Dhaka ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড়লেখায় প্রতারনা করে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পলাতক সুমন পাল শিপলু

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:০২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • ২০৭ Time View
মোঃ নজরুল ইসলাম ক্রাইম রিপোর্টার
মৌলভীবাজার।।
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গাজী কয়েল, মতিন মসলা সহ বিভিন্ন কোম্পানির ডিলার সুমন পাল শিপলু  ব্যবসায়ী সহ একাধিক ব্যাক্তি নিকট থেকে সুকৌশলে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পলাতক রয়েছে। এনিয়ে পাওনাদার লোকরা সুমন পাল শিপলুর ছিকামলস্থ বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান তার বাড়িটি তালাবদ্ধ। এনিয়ে কেউ কোর্ট কেউবা থানায় অভিযোগ করছে।
২৩ মে বড়লেখা হাজীগঞ্জ বাজারের ভাই ভাই ট্রেডার্সের ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার বড়লেখা থানায় অভিযোগ করেন। সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায় বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছিকামহল গ্রামে গিয়ে দেখা যায় সাবেক স্কুল শিক্ষক   শিশির পালের ১ ছেলে ২ মেয়ে রেখে মৃতু্যবরণ করেন।মাষ্টারের ছেলে হওয়ার সুবাদে সুমন পাল শিপলুকে এলাকার লোকজন ভালো নজরে দেখতো। সুমন ও মানুষের সাথে ভালো আচরন করতো। গাজী কয়েলের ডিলার, মতিন  মসলার ডিলার সহ বেশ কিছু পন্যের ডিলার দিয়ে ব্যবসা করতেন সুমন পাল শিপলু। মানুষের সাথে লেনদেন করে যাচ্ছেন সুন্দর ভাবে। এটাকে কাজে লাগিয়ে সুকৌশলে লোকজনের নিকট থেকে কোন ডকুমেন্ট ছাড়া টাকা নেন। অনেকের কাছে  তার নামীয় ব্যাংকের একাউন্টের চেক দিতেন আর অনেকের কাছ থেকে চেক নিতেন। এলাকার অনেকে জানান বড়লেখা হাজীগন্জ বাজার বাজারের ভাই ভাই ট্রেডার্সের  সত্যাধিকারী গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার এর সাথে সুমন পাল শিপলুর খুবি সম্পর্ক ছিলো। একে অন্যকে সহযোগিতা করতেন। এর অংশ হিসেবে একে অন্যকে ব্লাংক চেক দিতেন তাদের ব্যবসার জন্য। তাই গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার এর নামীয় ব্যাংকের একাউন্টের ২ টি চেক প্রায় ১ বছর পূর্বে সুমন পাল শিপলু নেন। গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার এর কাছে সুমন পাল শিপলুর নামীয় চেক রয়েছে। গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার  অভিযোগ করেছেন তিনি সুমন পাল শিপলু নিকট ৮ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা পান। তিনি বলেন সুমন পাল শিপলু প্রায় ১ বছর পূর্বে আমার নামীয় ইউনিয়ন ব্যাংক বড়লেখা শাখার একাউন্ট নং ০৮০১০১০০০০২০২ চেকের পাতা নং ০৮০৭৩৭১ চেকে পাঁচ লক্ষ টাকা অন্য চেকের পাতা নং ০৮০৭৩৭২ চেকে ও পাঁচ লক্ষ টাকা লিখে দেই। এসময় সুমন পাল শিপলু তার নামীয় উওরা ব্যাংক বড়লেখা শাখার একাউন্ট নং ০৬০৪১২২০০০২১৫৮৭ এর দুটি চেকের পাতা দেন যার নাম্বার ৯৭৬৪৫০৬ ও ৯৭৬৪৫১৩ এ চেকের দুটি পাতাতে সুমন পাল শিপলু সাক্ষর করে দিয়ে যান। সুমন পাল শিপলু পলাতক হওয়ার পর জানতে পারি সে আমার টাকা সহ বড়লেখার বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পলাতক রয়েছে। ছোট লেখা দক্ষিণ ভাগ সি আই জি সমিতির দুই লক্ষ টাকা নিয়েছে। এসব লোকজন বড়লেখা থানা ও কোর্টে গিয়ে ধরনা দিচেছন।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

