলি মাঠের আবদ্ধ পানি সাবেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বীর
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিমের বাড়ির পাশের একটি নালা দিয়ে বছরের পর বছর ধরে নিষ্কাশিত
হতো। কিন্তু সেই নালা ভরাট করে ফেলায় ফসলি মাঠের আবাদি জমি জলাবদ্ধ হয়ে চাষাবাদের
অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সেই জমিতে চাষাবাদ করতে না পেরে ৩০টি কৃষক পরিবার লিখিত
অভিযোগ দেয়।’ ইউএনও আরও বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,
বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী (নির্মাণ), উপ সহকারী প্রকৌশলী, স্থানীয় ইউনিয়ন

চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ভরাটকারী পরিবার
ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নালাটি উদ্ধারের সিদ্ধান্ত হয়। নিয়মানুযায়ী জনস্বার্থে
নালাটি উদ্ধারে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করলে আবদুল হালিমের পরিবারের
সদস্যদের সঙ্গে বহিরাগত কিছু লোক বাধা দেয়। খবর পেয়ে আমরা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে
গেলে তারা আমাদের ওপরও হামলার চেষ্টা চালায়। দলবদ্ধ লোকজন ভীতিকর পরিস্থিতি
সৃষ্টি করতে চকোলেট বোমার বিস্ফোরণও ঘটায়। এ সময় সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নাইম হাসান ও মাইনুল ইসলামকে তিন মাসের কারাদণ্ড
দেওয়া হয়েছে। ইউএনও বলেন, ফসলি জমি ও খালের সঙ্গে সংযোগস্থলের গুরুত্ব থাকায়
নালাটি যেখানে ছিল সেখানেই রাখা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের জমি আছে, তবে জনস্বার্থে
এ কাজটি নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। আর বাধা প্রদানকারীরা বিকল্প কোনো পথের কথা
বলেনি। আমরা ক্ষতিপূরণও পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলাম, তাতে তারা রাজি হননি।
তারিখঃ ২৫-০১-২০২৩
মোবাইলৎ ০১৬২০৮৪৯৬০১

“বরিশাল গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে”, বলেছেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রমজান আহম্মেদ (রঞ্জু), বরিশাল ব্যুরো চীফ –
বরিশাল বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বলেছেন, শেখ হাসিনার বিদায়ের আগে এদেশে কোন নির্বাচন হবে না। বিএনপি একটাই কাজ
শেখ হাসিনা বিদায় করে এদেশের গণতন্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে জনগনের ভোটাধিকার ফিরিয়ে
দেওয়ার মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ট অবাধ নির্বাচনের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে
বিএনপির কোন প্রস্তুতি নাই। এই সরকার হঠাৎ করে কাদেরের মত ধপ করে পড়ে যাবে।
এখন থেকে শেখ হাসিনাকে ভয় পাবার কিছু নাই। তিনি বলেন, সেই ৭১ সালের মত এখন আর
কম্বল কাটা মুজিবকোট নাই, এখন আছে উন্নয়নের নামে দূর্নীতি। বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
আরো বলেন, আজ আদালতের বিচারপতিরা ন্যায় বিচার করতে পারে না। বর্তমানে সকল
আদালত চলে উপরের নির্দেশে। তাই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার সময় আর বেশি দিন নাই
তার সময় শেষ হয়ে আসছে । দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ কোন ব্যাংকে টাকা নাই।
লুঠপাট দূর্নীতির মাধ্যমে শেষ করে দিয়েছে যার ফলে ব্যাবসায়ীরা আজ এলসি খুলতে পারছে
না। তিনি এসময় দলীয় নেতা কর্মীদের বলেন, আমাদের গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য যুদ্ধ শুরু
হয়ে গেছে আপনারা সকলেই প্রস্তুত হন। আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় নগরীর
সদররোডস্থ জেলা ও মহানগর বিএনপি দলীয় কার্যলয়ে সম্মুখে গণতন্ত্র হত্যা দিবস
উপলক্ষে ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ,তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দেয়া সহ
সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সকল রাজবন্দীদের মুক্তি সহ বিদ্যুৎ,গ্যাস
এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো ও গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবী
আদায়ের লক্ষে বরিশাল মহানগর ও বরিশাল জেলা দক্ষিন বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। বরিশাল মহানগর বিএনপি আহবায়ক
মোঃ মনিরুজ্জামান খান ফারুকের সভাপতিত্বে ও মহানগর সদস্য সচিব এ্যাড,মীর জাহিদুল
কবির জাহিদ ও বরিশাল জেলা বিএনপি দক্ষিণ সদস্য সচিব এ্যাড,আবুল কালাম শাহিনের
সঞ্চলনায় সমাবেশে আরো বক্কব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক
এমপি এ্যাড,বিলকিস জাহান শিরিন,কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর
রহমান,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নানু, কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক
সম্পাদক কাজী রওনোকুল ইসলাম টিপু,কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশাল জেলা
দক্ষিন বিএনপি আহবায়ক আবুল হোসেন খান,কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের

