মজুরি বৈষম্য দূর হয়ে নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হোক ।
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা
সৃষ্টির শুরু থেকেই নারী পুরুষ মিলেমিশে কাজ করছে। কিন্তু পরিস্থিতি এবং সময়ের প্রয়োজনে পৃথিবীতে অনেক আন্দোলনই হয়েছে। সে আন্দোলনগুলোর মধ্যে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন অন্যতম। এই শ্রমিক আন্দোলকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর মে দিবস পালিত হয়। কত আয়োজন এই শ্রমিকদের নিয়ে। কিন্তু আমাদের সমাজে নারী শ্রমিকরা তাদের অধিকার আদায়ে বৈষম্যের শিকার।
বিশ্বের অনেক দেশের মতো আমাদের নারীরা ও পুরুষের পাশে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে। নারীরাও ঘরের গণ্ডি পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন আপন মহিমায়। দেশের শিক্ষা, কৃষি বা অর্থনীতি সর্বত্র নারীর পদচারণ রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আজও নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ইটভাটা, পোশাক শিল্প, কৃষিকাজ, গৃহশ্রম, নির্মাণ কাজ, চাতালে ও সমিলে কাজসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক কোনো কাজেই নারীরা পুরুষের সমান মজুরি পান না। ঢাকার বাইরে এ বিভেদ আরও প্রকট। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করলেও বেতন ও মজুরি বৈষম্যের বেড়াজাল থেকে শত চেষ্টার পরও বের হতে পারেননি নারীরা। পুরুষের সমান শ্রম দিয়েও বেতন বৈষম্যের শিকার হওয়ায় ক্ষুব্ধ নারী নেত্রীরাও। তারা চান সঠিক বেতন যেন পান নারী শ্রমিকরা। বিশ্ব শ্রমবাজারে কোন কোন জায়গায় পুরুষের চেয়েও নারী শ্রমিকের চাহিদা অনেক বেশী। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ গুলোর বৈদেশিক আয়ের অন্যতম উৎস হলো রেমিটেন্স। বর্তমান বিশ্বে শ্রম বাজারে পুরুষের সাথে নারীর অংশগ্রহণ অনেক বেড়েছে। কিন্তু এই নারী শ্রমিকদের সঠিক মজুরি এবং নিরাপদ কর্ম পরিবেশ আজো অধরা। নারী শ্রমিকের মজুরি বৈষম্যের বিষয়টি দুঃখজনক। চার দশক আগে ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে নারী শ্রমিকদের প্রতি সমআচরণ ও সমান সুযোগের ‘আইএলও’ ঘোষণা গৃহীত হলেও নারী শ্রমিকরা কার্যত সেই সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না। জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে ১৮৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬ নম্বরে । তবে এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নারী-পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বড়ো ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের শ্রমশক্তির তথ্যের উপর ভিত্তি করে, আইএলও রিপোর্টে দেখা গেছে যে বাংলাদেশে পুরুষদের তুলনায় নারীদের ফ্যাক্টর-ওয়েটেড ঘণ্টাপ্রতি মজুরি ৫.০% বেশি। বিশ্বে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে ফ্যাক্টর-ওয়েটেড ঘন্টায় মজুরি ইতিবাচক। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও), “ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক ট্রেন্ডস ২০২০” এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশে নারীদের বেকারত্বের হার ২০১৯ সালে ৬.২%-এ নেমে এসেছে যা আগের বছরে ৬.৬% ছিল। ২০১৯ সালে শ্রমবাজারে মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল ৩৬.৩%, যেখানে পুরুষদের অংশগ্রহণ ছিল ৮১.৪%। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২২ অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি লিঙ্গ-সমতার দেশ। নারীরা বাংলাদেশে পুরুষদের তুলনায় প্রায় অর্ধেক আয় করে। যেখানে, একই কাজ এবং একই সময় ব্যয় করে একজন পুরুষ নির্মাণ কর্মী তার মহিলা প্রতিপক্ষের তুলনায় দেড়গুণ বেশি উপার্জন করতে পারেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের শ্রমশক্তির ৮৭ শতাংশেরই কর্মসংস্থান হয় অনানুষ্ঠানিক খাতে। যেখানে নারীর সংখ্যাই বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন বাংলাদেশি নারী পুরুষদের তুলনায় ডলারে গড়ে ৭৭ সেন্ট আয় করেন। জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশে লিঙ্গ মজুরি ব্যবধান বিশ্বের সর্বনিম্ন। