Dhaka ০৯:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে খুন হওয়া কঙ্কালের পরিচয় মিলেছে,অঃপর  পি,বি,আইয়ের হাতে আসামি আটক। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৬৫৭ Time View

যশোরে খুন হওয়া কঙ্কালের পরিচয় মিলেছে,অঃপর  পি,বি,আইয়ের হাতে আসামি আটক। 

আঃজলিল,স্টাফ রিপোর্টারঃ–

যশোর শহরের পুরাতন কসবায় প্লাস্টিকের ড্রাম থেকে উদ্ধার সেই কঙ্কালের পরিচয় মিলেছে। কঙ্কাল উদ্ধারের পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় সনাক্ত করেছে যশোর পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। ছয় বছর আগে খুলনার দিঘলিয়ার চন্দোলি মহল এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে রাজীব হোসেন কাজীকে (৩২) হত্যার পর লাশ গুম করে দেয়া হয়েছিল। এ ঘটনার সাথে জড়িত সালাম (৫৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সালাম নড়াইলের লোহাগড়া থানার মঙ্গলহাটা গ্রামের মৃত নুর মিয়ার ছেলে। বর্তমানে যশোর সদরের কিসমত নওয়াপাড়া গ্রামের জনৈক আবদার ড্রাইভারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

পিবিআই যশোরের এসআই জিয়াউর রহমান জানান, গত ২০২২ সালের ৩০ মে যশোর শহরের পুরাতন কসবা নিরিবিলি এলাকা থেকে বজলুর রহমানের বাউন্ডারী দেয়া জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য ভাঙ্গার কাজ করে। এসময় পরিত্যক্ত পুরাতন টয়লেটের রিং স্লাবের কুয়ার ভিতর রাখা প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে থেকে রাজিবের হাড়গোড় ও মাথার খুলি পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর পিবিআই কর্মকর্তারা তদন্ত কাজ শুরু করেন। পরে তারা জানতে পারেন শহরের পুরাতন কসবা আবু তালেব সড়কের শেখ আজিজুল হকের ছেলে শেখ সজিবুর রহমান (৩৪) নিহত রাজিবের চাচা হাসমতের অফিসে কাজ করতেন।
২০১৬ সালের ২৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে রাজিব তার পিতাকে ফোন করে তাদের খুলনার বাড়িতে আসছে বলে জানায়। কিন্তু রাজিব খুলনায় তাদের বাড়িতে যায়নি। রাজিবে মা মাবিয়া বেগম ও চাচা হাসমত সজীবের বাসায় গিয়ে রাজিবের খোঁজ করলে সজীব জানায় রাজিব কোথায় গেছে সে তা জানে না। প্রয়োজনে মামলা করে ছেলেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দেন তিনি। দীর্ঘদিন পর গত বছরের ৩০ মে চাচা হাসমত রাজিবের পিতা ফারুক হোসেনকে ফোন করে জানাই যশোর শহরের পুরাতন কসবা নিরিবিলি এলাকায় টয়লেটের রিং স্লাবের কুয়ার মধ্যে থেকে মানুষের হাড়গোড় ও মাথার খুলি পাওয়া গেছে। শেখ সজীবুর রহমানের যেখানে অফিস ছিল সেখান থেকে মানুষের কঙ্কাল পাওয়া গেছে। রাজিব নিখোঁজ হওয়ার কিছুদিন পর সজীব তার অফিস ভেঙ্গে ফেলেছিল। ফারুক হোসেন তার ভাই হাসমতের কথা শুনে যশোরে আসে। ছায়া তদন্তকালীন সময়ে নিহত রাজিবের পিতা ফারুক হোসেন পিবিআই যশোর অফিসে এসে পুলিশ সুপারকে তার ছেলেকে সনাক্তকরণের জন্য অনুরোধ করে। পিবিআই যশোর কার্যালয়ে তিনি একটি জিডি করেন। যার জিডি নং-১৪৬, তাং ১২/০৯/২০২২।