বড়লেখায় প্রতারনা করে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পলাতক সুমন পাল শিপলু

Update Time : ১২:০২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
মোঃ নজরুল ইসলাম ক্রাইম রিপোর্টার
মৌলভীবাজার।।
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গাজী কয়েল, মতিন মসলা সহ বিভিন্ন কোম্পানির ডিলার সুমন পাল শিপলু  ব্যবসায়ী সহ একাধিক ব্যাক্তি নিকট থেকে সুকৌশলে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পলাতক রয়েছে। এনিয়ে পাওনাদার লোকরা সুমন পাল শিপলুর ছিকামলস্থ বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান তার বাড়িটি তালাবদ্ধ। এনিয়ে কেউ কোর্ট কেউবা থানায় অভিযোগ করছে।
২৩ মে বড়লেখা হাজীগঞ্জ বাজারের ভাই ভাই ট্রেডার্সের ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার বড়লেখা থানায় অভিযোগ করেন। সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায় বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছিকামহল গ্রামে গিয়ে দেখা যায় সাবেক স্কুল শিক্ষক   শিশির পালের ১ ছেলে ২ মেয়ে রেখে মৃতু্যবরণ করেন।মাষ্টারের ছেলে হওয়ার সুবাদে সুমন পাল শিপলুকে এলাকার লোকজন ভালো নজরে দেখতো। সুমন ও মানুষের সাথে ভালো আচরন করতো। গাজী কয়েলের ডিলার, মতিন  মসলার ডিলার সহ বেশ কিছু পন্যের ডিলার দিয়ে ব্যবসা করতেন সুমন পাল শিপলু। মানুষের সাথে লেনদেন করে যাচ্ছেন সুন্দর ভাবে। এটাকে কাজে লাগিয়ে সুকৌশলে লোকজনের নিকট থেকে কোন ডকুমেন্ট ছাড়া টাকা নেন। অনেকের কাছে  তার নামীয় ব্যাংকের একাউন্টের চেক দিতেন আর অনেকের কাছ থেকে চেক নিতেন। এলাকার অনেকে জানান বড়লেখা হাজীগন্জ বাজার বাজারের ভাই ভাই ট্রেডার্সের  সত্যাধিকারী গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার এর সাথে সুমন পাল শিপলুর খুবি সম্পর্ক ছিলো। একে অন্যকে সহযোগিতা করতেন। এর অংশ হিসেবে একে অন্যকে ব্লাংক চেক দিতেন তাদের ব্যবসার জন্য। তাই গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার এর নামীয় ব্যাংকের একাউন্টের ২ টি চেক প্রায় ১ বছর পূর্বে সুমন পাল শিপলু নেন। গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার এর কাছে সুমন পাল শিপলুর নামীয় চেক রয়েছে। গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার  অভিযোগ করেছেন তিনি সুমন পাল শিপলু নিকট ৮ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা পান। তিনি বলেন সুমন পাল শিপলু প্রায় ১ বছর পূর্বে আমার নামীয় ইউনিয়ন ব্যাংক বড়লেখা শাখার একাউন্ট নং ০৮০১০১০০০০২০২ চেকের পাতা নং ০৮০৭৩৭১ চেকে পাঁচ লক্ষ টাকা অন্য চেকের পাতা নং ০৮০৭৩৭২ চেকে ও পাঁচ লক্ষ টাকা লিখে দেই। এসময় সুমন পাল শিপলু তার নামীয় উওরা ব্যাংক বড়লেখা শাখার একাউন্ট নং ০৬০৪১২২০০০২১৫৮৭ এর দুটি চেকের পাতা দেন যার নাম্বার ৯৭৬৪৫০৬ ও ৯৭৬৪৫১৩ এ চেকের দুটি পাতাতে সুমন পাল শিপলু সাক্ষর করে দিয়ে যান। সুমন পাল শিপলু পলাতক হওয়ার পর জানতে পারি সে আমার টাকা সহ বড়লেখার বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পলাতক রয়েছে। ছোট লেখা দক্ষিণ ভাগ সি আই জি সমিতির দুই লক্ষ টাকা নিয়েছে। এসব লোকজন বড়লেখা থানা ও কোর্টে গিয়ে ধরনা দিচেছন।