রহমত উল্লাহ.কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক বরিশাল জেলা বিএনপি সভাপতি
আলহাজ্ব এবায়েদুল হক চাঁন,কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস
সোবহান, বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপি আহবায়ক দেওয়ান মোঃ শহিদুল্লাহ, বরিশাল মহানগর
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড, আলী হায়দার ববিুল,বরিশাল জেলা শ্রমিকদল সাধারন
সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,মহানগর শ্রমিকদল আহবায়ক মোঃ ফয়েজ অহমেদ খান, বরিশাল
জেলা যুবদল সাধারন সম্পাদক এ্যাড,এইচ.এম তছলিম উদ্দিন, বরিশাল জেলা উত্তর যুবদল
সদস্য সচিব গোলাম মোর্সেদ মাসুদ, বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক মসিউর
রহমান মঞ্জু, বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম,বরিশাল জেলা
ছাত্রদল সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হক মিঠু প্রমুখ। এর পূর্বে সকাল থেকে বরিশাল
জেলা বিএনপি দক্ষিণ ও বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপি সহ মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে
বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন সহকারে মিছিল নিয়ে সমবেত হন।

তারিখঃ ২৫-০১-২০২৩
মোবাইলৎ ০১৬২০৮৪৯৬০১

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

বরিশালে ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নোটিশ না দিয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধার স্থাপনা উচ্ছেদ করে।

Update Time : ০৬:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

বরিশালে ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নোটিশ না দিয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধার স্থাপনা উচ্ছেদ করে।