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ার্টন স্কুলের অলিভিয়া মিচেলের মতে, মজুরি ব্যবধানে উল্লেখযোগ্য কারণ হল ” নারীদের বিভিন্ন ছুটি, আলোচনার দক্ষতার অভাব, প্রযুক্তি দক্ষতার অভাব এবং নিয়োগকর্তাদের পক্ষপাত”। এছাড়াও সমাজে নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের বা সমস্যার শিকার হয়ে থাকেন। চাকরিক্ষেত্রে বা পাবলিক পরিবহনগুলোতে প্রায়ই হেনস্তার শিকার হয় নারীরা। এজন্য অনেকেই সন্ধ্যায় ও রাতে অফিসের কাজ করতে চান না এবং অফিস যদি বাসা থেকে দূরে হয় তাহলে যাতায়াতের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অনেকেই চাকরিটা আর করেন না। অথবা প্রতিকূল পরিবেশের জন্যও চাকরি ছাড়তে হয় কোনো কোনো নারীকে। অনেক সময় নিরাপদ পরিবেশের অভাব চাকরিক্ষেত্রে নারীদের যোগদান কম হওয়ার পেছনে দায়ী থাকে। নারী শ্রমিকরা শুরু থেকেই মজুরি বৈষম্যের শিকার। চারজন নারী শ্রমিক একবেলায় এক বিঘা জমির ধান মাড়াই করতে পারে। সমসংখ্যক পুরুষ একই সময়ে প্রায় সমপরিমাণ জমির ধান মাড়াই করলেও মজুরি দেওয়ার সময়ে নারী শ্রমিকদের কম মজুরি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলা হলে অন্য শ্রমিক নেওয়ার হুমকি দিয়ে কম মজুরিতে নারী শ্রমিকদের তাঁদের কাজ করতে বাধ্য করা হয়। নারীদের মজুরি বৈষম্যের বেড়াজালে আটকে পরিবার, সমাজ তথা জাতীয় জীবনে প্রত্যাশিত উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে না। আমরা চাই, এ বিভ্রান্তি থেকে সমাজ মুক্তি পাক। সমাজে নারী ও পুরুষের মজুরি-বৈষম্য দূর হয়ে নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হোক। এ ব্যাপারে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে সচেতন হতে হবে। কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। দেশে নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে কিনা সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। সরকার নারী-পুরুষের সমতার কথা বলে। তাদের এর বাস্তব রূপ দিতে হবে। মজুরি বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হলে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। বিশেষ করে মালিক শ্রেণির মনোভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ যেন নারী শ্রমিকদের ঠকাতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
খুলনার দাকোপে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা –
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী কর্মসুচির অংশ হিসেবে দাকোপের চালনা পৌরসভাসহ ৯টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে শান্তি মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে চালনা পৌরসভার উদ্যোগে বিশাল সমাবেশ ও শান্তি কান্তি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। চালনা পৌরসভা আ’লীগের সভাপতি শেক শফিকুল ইসলাম আক্কেলের সভাপতিত্বে এবং যুবনেতা রতন কুমার মন্ডলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল। প্রধান বক্তা ছিলেন দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন। বিশেস অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ ফকির, পৌর মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল, অসিত বরণ সাহা, অধ্যাপক দুলাল রায়, কনিকা বৈরাগী, শেখ রফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মিহির মন্ডল, এবিএম রুহুল আমীন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আকতার, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শেখ গোলাম হোসেন, হাসিব গাজী, শেখ ইকবাল হোসেন, ইউপি আ’লীগের সভাপতি যথাক্রমে স্বপন কুমার সরকার, অধ্যাপক সুপদ রায়, বাজুয়া ইউপি আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মীর্জা সাইফুল ইসলাম টুটুল, জি এম জুলফিকার আলী জুলু, জ্যোতি শংকর রায়, ক্ষিতিষ চন্দ্র রায়, সুশংকর বাছাড়, উপজেলা শ্রমীক লীগের সভাপতি গোবিন্দ বিশ্বাস, চালনা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক ও দাকোপ প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ শিপন ভুঁইয়া, পৌর সাধারণ সম্পাদক অমরেশ ঢালী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক জি এম রেজা, সদস্য সচিব উত্তম রায়, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নিতাই বাছাড়, আব্দুল্লাহ আল মাসুম, জাহিদুর রহমান মিল্টন, রতন কুমার মন্ডল, আরাফাত আজাদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল শরীফ, সাধারণ সম্পাদক লিটন সরদার, রাসেল কাজী, রাহুল রায়, মাসুম হাওলাদার প্রমুখ।
খুলনার দাকোপের লাউডোব-বানিশন্তায় শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা :
বিএনপি -জামাতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র নৈরজ্য ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ১১ ফেব্রুয়ারী শনিবার বিকাল ৫ টায় দাকোপের লাউডোব-বানিশন্তা ফেরীঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ প্রতিবাদ ও শান্তিপুর্ণ মিছিলটি এলাকার বিশেষ বিশেষ সড়ক পরিদর্শন শেষে ফেরিঘাট এলাকায় একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃিতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্য্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, আইন ও বিচার বিভাগীয় সংসদীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য এ্যাডভোকেট গ্লোরিয় ঝর্ণা সরকার এমপি। এসময় তিনি বলেন একটা ওয়ান-ইলেভেন হয়েছে আরেকটা ওয়ান ইলেভেনের