জিডির সূত্র ধরে পিবিআই যশোর জেলার এসআই জিয়াউর রহমান রাজিবের পিতা ফারুক হোসেন এবং তার স্ত্রী মাবিয়া বেগমকে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ গ্রহণ করে কঙ্কালের সাথে তাদের পরিচয় সনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরে ডিএনএ পরীক্ষায় ড্রামের মধ্যে পাওয়া মানবদেহের কঙ্কালের সাথে ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী মাবিয়ার ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে যশোর সদরের কিসমত নওয়াপাড়ার আবদার ড্রাইভারের বাড়ির ভাড়াটিয়া সালামকে (৫৫) নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানায় পরিকল্পিভাবে রাজিবকে হত্যা করে শেখ সজিবুর রহমানের অফিসের টয়লেটের কুয়ার মধ্যে ফেলে দেয়। গতকাল আটক সালামকে যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালালের আদালতে সোপর্দ করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও প্রদান করে। মৃতদেহ বহনের কাজে ব্যবহৃত রিক্সা জব্দ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য অসামিদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রেরক,

আঃজলিল

বেনাপোলে বাংলাদেশ-ভারত  রিজিয়ন কমান্ডর পর্যায়ে বিজিবি ও বিএসএফের সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
আঃজলিল,স্টাফ রিপোর্টারঃ–
সৌহার্দ্য সম্প্রীতি ভ্রাতৃত্ব, নারী শিশু পাচার,সীমান্ত হত্যা রোধ নিয়ে  কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভারত বাংলাদেশ বিজিবি বিএসএফ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডর পর্যায়ের  সীমান্ত সম্মেলন। রোববার (১৮) জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টার সময় দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ এর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি ক্যাম্পে)  বেনাপোল কোম্পানী সদরে। এর আগে বেলা ১০ টার সময় বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্প সংলগ্ন নোম্যান্সল্যান্ডে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের উভয়ে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। এরপর বেনাপোল কোম্পানি সদরে বিএসএফ প্রতিনিধিদের গার্ড অব অর্নার করেন বিজিবি সদস্যরা।
বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ এর ১০ সদস্যর  (বিজিবির) পক্ষে নেতৃত্ব দেন খুলনা বিজিওনাল কমান্ডার মামুনুর রশিদ (পিএসসি) এসময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি কমান্ডিং অফিসার মোঃ কামরুল আহসান, সাহেদ মীনহাজ সিদ্দিকী,মোঃ তানভির রহমান,এ্যাডিশনাল  ডেপুটি এ্যাকশান কমান্ডিং অফিসার এস কে এম কফিল উদ্দিন,সৈয়দ আব্দুর রউফ,রিজাউল হান্নান শাহিন, সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, কোম্পানি কমান্ডার  আবু সাইদ সর্দার,ও আজমাল হোসেন।
অপরদিকে ভারতের ১১ সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডেপুটি ইন্সপেক্টর কমান্ডার জেনারেল, সেক্টর কমান্ডার কোলকাতার রাজেশ কুমার , কমান্ডিং অফিসার পিকে ত্রিপদি,অনুরাগ মনি.অলোক কুমার,নারায়ন চাঁদ.আব্দুল হান্নান খান, এইচ টি টুমার,স্টাফ অফিসার অভিনাশ কুমার, স্টাফ অফিসার পিকে ঠাকুর, কোম্পানি কমান্ডর নরেনদ্র  কুমার, অখিল আক্তার।
সম্মেলন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিজিবির প্রতিনিধিদলের প্রধান  খুলনা সেক্টার কমান্ডার মামুনুর রশিদ বলেন দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে সীমান্ত সংক্রান্ত সব সমস্যা সমাধানে উভয় বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর গুরুত্বারোপ করেন। বিএসএফ প্রতিনিধি দলের প্রধানও একই কথার পুনরাবৃত্তি করে সীমান্ত সমস্যা সমাধান ও সম্পর্ক উন্নয়নে এ ধরনের সীমান্ত সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
এছাড়া  সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা, গুলি, আহত, আক্রমণ, মাদক, নেশাজাতীয় দ্রব্য, মদ, অস্ত্র, গোলাবারুদ ইত্যাদি চোরাচালান রোধ, বিএসএফ,ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক সীমান্ত লঙ্ঘন,অবৈধ অতিক্রম,অনুপ্রবেশ, বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, যৌথ টহল এবং সীমান্ত চুক্তির সঠিক অনুসরণসহ পারস্পরিক আস্থাবৃদ্ধির বিষয়াদি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই বিরাজমান পারস্পরিক সৌহার্দপূণ সম্পর্ক বজায় থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রেরক,
আঃজলিল
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