রমজান আহম্মেদ (রঞ্জু), বরিশাল ব্যুরো চীফ –
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় নোটিশ না দিয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির বিভিন্ন স্থাপনা
উচ্ছেদ করে নালা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বাধা
দিতে গেলে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে আটকে রেখে মারধর ও ছাদ থেকে ফেলে দেয়ার হুমকিও
দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিনা অপরাধে তাদের দুই ছেলেকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবে
এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম। লিখিত
বক্তব্যে তিনি বলেন, ফসলি জমিতে পানি সেচের জন্য নালা তৈরি করতে নোটিশ না দিয়েই
সোমবার আমার বাড়িতে উচ্ছেদে যায় বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। এ সময় আমার বসতবাড়ির
উঠানে থাকা মুরগির খামার, গাছপালা ও গভীর নলকূপ উপড়ে ফেলে তারা। উচ্ছেদের বিষয়ে
জানতে চাইলে ইউএনও নুসরাত ফাতিমা ক্ষেপে যান। কোনো কথা বললে ধরে নিয়ে যাওয়ারও
হুমকি দেন। আবদুল হালিম আরও বলেন, ইউপি সদস্য মোসলে উদ্দিনের বিরোধিতা করায়
আমার বাড়ির ওপর থেকে ফসলি জমির জন্য পানি নিষ্কাশনের নালা নির্মাণ করাচ্ছেন। আমার
কেনা এবং পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৪২ শতক জমির ওপর পাঁচ বছর আগে বাড়ি করি। আমার
বসতবাড়ির পাশে অব্যবহৃত অনেক জমি পড়ে আছে। কিন্তু সেখানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা
না করে ইউপি সদস্যের ইন্ধনে আমা উঠান নষ্ট করে করে নালা নির্মাণ করা হচ্ছে। আমি এ
বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন,
‘প্রশাসন আমার পুরো পরিবার ধরে নিয়ে গেছে। আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমি
প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাই। বিনা কারণে আমার ২০ লাখ টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে। আমার
ছেলেদের সাজা দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানি করার বিচার চাই। হালিমের স্ত্রী
বলেন, ‘ইউএনও এসেই আমাকে ধরে ছাদে নিয়ে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন। তার কথার প্রতিবাদ
করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার গালে থাপ্পড় মারেন। শুধু বসতভিটা ভাঙচুর নয়, মিথ্যা অভিযোগ
এনে আমার তিন ছেলেকে আটক করেন তারা। সবার অনুরোধে এক ছেলেকে ছেড়ে দেয়। বাকি
দুজনকে তিন মাসের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও নুসরাত
ফাতিমা বলেন, ‘চাঁদপাশা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আরজী কালিকাপুর গ্রামের
আনুমানিক ৪৫ একর ফসলি জমিতে ৩০ জন কৃষক পরিবার ৬০-৭০ বছর ধরে চাষাবাদ করে
আসছেন। ওই ফসলি মাঠের আবদ্ধ পানি সাবেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বীর
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিমের বাড়ির পাশের একটি নালা দিয়ে বছরের পর বছর ধরে নিষ্কাশিত
হতো। কিন্তু সেই নালা ভরাট করে ফেলায় ফসলি মাঠের আবাদি জমি জলাবদ্ধ হয়ে চাষাবাদের
অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সেই জমিতে চাষাবাদ করতে না পেরে ৩০টি কৃষক পরিবার লিখিত
অভিযোগ দেয়।’ ইউএনও আরও বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,
বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী (নির্মাণ), উপ সহকারী প্রকৌশলী, স্থানীয় ইউনিয়ন

চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ভরাটকারী পরিবার
ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নালাটি উদ্ধারের সিদ্ধান্ত হয়। নিয়মানুযায়ী জনস্বার্থে
নালাটি উদ্ধারে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করলে আবদুল হালিমের পরিবারের
সদস্যদের সঙ্গে বহিরাগত কিছু লোক বাধা দেয়। খবর পেয়ে আমরা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে
গেলে তারা আমাদের ওপরও হামলার চেষ্টা চালায়। দলবদ্ধ লোকজন ভীতিকর পরিস্থিতি
সৃষ্টি করতে চকোলেট বোমার বিস্ফোরণও ঘটায়। এ সময় সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নাইম হাসান ও মাইনুল ইসলামকে তিন মাসের কারাদণ্ড
দেওয়া হয়েছে। ইউএনও বলেন, ফসলি জমি ও খালের সঙ্গে সংযোগস্থলের গুরুত্ব থাকায়
নালাটি যেখানে ছিল সেখানেই রাখা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের জমি আছে, তবে জনস্বার্থে
এ কাজটি নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। আর বাধা প্রদানকারীরা বিকল্প কোনো পথের কথা
বলেনি। আমরা ক্ষতিপূরণও পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলাম, তাতে তারা রাজি হননি।
তারিখঃ ২৫-০১-২০২৩
মোবাইলৎ ০১৬২০৮৪৯৬০১

