“মরিচের বাম্পার ফলন-কৃষকের মনে খুশি”
আবুল কালাম আজাদউ, লিপুর প্রতিনিধি –
কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় উন্নত জাতের মরিচ চাষে বাম্পার ফলনে মরিচ চাষির স্বপ্ন পুরণ হয়েছে। কৃষকের মনে খুশির ছোঁয়া লেগেছে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মধ্যে দলদলিয়া ও থেতরাই ইউনিয়নের জুয়ান সতরার চর, গোড়াই পিয়ারের চর, টিপমার চর, শুকদেবকুন্ড ও রাজারাম ক্ষেত্র সহ আরও অনেক এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এবারে উন্নত জাতের মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে আশানুরূপ ফলন হয়েছে। কৃষকেরা বলেন আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। মরিচের বাম্পার ফলন হওয়ায় মরিচ চাষিরা অনেক খুশি। তারা বলেন বাজারে মরিচের দাম আশানুরূপ থাকলে আমরা অনেক লাভবান হতে পারব বলে জানান তারা।
উপজেলার দলদলিয়ার রাজারাম এলাকার স্বাধীন মিয়া বলেন, আমি প্রায় ১০ শতক জমিতে হাইব্রিড বিজলী প্লাস টুয়েন্টি টুয়েন্টি ফোর মরিচের চাষ করেছি বাম্পার ফলন হয়েছে। উক্ত জমিতে মরিচ চাষ করতে খরচ হয়েছে ৪ হাজার টাকা উক্ত জমিতে মরিচ হবে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মণ। যার মুল্য বর্তমান বাজারে মণ প্রতি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। যার মুল্য হবে ১৮ হাজার থেকে ২৪ হাজার টাকা। আশা করি লাভ হবে প্রায় ১৪ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে উপ-সহকারী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, ভালো জাতের মরিচের ফলন অনেক ভালো হয়। অল্প খরচে বেশি লাভে মরিচ চাষ করা সম্ভব। মরিচের ভালো ফলন হলে চাষিরা অনেক লাভবান হয়। বাজারে মরিচের বাজার দর ভালো থাকলে চাষিরা অনেক লাভবান হবে বলে জানান তিনি।”
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি –
পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তার কাছে অভিযোগও করেছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে হলেও স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন। এছাড়া সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স চালকদের রোগী দিয়ে তাদের কাছ থেকেও কমিশন আদায় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে রোগী পরিবহনে জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এই অ্যাম্বুলেন্সের চালক মমিনুল ইসলাম মন্টু। তিনি এক যুগ থেকে উলিপুরে কর্মরত রয়েছেন। সরকার নির্ধারিত অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ২০ টাকা।
সে হিসাবে উলিপুর থেকে কুড়িগ্রাম সরকারি হাসপাতালের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার,
ভাড়া ৩৬০ টাকা অথচ অ্যাম্বুলেন্স চালক মমিনুল ইসলাম মন্টু আদায় করছেন ৭০০
থেকে ৮০০ টাকা। উলিপুর থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজের দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার,
ভাড়া ১২০০ টাকা অথচ আদায় করছেন ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। এ ঘটনায় পরিবার
পরিকল্পনার কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী। উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের সোহেল নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, আমার আত্বিয় গুরুত্বরভাবে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় ছিল। উলিপুর থেকে তাকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যাই। সেখানে যাওয়ার পর ড্রাইভার মমিনুল আমার কাছে ১৮০০ টাকা দাবী করেন। আমি ১৪০০ টাকা দিতে চাইলেও ড্রাইভার তা গ্রহন করেনি। এ সময় ড্রাইভার রোগী আটকিয়ে জোর পূর্বক আমার কাছে ১৮০০ টাকা আদায় করেন। পৌরসভার আব্দুল মান্নান মিয়া নামের একজন বলেন, আমার শিশুবাচ্চা গুরুত্বর অসুস্থ্য হলে তাকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স যোগে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। ড্রাইভারকে ভাড়া বাবদ ৪০০ টাকা দিতে চাইলেও নিতে চায়নি পরে
বাধ্য হয়ে ৮০০ টাকা দেই। তবকপুর ইউনিয়নের সাদুল্ল্যা এলাকার এরশাদ নামের এক রোগীর ছোট ভাই বলেন, আমার বড় ভাই আব্দুর রহমান গুরুত্বর অসুস্থ্য হলে তাকে সরকারিঅ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুরে মেডিকেলে নিয়ে যাই। এরপর ড্রাইভার আমাদের কাছে ১৯০০ টাকা ভাড়া আদায় করেন। ধামশ্রেনী ইউনিয়নের হাসান আলী নামের এক রোগীর আত্বিয় অভিযোগ করে বলেন, আমার এক ভাই ট্রলিতে দূর্ঘটনার শিকার হন। তাকে উলিপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে কুড়িগ্রামে নেয়ার জন্য বলেন। এ সময় আমি অ্যাম্বুলেন্স চালককে ৪০০ টাকা ভাড়া দিতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। পরে বাধ্য হয়ে
অসুস্থ্য রোগীকে অটোযোগে কুড়িগ্রামে নিয়ে যাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের চালক বলেন, সরকারি
অ্যাম্বুলেন্সের চালক মমিনুল ইসলাম আমাদের রোগী দিলে তাকে কুড়িগ্রামের জন্য ১০০ টাকা ও রংপুরের জন্য ২০০ টাকা করে প্রতি ভাড়ার জন্য কমিশন দিতে হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মমিনুল ইসলাম মন্টু বলেন, আমাদের তেলের পারমিশন উলিপুর থেকে নেই। আমার হিসাব হয় কুড়িগ্রাম থেকে। তাই কুড়িগ্রামের ভাড়া ৭০০ টাকা ও রংপুরের ভাড়া ১৮০০ নেয়া হয়। কমিশন ও জোর পূর্বক টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
চালকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”