Dhaka ০৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“বরিশালে কারখানা গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে কোটি টাকার প্রকল্প”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
  • ৯৬৯ Time View

বরিশালে কারখানা গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে কোটি টাকার প্রকল্প

রমজান আহম্মেদ (রঞ্জু), বরিশাল ব্যুরো চীফ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কারখানা গ্রাম ভাঙ্গনরোধের জন্য বালুভর্তি জিওব্যাগ
ফেলার এক মাস যেতে না যেতেই তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে ওই
জিওব্যাগ ফেলায় সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রায় এক কোটি
টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট
সূত্র জানায়, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদীর
ভাঙ্গনের কবল থেকে বাহেরচর বাজার ও চর রঘুন উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
পর্যন্ত ৩০০ মিটারের মধ্যে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হয়। পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন
বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় প্রকল্পটি
বাস্তবায়ন করা হয়। এর জন্য ব্যয় ধরা হয় ৯৫ লাখ টাকা। মেসার্স লুৎফর রহমান
নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করে।সরেজমিন ভাঙ্গনকবলিত ওই
এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ জিওব্যাগ নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় ওই এলাকা ফের
ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। লোকাল কাদামিশ্রিত বালু ভর্তি করায় কিছু কিছু জিওব্যাগ খালি
হয়ে গেছে। এলোপাতাড়িভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। নদীর ঢেউয়ে ওই ব্যাগগুলোও হারিয়ে
যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সাইদুল নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, নিয়ম
অনুযায়ী জিওব্যাগে বালুভর্তি করা হয়নি। প্রত্যেকটি জিওব্যাগে ১৫০ কেজি করে
বালুভর্তি করার কথা থাকলেও করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১২০ কেজি। তাও আবার কাদা
মিশ্রিত লোকাল বালু। যার ফলে পানির ঢেউয়ে কাদা ধুয়ে গিয়ে জিওব্যাগ শূন্য হয়ে হয়ে
গেছে। এলাকার লোকজন শুরু থেকে অনিয়মে বাধা দিলেও ঠিকাদারের লোকজন তা কর্ণপাত
করেননি। এর ফলে ওই এলাকায় কয়েকশ পরিবার, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পাকা
বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদার লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,
কোনো অনিয়ম করা হয়নি, নিয়ম মেনেই ভাঙনকবলিত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। এ
ব্যাপারে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আলম বলেন, এটি
স্থায়ী কোনো প্রকল্প নয়, অস্থায়ী প্রকল্প। কারখানা নদীর ভাঙনের কবল থেকে বাজার,
স্কুল ও জনপথ রক্ষার জন্য জরুরিভিত্তিতে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
মোবা: 01620849601
তারিখ: 17/10/2022

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

“বরিশালে কারখানা গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে কোটি টাকার প্রকল্প”

Update Time : ০৭:২৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

বরিশালে কারখানা গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে কোটি টাকার প্রকল্প

রমজান আহম্মেদ (রঞ্জু), বরিশাল ব্যুরো চীফ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কারখানা গ্রাম ভাঙ্গনরোধের জন্য বালুভর্তি জিওব্যাগ
ফেলার এক মাস যেতে না যেতেই তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে ওই
জিওব্যাগ ফেলায় সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রায় এক কোটি
টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট
সূত্র জানায়, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদীর
ভাঙ্গনের কবল থেকে বাহেরচর বাজার ও চর রঘুন উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
পর্যন্ত ৩০০ মিটারের মধ্যে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হয়। পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন
বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় প্রকল্পটি
বাস্তবায়ন করা হয়। এর জন্য ব্যয় ধরা হয় ৯৫ লাখ টাকা। মেসার্স লুৎফর রহমান
নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করে।সরেজমিন ভাঙ্গনকবলিত ওই
এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ জিওব্যাগ নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় ওই এলাকা ফের
ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। লোকাল কাদামিশ্রিত বালু ভর্তি করায় কিছু কিছু জিওব্যাগ খালি
হয়ে গেছে। এলোপাতাড়িভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। নদীর ঢেউয়ে ওই ব্যাগগুলোও হারিয়ে
যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সাইদুল নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, নিয়ম
অনুযায়ী জিওব্যাগে বালুভর্তি করা হয়নি। প্রত্যেকটি জিওব্যাগে ১৫০ কেজি করে
বালুভর্তি করার কথা থাকলেও করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১২০ কেজি। তাও আবার কাদা
মিশ্রিত লোকাল বালু। যার ফলে পানির ঢেউয়ে কাদা ধুয়ে গিয়ে জিওব্যাগ শূন্য হয়ে হয়ে
গেছে। এলাকার লোকজন শুরু থেকে অনিয়মে বাধা দিলেও ঠিকাদারের লোকজন তা কর্ণপাত
করেননি। এর ফলে ওই এলাকায় কয়েকশ পরিবার, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পাকা
বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদার লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,
কোনো অনিয়ম করা হয়নি, নিয়ম মেনেই ভাঙনকবলিত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। এ
ব্যাপারে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আলম বলেন, এটি
স্থায়ী কোনো প্রকল্প নয়, অস্থায়ী প্রকল্প। কারখানা নদীর ভাঙনের কবল থেকে বাজার,
স্কুল ও জনপথ রক্ষার জন্য জরুরিভিত্তিতে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
মোবা: 01620849601
তারিখ: 17/10/2022