“বরিশাল গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে”, বলেছেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রমজান আহম্মেদ (রঞ্জু), বরিশাল ব্যুরো চীফ –
বরিশাল বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বলেছেন, শেখ হাসিনার বিদায়ের আগে এদেশে কোন নির্বাচন হবে না। বিএনপি একটাই কাজ
শেখ হাসিনা বিদায় করে এদেশের গণতন্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে জনগনের ভোটাধিকার ফিরিয়ে
দেওয়ার মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ট অবাধ নির্বাচনের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে
বিএনপির কোন প্রস্তুতি নাই। এই সরকার হঠাৎ করে কাদেরের মত ধপ করে পড়ে যাবে।
এখন থেকে শেখ হাসিনাকে ভয় পাবার কিছু নাই। তিনি বলেন, সেই ৭১ সালের মত এখন আর
কম্বল কাটা মুজিবকোট নাই, এখন আছে উন্নয়নের নামে দূর্নীতি। বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
আরো বলেন, আজ আদালতের বিচারপতিরা ন্যায় বিচার করতে পারে না। বর্তমানে সকল
আদালত চলে উপরের নির্দেশে। তাই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার সময় আর বেশি দিন নাই
তার সময় শেষ হয়ে আসছে । দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ কোন ব্যাংকে টাকা নাই।
লুঠপাট দূর্নীতির মাধ্যমে শেষ করে দিয়েছে যার ফলে ব্যাবসায়ীরা আজ এলসি খুলতে পারছে
না। তিনি এসময় দলীয় নেতা কর্মীদের বলেন, আমাদের গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য যুদ্ধ শুরু
হয়ে গেছে আপনারা সকলেই প্রস্তুত হন। আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় নগরীর
সদররোডস্থ জেলা ও মহানগর বিএনপি দলীয় কার্যলয়ে সম্মুখে গণতন্ত্র হত্যা দিবস
উপলক্ষে ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ,তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দেয়া সহ
সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সকল রাজবন্দীদের মুক্তি সহ বিদ্যুৎ,গ্যাস
এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো ও গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবী
আদায়ের লক্ষে বরিশাল মহানগর ও বরিশাল জেলা দক্ষিন বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। বরিশাল মহানগর বিএনপি আহবায়ক
মোঃ মনিরুজ্জামান খান ফারুকের সভাপতিত্বে ও মহানগর সদস্য সচিব এ্যাড,মীর জাহিদুল
কবির জাহিদ ও বরিশাল জেলা বিএনপি দক্ষিণ সদস্য সচিব এ্যাড,আবুল কালাম শাহিনের
সঞ্চলনায় সমাবেশে আরো বক্কব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক
এমপি এ্যাড,বিলকিস জাহান শিরিন,কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর
রহমান,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নানু, কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক
সম্পাদক কাজী রওনোকুল ইসলাম টিপু,কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশাল জেলা
দক্ষিন বিএনপি আহবায়ক আবুল হোসেন খান,কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের

রহমত উল্লাহ.কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক বরিশাল জেলা বিএনপি সভাপতি
আলহাজ্ব এবায়েদুল হক চাঁন,কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস
সোবহান, বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপি আহবায়ক দেওয়ান মোঃ শহিদুল্লাহ, বরিশাল মহানগর
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড, আলী হায়দার ববিুল,বরিশাল জেলা শ্রমিকদল সাধারন
সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,মহানগর শ্রমিকদল আহবায়ক মোঃ ফয়েজ অহমেদ খান, বরিশাল
জেলা যুবদল সাধারন সম্পাদক এ্যাড,এইচ.এম তছলিম উদ্দিন, বরিশাল জেলা উত্তর যুবদল
সদস্য সচিব গোলাম মোর্সেদ মাসুদ, বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক মসিউর
রহমান মঞ্জু, বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম,বরিশাল জেলা
ছাত্রদল সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হক মিঠু প্রমুখ। এর পূর্বে সকাল থেকে বরিশাল
জেলা বিএনপি দক্ষিণ ও বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপি সহ মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে
বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন সহকারে মিছিল নিয়ে সমবেত হন।

তারিখঃ ২৫-০১-২০২৩
মোবাইলৎ ০১৬২০৮৪৯৬০১