বরিশালে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ও বিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম।
জামাল কাড়াল বরিশাল-
সড়ক পথে বরিশালের ‘জঞ্জাল’ নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাত্রী টানাটানি, দালাল চক্রের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, মহাসড়কের পাশে অলস বাস দাঁড় করিয়ে যানজট সৃষ্টি এবং অতিরিক্ত গতিতে বাস চলাচলের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা। জনস্বার্থে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সিটি মেয়র।
এদিকে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় স্থায়ীভাবে যানজট নিরসনে কাশীপুর পোস্ট অফিস থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কটি ওয়ানওয়ে করে দেয়া হয়েছে। আগামী ৭ মার্চ ওয়ানওয়ে কাজের উদ্বোধন করবেন মেয়র। ওই সড়কের খানাখন্দ সংস্কার এবং অপ্রয়োজনীয় বিশাল রোড ডিভাইডার ভেঙে ছোট করতে সড়ক বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র এবং পুলিশ কমিশনার।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে থেকেই বরিশালের প্রবেশদ্বার নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় যানজট ছিল নিত্যদিনের। সেতু উদ্বোধনের পর নথুল্লাবাদে যানজটের ভোগান্তি কয়েকগুন বেড়েছে। দিনভর পরিবহনের যানজট সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যানজটের কারণ এবং টার্মিনালে যাত্রী অব্যবস্থাপনা ও হয়রানির চিত্র খুঁজে বের করে পুলিশ। টার্মিনালে শৃঙ্খলা ফেরানোর পাশাপাশি যানজট নিরসনে সোমবার দুপুরে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের হলরুমে সড়ক বিভাগ, বিআরটিএ এবং বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মতবিনিময় করেন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, টার্মিনালের সামনের সড়কে কোনো বাস দাঁড়াতে পারবে না। কুয়াকাটা-বরিশাল-ঢাকা রুটের বাসগুলো নথুল্লাবাদের মূল সড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে পারবে না। কাশীপুর থেকে নথুল্লাবাদ পর্যন্ত মূল সড়কের পাশের সাইড লেনে কোনো বাস থাকতে পারবে না। যাত্রী তার পছন্দের পরিবহনে চলাচল করবেন। কোনো যাত্রীকে বাধ্য করা যাবে না বা টানাটানি করে যাত্রীদের নাজেহাল করা যাবে না। বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জনস্বার্থে পুলিশ কমিশনারের এই প্রস্তাবে সম্মত হন।
পুলিশ কমিশনার কাশীপুর পোস্ট অফিস পয়েন্ট থেকে টার্মিনালমুখী বাসগুলোকে পাশের সাইড লেন ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তবে সুশৃঙ্খলভাবে বাস চলতে মূল সড়কের পাশের লেনটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সভায় উপস্থিত মেয়র এবং সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। মেয়র এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জনস্বার্থে মূল সড়কের পাশের লেনটি দ্রুত সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করার প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে তারা কাশীপুর পোস্ট অফিস এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। নথুল্লাবাদের যানজট এড়াতে কাশীপুর পোস্ট অফিস পয়েন্ট থেকে টার্মিনালমুখী যানগুলো বাম পাশের সাইড লেন দিয়ে চলাচলের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন মেয়র ও পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ জানান, নগরীর প্রবেশদ্বার গড়িয়ারপার থেকে দপদপিয়া সেতু পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার মহাসড়ক সম্প্রসারণে ৫২ কোটি টাকার টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে আগামী ৭ মার্চ ওই কাজের ভিত্তি উদ্বোধন হবে।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, গড়িয়ারপাড়-দপদপিয়া ১২ কিলোমিটার মহাসড়কের কোথাও ২৪ ফিট আবার কোথাও একটু বেশি প্রশস্ত। নতুন প্রকল্পের আওতায় এই মহাসড়ক ৪৮ ফিট থেকে ৬০ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত করা হবে। মাঝে থাকবে এক মিটার একটি ডিভাইডার। কিছু অংশে ড্রেনও ধরা আছে। এই কাজ সম্পন্ন হলে নগরীর অভ্যন্তরের যানজট স্থায়ীভাবে নিরসন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