যশোরে খুন হওয়া কঙ্কালের পরিচয় মিলেছে,অঃপর  পি,বি,আইয়ের হাতে আসামি আটক। 

Update Time : ০৭:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

যশোরে খুন হওয়া কঙ্কালের পরিচয় মিলেছে,অঃপর  পি,বি,আইয়ের হাতে আসামি আটক। 

আঃজলিল,স্টাফ রিপোর্টারঃ–

যশোর শহরের পুরাতন কসবায় প্লাস্টিকের ড্রাম থেকে উদ্ধার সেই কঙ্কালের পরিচয় মিলেছে। কঙ্কাল উদ্ধারের পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় সনাক্ত করেছে যশোর পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। ছয় বছর আগে খুলনার দিঘলিয়ার চন্দোলি মহল এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে রাজীব হোসেন কাজীকে (৩২) হত্যার পর লাশ গুম করে দেয়া হয়েছিল। এ ঘটনার সাথে জড়িত সালাম (৫৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সালাম নড়াইলের লোহাগড়া থানার মঙ্গলহাটা গ্রামের মৃত নুর মিয়ার ছেলে। বর্তমানে যশোর সদরের কিসমত নওয়াপাড়া গ্রামের জনৈক আবদার ড্রাইভারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

পিবিআই যশোরের এসআই জিয়াউর রহমান জানান, গত ২০২২ সালের ৩০ মে যশোর শহরের পুরাতন কসবা নিরিবিলি এলাকা থেকে বজলুর রহমানের বাউন্ডারী দেয়া জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য ভাঙ্গার কাজ করে। এসময় পরিত্যক্ত পুরাতন টয়লেটের রিং স্লাবের কুয়ার ভিতর রাখা প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে থেকে রাজিবের হাড়গোড় ও মাথার খুলি পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর পিবিআই কর্মকর্তারা তদন্ত কাজ শুরু করেন। পরে তারা জানতে পারেন শহরের পুরাতন কসবা আবু তালেব সড়কের শেখ আজিজুল হকের ছেলে শেখ সজিবুর রহমান (৩৪) নিহত রাজিবের চাচা হাসমতের অফিসে কাজ করতেন।
২০১৬ সালের ২৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে রাজিব তার পিতাকে ফোন করে তাদের খুলনার বাড়িতে আসছে বলে জানায়। কিন্তু রাজিব খুলনায় তাদের বাড়িতে যায়নি। রাজিবে মা মাবিয়া বেগম ও চাচা হাসমত সজীবের বাসায় গিয়ে রাজিবের খোঁজ করলে সজীব জানায় রাজিব কোথায় গেছে সে তা জানে না। প্রয়োজনে মামলা করে ছেলেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দেন তিনি। দীর্ঘদিন পর গত বছরের ৩০ মে চাচা হাসমত রাজিবের পিতা ফারুক হোসেনকে ফোন করে জানাই যশোর শহরের পুরাতন কসবা নিরিবিলি এলাকায় টয়লেটের রিং স্লাবের কুয়ার মধ্যে থেকে মানুষের হাড়গোড় ও মাথার খুলি পাওয়া গেছে। শেখ সজীবুর রহমানের যেখানে অফিস ছিল সেখান থেকে মানুষের কঙ্কাল পাওয়া গেছে। রাজিব নিখোঁজ হওয়ার কিছুদিন পর সজীব তার অফিস ভেঙ্গে ফেলেছিল। ফারুক হোসেন তার ভাই হাসমতের কথা শুনে যশোরে আসে। ছায়া তদন্তকালীন সময়ে নিহত রাজিবের পিতা ফারুক হোসেন পিবিআই যশোর অফিসে এসে পুলিশ সুপারকে তার ছেলেকে সনাক্তকরণের জন্য অনুরোধ করে। পিবিআই যশোর কার্যালয়ে তিনি একটি জিডি করেন। যার জিডি নং-১৪৬, তাং ১২/০৯/২০২২।

