Dhaka ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বান্দরবান জেলার থানচিতে নিষিদ্ধ ৩০ একর পপিচাষ পুড়িয়ে দিল বিজিবি।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৪৪:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৬২৩ Time View
বান্দরবান জেলার থানচিতে নিষিদ্ধ ৩০ একর পপিচাষ পুড়িয়ে দিল বিজিবি।
আবুবকর ছিদ্দীক বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
আফিম বা পপি থেকে আফিম এটি তৈরি হয়। সব পপি ফুল থেকে মাদক দ্রব্য তৈরি হয় না, পপি ফুলের আবার অনেক নিরীহ প্রজাতি রয়েছে যা বাগানে শোভা পায়। নিরীহ দর্শন এই গাছটি একটি মাদক দ্রব্যের গাছ। ফল যখন পরিপক্ব হয় তখন ব্লেড দিয়ে ফলে গায়ে গভীর করে আঁচড় দেওয়া হয়।
থানচিতে নিষিদ্ধ পপিচাষ দিন দিন বাড়ছে। গহীন অরন্যে ৩০ একর জমিতে পপিখেত পুড়িয়ে দিল বিজিবি। থানচি বান্দরবান ১৭ ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীন অরন্যে নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য বানিজ্যিক ভাবে পপি চাষের ঝুকি নিয়েছে এক শ্রেনির প্রভাবশালীরা ধরাছোয়া বাইরে থাকছে তারা। আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীদের চোখে আড়ালে থাকলেও এবারে গহীন অরন্যে ৩০ একর পাহাড়ী জমিতে পপিক্ষেত পুরিয়ে দিয়েছে বিজিবি।
গোয়েন্দা সংস্থাদের এমন সংবাদে ভিত্তিতে উপজেলা তিন্দু ইউনিয়নের এলাকা গভীর অরন্যে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ পপিখেঁত ধংস করে দিল বর্ডা গার্ড বাংলাদেশ ( বিজিবি)।
১৭  ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে ৩৮ বিজিবি বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল-আলম, পিএসসি, টেন্ডুমুখ বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোঃ ইনয়ামুল হক এর নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের বিজিবি জোয়ানরা তিন্দু ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে কাইকা খুমি পাড়া এলাকা খন্দ খন্দভাবে অনুমানিক ৩০ একর জুড়ে পাহাড়ী জমিতে পপি চাষের সন্ধান মেলে বিজিবি টহল থের পেয়ে পপি চাষীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করার সম্ভব হয় নি। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতের বিপুল পরিমান পপিখেত পুড়িয়ে ধংস করতে স্বক্ষম হয়। কাইকা খুমি পাড়া তিন্দুমুখ বিজিবি ক্যাম্প থেকে সাড়ে ৬ কিলোমিটার দক্ষিনের অবস্থান। উল্লেখ্য, পুড়িয়ে ধ্বংসকৃত পপি প্রক্রিয়াজাত করনের পর আনুমানিক ৫টি টিলায় আনুমানিক ৩০ একর পপিক্ষেত স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১১,২৫,০০,০০০/- (এগারো কোটি পঁচিশ লক্ষ) টাকা বলে দাবী করেন। বর্ণিত এলাকায় আরও পপি ক্ষেত আছে কিনা সে ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। টহল দল পপি ক্ষেত ধ্বংস শেষে জনবল, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ নিরাপদে টেন্ডুমুখ বিজিবি ক্যাম্পে প্রত্যাবর্তন করেছে।
উল্লেখ্য গত ২৪ জানুয়ারী ও ২ রা ফেব্রুয়ারী দুই দফা একই এলাকা অভিযানে প্রায় ১২ একর জমিতে পটিখেত পুড়িয়ে ধংস করেছে বিজিবি। অভিযান শেষে বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন (৩৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল- আলম পিএসসি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ, দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা, পাহাড়ী-বাঙ্গালী সীমান্ত অপরাধ দমনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে পেশাদারিত্বের সাথে মাদক নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আবুবকর ছিদ্দীক
বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি
ফোন: 01625-173276
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

বান্দরবান জেলার থানচিতে নিষিদ্ধ ৩০ একর পপিচাষ পুড়িয়ে দিল বিজিবি।

Update Time : ০৮:৪৪:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
বান্দরবান জেলার থানচিতে নিষিদ্ধ ৩০ একর পপিচাষ পুড়িয়ে দিল বিজিবি।
আবুবকর ছিদ্দীক বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
আফিম বা পপি থেকে আফিম এটি তৈরি হয়। সব পপি ফুল থেকে মাদক দ্রব্য তৈরি হয় না, পপি ফুলের আবার অনেক নিরীহ প্রজাতি রয়েছে যা বাগানে শোভা পায়। নিরীহ দর্শন এই গাছটি একটি মাদক দ্রব্যের গাছ। ফল যখন পরিপক্ব হয় তখন ব্লেড দিয়ে ফলে গায়ে গভীর করে আঁচড় দেওয়া হয়।
থানচিতে নিষিদ্ধ পপিচাষ দিন দিন বাড়ছে। গহীন অরন্যে ৩০ একর জমিতে পপিখেত পুড়িয়ে দিল বিজিবি। থানচি বান্দরবান ১৭ ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীন অরন্যে নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য বানিজ্যিক ভাবে পপি চাষের ঝুকি নিয়েছে এক শ্রেনির প্রভাবশালীরা ধরাছোয়া বাইরে থাকছে তারা। আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীদের চোখে আড়ালে থাকলেও এবারে গহীন অরন্যে ৩০ একর পাহাড়ী জমিতে পপিক্ষেত পুরিয়ে দিয়েছে বিজিবি।
গোয়েন্দা সংস্থাদের এমন সংবাদে ভিত্তিতে উপজেলা তিন্দু ইউনিয়নের এলাকা গভীর অরন্যে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ পপিখেঁত ধংস করে দিল বর্ডা গার্ড বাংলাদেশ ( বিজিবি)।
১৭  ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে ৩৮ বিজিবি বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল-আলম, পিএসসি, টেন্ডুমুখ বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোঃ ইনয়ামুল হক এর নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের বিজিবি জোয়ানরা তিন্দু ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে কাইকা খুমি পাড়া এলাকা খন্দ খন্দভাবে অনুমানিক ৩০ একর জুড়ে পাহাড়ী জমিতে পপি চাষের সন্ধান মেলে বিজিবি টহল থের পেয়ে পপি চাষীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করার সম্ভব হয় নি। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতের বিপুল পরিমান পপিখেত পুড়িয়ে ধংস করতে স্বক্ষম হয়। কাইকা খুমি পাড়া তিন্দুমুখ বিজিবি ক্যাম্প থেকে সাড়ে ৬ কিলোমিটার দক্ষিনের অবস্থান। উল্লেখ্য, পুড়িয়ে ধ্বংসকৃত পপি প্রক্রিয়াজাত করনের পর আনুমানিক ৫টি টিলায় আনুমানিক ৩০ একর পপিক্ষেত স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১১,২৫,০০,০০০/- (এগারো কোটি পঁচিশ লক্ষ) টাকা বলে দাবী করেন। বর্ণিত এলাকায় আরও পপি ক্ষেত আছে কিনা সে ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। টহল দল পপি ক্ষেত ধ্বংস শেষে জনবল, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ নিরাপদে টেন্ডুমুখ বিজিবি ক্যাম্পে প্রত্যাবর্তন করেছে।
উল্লেখ্য গত ২৪ জানুয়ারী ও ২ রা ফেব্রুয়ারী দুই দফা একই এলাকা অভিযানে প্রায় ১২ একর জমিতে পটিখেত পুড়িয়ে ধংস করেছে বিজিবি। অভিযান শেষে বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন (৩৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল- আলম পিএসসি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ, দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা, পাহাড়ী-বাঙ্গালী সীমান্ত অপরাধ দমনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে পেশাদারিত্বের সাথে মাদক নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আবুবকর ছিদ্দীক
বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি
ফোন: 01625-173276