সড়ক পথে বরিশালের ‘জঞ্জাল’ নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাত্রী টানাটানি, দালাল চক্রের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, মহাসড়কের পাশে অলস বাস দাঁড় করিয়ে যানজট সৃষ্টি এবং অতিরিক্ত গতিতে বাস চলাচলের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা। জনস্বার্থে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সিটি মেয়র।
এদিকে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় স্থায়ীভাবে যানজট নিরসনে কাশীপুর পোস্ট অফিস থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কটি ওয়ানওয়ে করে দেয়া হয়েছে। আগামী ৭ মার্চ ওয়ানওয়ে কাজের উদ্বোধন করবেন মেয়র। ওই সড়কের খানাখন্দ সংস্কার এবং অপ্রয়োজনীয় বিশাল রোড ডিভাইডার ভেঙে ছোট করতে সড়ক বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র এবং পুলিশ কমিশনার।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে থেকেই বরিশালের প্রবেশদ্বার নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় যানজট ছিল নিত্যদিনের। সেতু উদ্বোধনের পর নথুল্লাবাদে যানজটের ভোগান্তি কয়েকগুন বেড়েছে। দিনভর পরিবহনের যানজট সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যানজটের কারণ এবং টার্মিনালে যাত্রী অব্যবস্থাপনা ও হয়রানির চিত্র খুঁজে বের করে পুলিশ। টার্মিনালে শৃঙ্খলা ফেরানোর পাশাপাশি যানজট নিরসনে সোমবার দুপুরে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের হলরুমে সড়ক বিভাগ, বিআরটিএ এবং বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মতবিনিময় করেন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, টার্মিনালের সামনের সড়কে কোনো বাস দাঁড়াতে পারবে না। কুয়াকাটা-বরিশাল-ঢাকা রুটের বাসগুলো নথুল্লাবাদের মূল সড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে পারবে না। কাশীপুর থেকে নথুল্লাবাদ পর্যন্ত মূল সড়কের পাশের সাইড লেনে কোনো বাস থাকতে পারবে না। যাত্রী তার পছন্দের পরিবহনে চলাচল করবেন। কোনো যাত্রীকে বাধ্য করা যাবে না বা টানাটানি করে যাত্রীদের নাজেহাল করা যাবে না। বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জনস্বার্থে পুলিশ কমিশনারের এই প্রস্তাবে সম্মত হন।
পুলিশ কমিশনার কাশীপুর পোস্ট অফিস পয়েন্ট থেকে টার্মিনালমুখী বাসগুলোকে পাশের সাইড লেন ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তবে সুশৃঙ্খলভাবে বাস চলতে মূল সড়কের পাশের লেনটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সভায় উপস্থিত মেয়র এবং সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। মেয়র এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জনস্বার্থে মূল সড়কের পাশের লেনটি দ্রুত সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করার প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে তারা কাশীপুর পোস্ট অফিস এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। নথুল্লাবাদের যানজট এড়াতে কাশীপুর পোস্ট অফিস পয়েন্ট থেকে টার্মিনালমুখী যানগুলো বাম পাশের সাইড লেন দিয়ে চলাচলের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন মেয়র ও পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ জানান, নগরীর প্রবেশদ্বার গড়িয়ারপার থেকে দপদপিয়া সেতু পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার মহাসড়ক সম্প্রসারণে ৫২ কোটি টাকার টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে আগামী ৭ মার্চ ওই কাজের ভিত্তি উদ্বোধন হবে।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, গড়িয়ারপাড়-দপদপিয়া ১২ কিলোমিটার মহাসড়কের কোথাও ২৪ ফিট আবার কোথাও একটু বেশি প্রশস্ত। নতুন প্রকল্পের আওতায় এই মহাসড়ক ৪৮ ফিট থেকে ৬০ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত করা হবে। মাঝে থাকবে এক মিটার একটি ডিভাইডার। কিছু অংশে ড্রেনও ধরা আছে। এই কাজ সম্পন্ন হলে নগরীর অভ্যন্তরের যানজট স্থায়ীভাবে নিরসন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।