Dhaka ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাধবপুরে নদী দখলের চেষ্টার অভিযোগ, হুমকির মুখে কয়েকটি পরিবার।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৩৯০ Time View
মাধবপুরে নদী দখলের চেষ্টার অভিযোগ, হুমকির মুখে কয়েকটি পরিবার।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে একটি শক্তিশালী ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে স্থাণীয় লোকড়া নদী থেকে জোরপুর্বক মাটি কেটে নেওয়ার প্রতিকার চেয়ে স্থাণীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরবরে অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে এবং সরেজমিনে গিয়ে স্থাণীয় লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মাঝ বরাবর বয়ে চলা লোকড়া নদীটি ভারতীয় সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বহুদূর বিস্তৃত হয়ে বোয়ালিয়া নদীতে গিয়ে মিশেছে।এই নদীটি দিয়ে এলাকার শত শত একর ফসলী জমির পানি নিস্কাসিত হয়।সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী শ্রীধরপুর গ্রামের  মৃত ছিদ্দিক আলীর ছেলে মর্তুজ আলী চৌমুহনী ইউনিয়নের চৈতন্যপুর গ্রামের চান্দ আলীর ছেলে ওসমান মিয়া ৩০/৪০ জনের একটি লাঠিয়াল বাহিনী সহ এসে জোরপূর্বক কৃষ্ণপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের দখলে থাকা দলিল ও রেকর্ডমূলে থাকা  জায়গা এবং এ জায়গার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লোকড়া নদী থেকে এসকেভেটার মেশিন দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে।লোকড়া নদী থেকে ২০/১২ হাত গভীর করে মাটি খনন করে পানি চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে।মর্তুজ আলী ও ওসমান মিয়া নদীর বালি আহরণের পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগে  উল্লেখ করা হয়েছে।এ অবস্থায় সংলগ্ন এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলী জমি হুমকির মুখে পড়েছে।নদীর পড়ে গড়ে ওঠা কয়েকটি বসতবাড়ি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবুল হাশিমের ছেলে মিটন মিয়া।
স্থানীয় লোকজন জরুরী ভিত্তিতে তাদের এ অবৈধ তৎপরতা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।মেন্দি আলী ও ছোয়াব মিয়া নামের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের দুই প্রবীন বাসিন্দা জানান,মর্তুজ আলী এবং ওসমান মিয়া যা করছে তা পুরোপুরি অন্যায়।আমরা এর প্রতিকার চাই।
মর্তুজ আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি  নিজের জায়গার মাটি কাটছেন বলে দাবি করেন।
বহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন জানান , একটি পক্ষ আমার কাছে এসে অভিযোগ দিয়ে গেছে।ইউএনও মনজুর আহ্সান জানান,অভিযোগ পেয়েছি।গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
বার্তা প্রেরক
নাহিদ মিয়া
মাধবপুর (হবিগঞ্জ)
০১৭৫০০০৪৬৭৪
০১৭৫২১৮২৪৬৭
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

মাধবপুরে নদী দখলের চেষ্টার অভিযোগ, হুমকির মুখে কয়েকটি পরিবার।

Update Time : ০৮:৫৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
মাধবপুরে নদী দখলের চেষ্টার অভিযোগ, হুমকির মুখে কয়েকটি পরিবার।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে একটি শক্তিশালী ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে স্থাণীয় লোকড়া নদী থেকে জোরপুর্বক মাটি কেটে নেওয়ার প্রতিকার চেয়ে স্থাণীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরবরে অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে এবং সরেজমিনে গিয়ে স্থাণীয় লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মাঝ বরাবর বয়ে চলা লোকড়া নদীটি ভারতীয় সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বহুদূর বিস্তৃত হয়ে বোয়ালিয়া নদীতে গিয়ে মিশেছে।এই নদীটি দিয়ে এলাকার শত শত একর ফসলী জমির পানি নিস্কাসিত হয়।সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী শ্রীধরপুর গ্রামের  মৃত ছিদ্দিক আলীর ছেলে মর্তুজ আলী চৌমুহনী ইউনিয়নের চৈতন্যপুর গ্রামের চান্দ আলীর ছেলে ওসমান মিয়া ৩০/৪০ জনের একটি লাঠিয়াল বাহিনী সহ এসে জোরপূর্বক কৃষ্ণপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের দখলে থাকা দলিল ও রেকর্ডমূলে থাকা  জায়গা এবং এ জায়গার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লোকড়া নদী থেকে এসকেভেটার মেশিন দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে।লোকড়া নদী থেকে ২০/১২ হাত গভীর করে মাটি খনন করে পানি চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে।মর্তুজ আলী ও ওসমান মিয়া নদীর বালি আহরণের পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগে  উল্লেখ করা হয়েছে।এ অবস্থায় সংলগ্ন এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলী জমি হুমকির মুখে পড়েছে।নদীর পড়ে গড়ে ওঠা কয়েকটি বসতবাড়ি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবুল হাশিমের ছেলে মিটন মিয়া।
স্থানীয় লোকজন জরুরী ভিত্তিতে তাদের এ অবৈধ তৎপরতা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।মেন্দি আলী ও ছোয়াব মিয়া নামের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের দুই প্রবীন বাসিন্দা জানান,মর্তুজ আলী এবং ওসমান মিয়া যা করছে তা পুরোপুরি অন্যায়।আমরা এর প্রতিকার চাই।
মর্তুজ আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি  নিজের জায়গার মাটি কাটছেন বলে দাবি করেন।
বহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন জানান , একটি পক্ষ আমার কাছে এসে অভিযোগ দিয়ে গেছে।ইউএনও মনজুর আহ্সান জানান,অভিযোগ পেয়েছি।গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
বার্তা প্রেরক
নাহিদ মিয়া
মাধবপুর (হবিগঞ্জ)
০১৭৫০০০৪৬৭৪
০১৭৫২১৮২৪৬৭