মোঃ সোহাগ আরেফিন গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুসকে গুরুদাসপুরের বিলশা গ্রামে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগষ্ট) বেলা ২ টায় বিলশা ঈদগাহ মাঠে তার শেষ নামাজে জানাজা হয়।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এ রাজনীতিবিদ বুধবার (২৯ আগষ্ট) সকাল ৭টা ২২ মিনিটে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকস্ট রোগে ভুগছিলেন। ৭৭ বয়সী আব্দুল কুদ্দুস বিলশা গ্রামেই জন্মগ্রহণ করেন।
আব্দুল কুদ্দুসের ব্যক্তিগত সহকারী ইব্রাহীম হোসেন জানান, শেষ নামাজে জানাযা হওয়ার আগে আলাদা জায়গায় তিন দফায় নামাজে জানাজা হয়। প্রথমটি হয় সংসদ ভবন চত্বর মসজিদে,এরপর বড়াইগ্রাম পাইলট স্কুল মাঠে ও গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হয়।
সংসদ ভবন চত্বর মসজিদ থেকে তার লাশ সন্ধ্যায় গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড়ে তার বাসভবনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে দেখে স্বজন ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বড়াইগ্রাম পাইলট স্কুল মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার নামাজে জানাজা হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। জানাজা নামাজে ডেপুটি স্পিকার এ্যাডভোকেট সামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খাইরুজ্জামান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল,তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক, সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল,লালপুর বাগাতিপাড়ার সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল,সংরক্ষিত এমপি রত্না রহমান,জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান,জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভূঁঞা,পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিতি ছিলেন।
উপজেলা আ.লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক মাজেম আলী জানান,শ্বাসকষ্টের জন্য আব্দুল কুদ্দুসকে গত শনিবার (২৬ আগষ্ট) সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিউতে) নেওয়া হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
উল্লেখ্য, আব্দুল কুদ্দুস আওয়ামী লীগ থেকে ৭ বার মনোনয়ন পেয়ে ৫ বার সংসদ সদস্য (পঞ্চম,সপ্তম,নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ) নির্বাচিত হন। সপ্তম সংসদে তিনি মৎস্য ও পশু সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালন করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকত্তোর ডিগ্রি অর্জনকারী আব্দুল কুদ্দুস মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতে ট্রেনিং নিয়ে মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার ও সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।