“মাধবপুর তেলিয়াপাড়ার স্মৃতিসৌধে ২ মন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন।”
রায়হান আহমেদ, মাধবপুর প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দুই মন্ত্রী।
আজ শনিবার শায়েস্তাগঞ্জ থানার নবনির্মিত ভবন উদ্ভোদন উপলক্ষে ৭১ রনাঙ্গনে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্মৃতিবিজড়িত তেলিয়াপাড়া চা বাগান এলাকার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও বিমান প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ, হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, সিলেটের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, ন্যাশনাল টি কোম্পানির ডিজিএম এমদাদুর রহমান মিঠু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর আহসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, সহ-সভাপতি রহম আলী, যুবলীগ সভাপতি ফারুক পাঠান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মাধবপুরে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট একটি সংঘবদ্ধ চক্র নির্বিবাদে বালু ও মাটি পাচার করছে।
নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি –
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম এলাকা থেকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র নির্বিবাদে বালু ও মাটি পাচার করছে।বালু ও মাটি পাচার অব্যাহত থাকায় ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়ছে রাবার ড্যাম প্রকল্প।স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে বহরা গ্রামের আলী নেওয়াজের পুত্র জালাল মিয়া,মন্তাজ উদ্দিনের পুত্র আইনুজ্জামান,আরিছপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের পুত্র দুলা মিয়া ও একরাম উদ্দিনের পুত্র ফারুক মিয়ার নেতৃত্বে গড়ে উঠা একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট রাবার ড্যাম এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত বালি ও মাটি পাচার করছে।বালি ও মাটি পাচার করে এই সিন্ডিকেটের লোকজন আংগুল ফুলে কলাগাছে পরিনত হয়েছে।তারা টাকার বিনিময়ে অনেকের মুখ বন্ধ করে নির্বিবাদে পাচারকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।সরেজমিনে রাবার ড্যাম এলাকায় গিয়ে বালি ও মাটি পাচারের দৃশ্য দেখা গেছে।এসময় আইনুজ্জামান নামের এক বালি পাচারকারি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন “এখানে কোন সাংবাদিক আসার কথা না।আমরা সাংবাদিকদের নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে থাকি।
কিছুদিন আগেও এক সাংবাদিক নেতাকে মোটা অংকের টাকা দিয়েছি।তবে তিনি ওই সাংবাদিক নেতার নাম বলতে রাজী হননি।আবার দাবি করেন তিনি তার ক্রয় করা নিজস্ব ভূমি থেকে বালি উত্তোলন ও বিক্রী করে থাকেন।নিজের জমি থেকে বালি উত্তোলন করলে কেন সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে হয় এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দেন নি আইনুজ্জামান।
যোগাযোগ করা হলে জালাল মিয়া বালি ও মাটি পাচারের সাথে জড়িত নন বলে দাবি করেন।স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন বিশেষ করে রাতের বেলাতেই ট্রাক্টরযোগে বালি ও মাটি পাচার করে একটি শক্তিশালী চক্র।
বহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন জানান,বালি ও মাটি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বরাবরই তিনি বিভিন্ন ফোরামে বলে আসছেন।রাবার ড্যাম রক্ষার স্বার্থে দ্রুত বালি ও মাটি পাচার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মাধবপুরের ইউএনও মনজুর আহসান্ জানান তিনি নতুন এসেছেন।খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
বার্তা প্রেরক
নাহিদ মিয়া
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
০১৭৫২-১৮২৪৬৭
০১৭৫০-০০৪৬৭৫