বরিশালে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এর শুভ উদ্ধোধন করেন।
জামাল কাড়াল বরিশাল –
প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২ উপলক্ষে আজ ১২ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশালে নবনির্মিত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এছাড়াও এ সময় তিনি রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কের প্রধান ৩টি স্থাপনা যথাক্রমে জয় সিলিকন টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম এবং সিনেপ্লেক্সের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
পুলিশ কমিশনার বিএমপি জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপিএম-বার মহোদয় উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বরিশাল প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, বরিশাল থেকে একটি বর্ণাঢ্য রেলি বের হয়।
বরিশাল থেকে এ-সময় ভার্চুয়ালি আরো যুক্ত ছিলেন, বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল জনাব মোঃ আমিন উল আহসান, ডিআইজি বরিশাল রেঞ্জ জনাব এস এম আক্তারুজ্জামান, জেলা প্রশাসক বরিশাল জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার বরিশাল জনাব ওয়াহিদুল ইসলাম বিপিএম সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ।
বরিশাল নগরীতে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই তৈরি হচ্ছে অবৈধ অটোরিকশা (থ্রি হুইলার)।
প্রতিদিন শতশত হলুদ অটোরিকশা বানিয়ে রাস্তায় ছাড়ছে কিছু অসাধু ওয়ার্কশপ মালিকরা। আর এর প্রভাবে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে পুরো নগরী জুড়ে।
অনেকের মতে, বরিশাল নগরী এখন অটোরিকশার নগরীতে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি অলিগলি থেকে শুরু করে সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই এই অটোরিকশার দাপট। এসব রিকশার বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকায় একদিকে সরকার যেমন মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি প্রতিদিন সড়কজুড়ে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।
আইনের তোয়াক্কা না করে অনেক অটোরিকশা মালিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই অল্প বয়সী চালকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন গাড়ি। ফলে তারা অদক্ষতার কারণে যানজটের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
বরিশাল নগরীর রুপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় অটোরিকশা তৈরি করা ফাহিম ওয়ার্কশপের মালিক ফিরোজ গাজী বলেন, সরকার যদি ওয়ার্কশপে অটোরিকশা তৈরি বন্ধ করতে বলে তাহলে আমরা বন্ধ করে দেব। তাছাড়া সরকার এসব অটোরিকশার যন্ত্রাংশ আমদানি করা বন্ধ করুক, তাহলে আর এগুলো তৈরি হবে না।
নাম প্রকাশ না করে আরেক ওয়ার্কশপ মালিক বলেন, আমরা শুধু কাস্টমারদের কাছ থেকে অটো তৈরির অর্ডার নিই। তারপর তাদের পছন্দ অনুযায়ী সেগুলো বানিয়ে দিই। এখন তারা যদি অনুমতি না নিয়ে সেগুলো রাস্তায় ছাড়ে সেখানে আমাদের কী করার আছে।
তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশন বা বিআরটিএ এখন অটোরিকশার জন্য কোনো লাইসেন্স দেয় না। প্রশাসনের অসাধু কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিট মানির বিনিময়ে এগুলো রাস্তায় চলে।
এদিকে, অটোরিকশার দৌরাত্মে নাজেহাল নগরবাসী দুষছেন প্রশাসনকে। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন হাজারও অদক্ষ চালক দিয়ে অটোরিকশা চলাচল করলেও তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। তারা শুধু বৈধ পরিবহন ও মোটরসাইকেলের ওপর তাদের আইন প্রয়োগ করছে।
নগরীতে চলাচলকারী বেসরকারি কোম্পানির এক কর্মকর্তা ইকবাল হাসান বলেন, বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও ট্রাফিক পুলিশ প্রতিদিন অফিসে যাওয়া আসার পথে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে। অথচ নগরীতে প্রতিদিন হাজার হাজার অবৈধ অটোরিকশা রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তা দেখেও যেন দেখছে না কর্তৃপক্ষ।
নগরীর একটি বেসরকারি কোম্পানির প্রাইভেটকারচালক জব্বার বলেন, এসব অটোরিকশার জন্য নগরীতে প্রবেশ করা যায় না। সকাল-সন্ধ্যা যানজট লেগেই থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন সময় তারা দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। পরে দেখা যায় ওইসব অটোচালকের কোনো লাইসেন্সই নেই।