জিডির সূত্র ধরে পিবিআই যশোর জেলার এসআই জিয়াউর রহমান রাজিবের পিতা ফারুক হোসেন এবং তার স্ত্রী মাবিয়া বেগমকে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ গ্রহণ করে কঙ্কালের সাথে তাদের পরিচয় সনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরে ডিএনএ পরীক্ষায় ড্রামের মধ্যে পাওয়া মানবদেহের কঙ্কালের সাথে ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী মাবিয়ার ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে যশোর সদরের কিসমত নওয়াপাড়ার আবদার ড্রাইভারের বাড়ির ভাড়াটিয়া সালামকে (৫৫) নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানায় পরিকল্পিভাবে রাজিবকে হত্যা করে শেখ সজিবুর রহমানের অফিসের টয়লেটের কুয়ার মধ্যে ফেলে দেয়। গতকাল আটক সালামকে যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালালের আদালতে সোপর্দ করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও প্রদান করে। মৃতদেহ বহনের কাজে ব্যবহৃত রিক্সা জব্দ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য অসামিদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রেরক,

আঃজলিল

বেনাপোলে বাংলাদেশ-ভারত  রিজিয়ন কমান্ডর পর্যায়ে বিজিবি ও বিএসএফের সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
আঃজলিল,স্টাফ রিপোর্টারঃ–
সৌহার্দ্য সম্প্রীতি ভ্রাতৃত্ব, নারী শিশু পাচার,সীমান্ত হত্যা রোধ নিয়ে  কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভারত বাংলাদেশ বিজিবি বিএসএফ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডর পর্যায়ের  সীমান্ত সম্মেলন। রোববার (১৮) জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টার সময় দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ এর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি ক্যাম্পে)  বেনাপোল কোম্পানী সদরে। এর আগে বেলা ১০ টার সময় বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্প সংলগ্ন নোম্যান্সল্যান্ডে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের উভয়ে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। এরপর বেনাপোল কোম্পানি সদরে বিএসএফ প্রতিনিধিদের গার্ড অব অর্নার করেন বিজিবি সদস্যরা।
বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ এর ১০ সদস্যর  (বিজিবির) পক্ষে নেতৃত্ব দেন খুলনা বিজিওনাল কমান্ডার মামুনুর রশিদ (পিএসসি) এসময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি কমান্ডিং অফিসার মোঃ কামরুল আহসান, সাহেদ মীনহাজ সিদ্দিকী,মোঃ তানভির রহমান,এ্যাডিশনাল  ডেপুটি এ্যাকশান কমান্ডিং অফিসার এস কে এম কফিল উদ্দিন,সৈয়দ আব্দুর রউফ,রিজাউল হান্নান শাহিন, সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, কোম্পানি কমান্ডার  আবু সাইদ সর্দার,ও আজমাল হোসেন।
অপরদিকে ভারতের ১১ সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডেপুটি ইন্সপেক্টর কমান্ডার জেনারেল, সেক্টর কমান্ডার কোলকাতার রাজেশ কুমার , কমান্ডিং অফিসার পিকে ত্রিপদি,অনুরাগ মনি.অলোক কুমার,নারায়ন চাঁদ.আব্দুল হান্নান খান, এইচ টি টুমার,স্টাফ অফিসার অভিনাশ কুমার, স্টাফ অফিসার পিকে ঠাকুর, কোম্পানি কমান্ডর নরেনদ্র  কুমার, অখিল আক্তার।
সম্মেলন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিজিবির প্রতিনিধিদলের প্রধান  খুলনা সেক্টার কমান্ডার মামুনুর রশিদ বলেন দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে সীমান্ত সংক্রান্ত সব সমস্যা সমাধানে উভয় বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর গুরুত্বারোপ করেন। বিএসএফ প্রতিনিধি দলের প্রধানও একই কথার পুনরাবৃত্তি করে সীমান্ত সমস্যা সমাধান ও সম্পর্ক উন্নয়নে এ ধরনের সীমান্ত সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
এছাড়া  সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা, গুলি, আহত, আক্রমণ, মাদক, নেশাজাতীয় দ্রব্য, মদ, অস্ত্র, গোলাবারুদ ইত্যাদি চোরাচালান রোধ, বিএসএফ,ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক সীমান্ত লঙ্ঘন,অবৈধ অতিক্রম,অনুপ্রবেশ, বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, যৌথ টহল এবং সীমান্ত চুক্তির সঠিক অনুসরণসহ পারস্পরিক আস্থাবৃদ্ধির বিষয়াদি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই বিরাজমান পারস্পরিক সৌহার্দপূণ সম্পর্ক বজায় থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রেরক,
আঃজলিল