Dhaka ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“মেহেরপুরে আগাম ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ শুরু”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:২৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
  • ৩২৬ Time View

“মেহেরপুরে আগাম ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ শুরু”

স্টাফ রিপোর্টারঃ
পুরো অগ্রহায়ণ মাস মূলত আমন ধান কাটার মৌসুম। তবে কার্তিকেই মেহেরপুরে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। মাঠের সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন, এ মৌসুমে ভালো ফলন পেয়ে খুশি তারা। বর্তমান বাজার দরে কৃষকের লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার সদর উপজেলায় ৯ হাজার ৭‘শ হেক্টর, গাংনী উপজেলায় ১৩ হাজার ৬’শ ১০ হেক্টর এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৩ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর), সরেজমিনে মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ধান কেটে আঁটি বেঁধে কেউ মাথায় করে, আবার কেউ কাঁধে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বা আবার ধান কেটে শুকানোর জন্য জমিতে ফেলে রেখেছেন। কেউ কেউ সীমিত পরিসরে বাড়ির উঠানে করছেন ধান মাড়াইয়ের কাজ। এসব ধান নিয়ে কৃষকের যেমন ব্যস্ততা, তেমনি আনন্দও লক্ষ্য করা গেছে।
জেলার আমঝুপি, হিজুলী, ইসলামনগর, চাঁদবিল, আশরাফপুর, দফরপুর, রামকৃষ্ণপুর, মাইলমারী, হিন্দা, হাড়াভাঙ্গা, করমদী, হেমায়েতপুর, খড়মপুর, ধানখোলা, ষোলটাকা, চরগোয়াল গ্রাম ও মটমুড়া গ্রামের কয়েকজন ধান চাষীর সাথে কথা হলে তিনারা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭/১০ হাজার টাকা। যা বিক্রি করে কমপক্ষে ২০/২২ হাজার টাকা হতে পারে। তাছাড়া ধানের বিচালিও উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকরা আরো জানান, বিগত বছরগুলোতে অনাবৃষ্টি ও খরায় ধান পুড়ে গেলেও এবার আশানুরূপ ফলন হয়েছে। বাজার মূল্য ভালো থাকলে খরচ পুষিয়ে লাভবান হওয়া সম্ভব।
তাছাড়া চলতি বছর আমন চাষে জেলার কৃষকদের বড় কোনো প্রতিকূল আবহাওয়ার মোকাবেলাও করতে হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পোকা মাকড়ের আক্রমণ তুলনামূলক ভাবে কম থাকায় সবমিলিয়ে এবার আমনের ভালো ফলন হয়েছে।

মাজিদ আল মামুন
মেহেরপুর প্রতিনিধি
০১৯১৫৩৫১৪৯৮

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

“মেহেরপুরে আগাম ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ শুরু”

Update Time : ০৮:২৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

“মেহেরপুরে আগাম ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ শুরু”

স্টাফ রিপোর্টারঃ
পুরো অগ্রহায়ণ মাস মূলত আমন ধান কাটার মৌসুম। তবে কার্তিকেই মেহেরপুরে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। মাঠের সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন, এ মৌসুমে ভালো ফলন পেয়ে খুশি তারা। বর্তমান বাজার দরে কৃষকের লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার সদর উপজেলায় ৯ হাজার ৭‘শ হেক্টর, গাংনী উপজেলায় ১৩ হাজার ৬’শ ১০ হেক্টর এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৩ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর), সরেজমিনে মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ধান কেটে আঁটি বেঁধে কেউ মাথায় করে, আবার কেউ কাঁধে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বা আবার ধান কেটে শুকানোর জন্য জমিতে ফেলে রেখেছেন। কেউ কেউ সীমিত পরিসরে বাড়ির উঠানে করছেন ধান মাড়াইয়ের কাজ। এসব ধান নিয়ে কৃষকের যেমন ব্যস্ততা, তেমনি আনন্দও লক্ষ্য করা গেছে।
জেলার আমঝুপি, হিজুলী, ইসলামনগর, চাঁদবিল, আশরাফপুর, দফরপুর, রামকৃষ্ণপুর, মাইলমারী, হিন্দা, হাড়াভাঙ্গা, করমদী, হেমায়েতপুর, খড়মপুর, ধানখোলা, ষোলটাকা, চরগোয়াল গ্রাম ও মটমুড়া গ্রামের কয়েকজন ধান চাষীর সাথে কথা হলে তিনারা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭/১০ হাজার টাকা। যা বিক্রি করে কমপক্ষে ২০/২২ হাজার টাকা হতে পারে। তাছাড়া ধানের বিচালিও উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকরা আরো জানান, বিগত বছরগুলোতে অনাবৃষ্টি ও খরায় ধান পুড়ে গেলেও এবার আশানুরূপ ফলন হয়েছে। বাজার মূল্য ভালো থাকলে খরচ পুষিয়ে লাভবান হওয়া সম্ভব।
তাছাড়া চলতি বছর আমন চাষে জেলার কৃষকদের বড় কোনো প্রতিকূল আবহাওয়ার মোকাবেলাও করতে হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পোকা মাকড়ের আক্রমণ তুলনামূলক ভাবে কম থাকায় সবমিলিয়ে এবার আমনের ভালো ফলন হয়েছে।

মাজিদ আল মামুন
মেহেরপুর প্রতিনিধি
০১৯১৫৩৫১৪৯৮