বরিশাল বিআরটিএর পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সামনে আর এসব অবৈধ যানবাহন তৈরি করবে না এমন শর্তে ওয়ার্কশপ মালিকদের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে লিখিত নেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি তারা বিনা অনুমতিতে এগুলো তৈরি করে তাহলে আর সতর্ক নয়, সোজা জেল-জরিমানা করা হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. ফারুক হোসেন সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, অনেকে হঠাৎ করে পেশা বদল করে কোনো প্রশিক্ষণ না নিয়ে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। এতে নগরীতে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
অনেকের মতে, বরিশাল নগরী এখন অটোরিকশার নগরীতে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি অলিগলি থেকে শুরু করে সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই এই অটোরিকশার দাপট। এসব রিকশার বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকায় একদিকে সরকার যেমন মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি প্রতিদিন সড়কজুড়ে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।
আইনের তোয়াক্কা না করে অনেক অটোরিকশা মালিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই অল্প বয়সী চালকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন গাড়ি। ফলে তারা অদক্ষতার কারণে যানজটের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
বরিশাল নগরীর রুপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় অটোরিকশা তৈরি করা ফাহিম ওয়ার্কশপের মালিক ফিরোজ গাজী বলেন, সরকার যদি ওয়ার্কশপে অটোরিকশা তৈরি বন্ধ করতে বলে তাহলে আমরা বন্ধ করে দেব। তাছাড়া সরকার এসব অটোরিকশার যন্ত্রাংশ আমদানি করা বন্ধ করুক, তাহলে আর এগুলো তৈরি হবে না।
নাম প্রকাশ না করে আরেক ওয়ার্কশপ মালিক বলেন, আমরা শুধু কাস্টমারদের কাছ থেকে অটো তৈরির অর্ডার নিই। তারপর তাদের পছন্দ অনুযায়ী সেগুলো বানিয়ে দিই। এখন তারা যদি অনুমতি না নিয়ে সেগুলো রাস্তায় ছাড়ে সেখানে আমাদের কী করার আছে।
তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশন বা বিআরটিএ এখন অটোরিকশার জন্য কোনো লাইসেন্স দেয় না। প্রশাসনের অসাধু কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিট মানির বিনিময়ে এগুলো রাস্তায় চলে।
এদিকে, অটোরিকশার দৌরাত্মে নাজেহাল নগরবাসী দুষছেন প্রশাসনকে। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন হাজারও অদক্ষ চালক দিয়ে অটোরিকশা চলাচল করলেও তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। তারা শুধু বৈধ পরিবহন ও মোটরসাইকেলের ওপর তাদের আইন প্রয়োগ করছে।
নগরীতে চলাচলকারী বেসরকারি কোম্পানির এক কর্মকর্তা ইকবাল হাসান বলেন, বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও ট্রাফিক পুলিশ প্রতিদিন অফিসে যাওয়া আসার পথে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে। অথচ নগরীতে প্রতিদিন হাজার হাজার অবৈধ অটোরিকশা রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তা দেখেও যেন দেখছে না কর্তৃপক্ষ।
নগরীর একটি বেসরকারি কোম্পানির প্রাইভেটকারচালক জব্বার বলেন, এসব অটোরিকশার জন্য নগরীতে প্রবেশ করা যায় না। সকাল-সন্ধ্যা যানজট লেগেই থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন সময় তারা দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। পরে দেখা যায় ওইসব অটোচালকের কোনো লাইসেন্সই নেই।
বরিশাল বিআরটিএর পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সামনে আর এসব অবৈধ যানবাহন তৈরি করবে না এমন শর্তে ওয়ার্কশপ মালিকদের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে লিখিত নেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি তারা বিনা অনুমতিতে এগুলো তৈরি করে তাহলে আর সতর্ক নয়, সোজা জেল-জরিমানা করা হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. ফারুক হোসেন সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, অনেকে হঠাৎ করে পেশা বদল করে কোনো প্রশিক্ষণ না নিয়ে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। এতে নগরীতে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।