পুনরবৃত্তি করে বেনিফিশিয়ারি (সুবিধাভোগী) হবে এইলক্ষ তারা অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি জয়ের সম্ভবনা নেই জেনে দলটি অস্থিতিশীল পরিসাহিতি সৃষ্টি করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি। তিনি বলেন বিএনপি পি দেশকে অস্থিতিশীল করতে নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপি ‘ভয়ংকর’ অপশক্তি। তাদের মাঠ ছেড়ে দিলে আবার আগুন–সন্ত্রাস শুরু করবে। তারা (বিএনপি) মনে করতে পারে রাজপথের শক্তিতে আওয়ামী লীগকে ছাড়িয়ে গেছে। এ জন্যই পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে আছে আওয়ামী লীগ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দাকোপ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায়, শেখ আব্দুল কাদের, জয়ন্তী রাণী সরদার, শেখ যুবরাজ, সুদেব কুমার রায়, রবার্ট হালদার, নিহার মন্ডল, পরিমল কান্তি রপ্তান, সঞ্জীব কুমার মন্ডল, দেবাশীষ রায়, আব্দুল্লাহ আল মাসুম, মেহেদী হাসান বুলবুল, গৌতম সরকার কাঁকন, রতন কুমার মন্ডল, মানিক বাড়ৈ, মিঠুন ঢালী, জাহিদুর রহমান মিল্টন, পাবক রায়, রাসেল কাজী প্রমূখ। এ সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ সহ সকল অংগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃ ও কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায়, শেখ আব্দুকাদের, জয়ন্তী রাণী সরদার, শেখ যুবরাজ, সুদেব কুমার রায়, রবার্ট হালদার, নিহার মন্ডল, পরিমল কান্তি রপ্তান, সঞ্জীব কুমার মন্ডল, দেবাশীষ রায়, আব্দুল্লাহ আল মাসুম, মেহেদী হাসান বুলবুল, গৌতম সরকার কাঁকন, রতন কুমার মন্ডল, মানিক বাড়ৈ, মিঠুন ঢালী, জাহিদুর রহমান মিল্টন, পাবক রায়, রাসেল কাজী প্রমূখ। এ সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ সহ সকল অংগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃ ও কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন মো: হাবিবুল হক খান।
খুলনা ব্যুরো-
খুলনার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত যাতায়াতে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি গাড়ির অপব্যবহার করা ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার না করতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। অথচ খুলনা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মো: হাবিবুল হক খান তার ব্যক্তিগত কাজেই বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করছেন সরকারি গাড়ি। এমনকি তার ছেলেও সরকারি গাড়িটি হরহামেশা ব্যবহার করছেন। এতে একদিকে যেমন জ্বালানি তেল বেশি যাচ্ছে সরকারি কোষাগার থেকে। তেমনি ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের। সরকারি গাড়ি ব্যবহার ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশের পরও বন্ধ হচ্ছে না সরকারি গাড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার। বাড়ির বাজার, ছেলে-মেয়েদের স্কুলে আনা-নেওয়াসহ পারিবারিক যেকোনো কাজে হরদম পুড়ছে সরকারি টাকায় কেনা জ্বালানি তেল।
অনুসন্ধান বলছে, ২০২০ সালে খুলনা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন মো: হাবিবুল হক খান। যোগদানকালে সরকারের পক্ষ তাকে সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য উন্নতমানের একটি গাড়ি দেয়া হয়। নিয়ম রয়েছে সরকারি কাজ ছাড়া উপজেলার বাইরে গাড়ি নিয়ে যেতে হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও সংশ্লিষ্ট কারণ থাকতে হবে। নাম না প্রকাশে বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, খুলনা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মো: হাবিবুল হক খান ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন সরকারি গাড়ি। এছারা তার ছেলেও গাড়িটি ব্যবহার করে থাকেন। ব্যক্তিগত কাজে গাড়ি ব্যবহার করায় বদনাম ছড়াচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের। এ ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।
সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত কাজে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করাও বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির পর্যায়ে পড়ে। এটি রাজস্ব ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্তমান জ্বালানি ব্যয় সাশ্রয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সামিল। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
জানতে চাইলে খুলনা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মো: হাবিবুল হক খান বলেন, গাড়ি আমি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করিনা। উর্ধতন কর্মকর্তার মৌখিক অনুমতি নিয়েই ব্যবহার করে থাকি। এতে সরকারি গাড়ির অব্যবহার হচ্ছে না। আর আমার ছেলে মাঝে মধ্যে ব্যবহার করে এটা সত্য।