Dhaka ০১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালুটুঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৪৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৫২ Time View

সারওয়ার জাহান ফরহাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জের বালুটুঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান হাজেম এর নিয়োগ বাণিজ্য, কমিটি গঠন বাণিজ্য, সনদপত্র বাণিজ্যসহ ব্যাপক দূর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী, সহকারি শিক্ষক, এলাকাবাসী ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

গত (০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪) রবিবার বিদ্যালয় মাঠে এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, এই প্রধান শিক্ষক তাঁর স্বার্থের একটু ব্যাঘাত ঘটলে কমিটির বিরুদ্ধে মামলা কিংবা আবার নতুন কমিটি গঠন করে নিজের স্বার্থ পূরণ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি বিদ্যালয়ে সপ্তাহে ৪দিন অনুপন্থিত হওয়ার সত্যেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় উপস্থিত দেখা যায়। এছাড়া ভর্তি রেজিষ্ট্রার খাতাও ঠিক নাই। পাশাপাশি করোনাকালীন সময়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফেতরকৃত অর্থও তিনি আত্মসাৎ করেছেন এবং উনাকে ঠিকমত ক্লাস করার কথা বললে হাতে চাকু নিয়ে শিক্ষার্থীদের তেড়ে আসতেন বলেও অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

আবার মানববন্ধনেই আব্দুর রহিম নামে একজন অভিযোগ করেন আমার ভাতিজিকে আয়া পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমাদের থেকে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেই এবং চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়ে টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করে, অনেক ঘোরাঘুরি করিয়ে ৫ লক্ষ টাকা ফেরত দেই এবং বাকি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সময় নেই এভাবেই মাসের পর মাস ঘুরাতে থাকে কিন্তু টাকা ফেরত দেয়না।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুর রহমান ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠান প্রধান হোন। তিনি গত ২৬ জুলাই গোপনে এডহক কমিটি গঠন করেয়েছেন। যা অত্র প্রতিষ্ঠানের কেউ জানেন না। এছাড়া জেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত অনুদানের ১ লাখ টাকার মধ্যে প্রথম ধাপের ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি ঠিকমত বিদ্যালয়ে আসেন না, কোন শিক্ষককে মুমমেন্ট বহিতে লিখিত দায়িত্ব দেন না। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়ের এ্যাকুডেন্স খাতা, ক্যাশ বহি, শিক্ষার্থী ভর্তি খাতা সরিয়ে রাখেন। বলা যায়, তিনি বিদ্যালয়ের সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি বাসায় রাখেন। তিনি বিদ্যালয়ে না আসার কারণে তাঁর ক্লাসগুলো শিক্ষার্থীরা করতে পারে না। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিগত ১১ বছর থেকে। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মচারীগণ জেলা শিক্ষা অফিসাররের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন বলেও জানা যায়।

আবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুদ্দিন কে বিভিন্নভাবে বিদ্যালয় থেকে দীর্ঘ ১২বছর সরিয়ে রেখেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক বৃন্দ ও এলাকাবাসী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান হাজেম এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন এবং তার পদত্যাগ এবং প্রধান শিক্ষক হিসেবে মোহ সাইফুদ্দিন কে পুনরায় চেয়ে দাবি জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

বালুটুঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

Update Time : ১১:৪৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সারওয়ার জাহান ফরহাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জের বালুটুঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান হাজেম এর নিয়োগ বাণিজ্য, কমিটি গঠন বাণিজ্য, সনদপত্র বাণিজ্যসহ ব্যাপক দূর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী, সহকারি শিক্ষক, এলাকাবাসী ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

গত (০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪) রবিবার বিদ্যালয় মাঠে এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, এই প্রধান শিক্ষক তাঁর স্বার্থের একটু ব্যাঘাত ঘটলে কমিটির বিরুদ্ধে মামলা কিংবা আবার নতুন কমিটি গঠন করে নিজের স্বার্থ পূরণ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি বিদ্যালয়ে সপ্তাহে ৪দিন অনুপন্থিত হওয়ার সত্যেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় উপস্থিত দেখা যায়। এছাড়া ভর্তি রেজিষ্ট্রার খাতাও ঠিক নাই। পাশাপাশি করোনাকালীন সময়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফেতরকৃত অর্থও তিনি আত্মসাৎ করেছেন এবং উনাকে ঠিকমত ক্লাস করার কথা বললে হাতে চাকু নিয়ে শিক্ষার্থীদের তেড়ে আসতেন বলেও অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

আবার মানববন্ধনেই আব্দুর রহিম নামে একজন অভিযোগ করেন আমার ভাতিজিকে আয়া পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমাদের থেকে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেই এবং চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়ে টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করে, অনেক ঘোরাঘুরি করিয়ে ৫ লক্ষ টাকা ফেরত দেই এবং বাকি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সময় নেই এভাবেই মাসের পর মাস ঘুরাতে থাকে কিন্তু টাকা ফেরত দেয়না।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুর রহমান ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠান প্রধান হোন। তিনি গত ২৬ জুলাই গোপনে এডহক কমিটি গঠন করেয়েছেন। যা অত্র প্রতিষ্ঠানের কেউ জানেন না। এছাড়া জেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত অনুদানের ১ লাখ টাকার মধ্যে প্রথম ধাপের ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি ঠিকমত বিদ্যালয়ে আসেন না, কোন শিক্ষককে মুমমেন্ট বহিতে লিখিত দায়িত্ব দেন না। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়ের এ্যাকুডেন্স খাতা, ক্যাশ বহি, শিক্ষার্থী ভর্তি খাতা সরিয়ে রাখেন। বলা যায়, তিনি বিদ্যালয়ের সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি বাসায় রাখেন। তিনি বিদ্যালয়ে না আসার কারণে তাঁর ক্লাসগুলো শিক্ষার্থীরা করতে পারে না। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিগত ১১ বছর থেকে। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মচারীগণ জেলা শিক্ষা অফিসাররের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন বলেও জানা যায়।

আবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুদ্দিন কে বিভিন্নভাবে বিদ্যালয় থেকে দীর্ঘ ১২বছর সরিয়ে রেখেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক বৃন্দ ও এলাকাবাসী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান হাজেম এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন এবং তার পদত্যাগ এবং প্রধান শিক্ষক হিসেবে মোহ সাইফুদ্দিন কে পুনরায় চেয়ে দাবি জানিয়েছেন।