যশোরে র্যাব-৬ এর অভিযানে অপদ্রব্য মিশ্রিত ৩০ মন চিংড়ি জব্দ; এক ব্যক্তিকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
খুলনাঞ্চল চিংড়ির জন্য খুবই বিখ্যাত। জিআই পণ্য চিংড়ি বাংলাদেশের হোয়াইট গোল্ড হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। খুলনা হতে চিংড়ি দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ করা হয় এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিশয় মুনাফার লোভে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অপদ্রব্য পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করে আসছে ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চিংড়ির রং আকর্ষনীয় করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য (জেলি) পুশ করে মাছের ওজন বৃদ্ধি করতঃ অস্বাস্থ্যকর ভাবে উক্ত চিড়িং বাজারজাত করণের উদ্দেশ্যে শ্যামনগর থেকে শেরপুর নিয়ে যাচ্ছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ ২০.১০ ঘটিকা হতে অদ্য ১১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ ০০.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত আভিযানিক দলটি যশোর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার সমন্বয়ে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন মনিহার মোড়ে অস্থায়ী চেকপোষ্ট বসিয়ে চিংড়ি মাছ ভর্তি হিমেল সিমান্ত বাস থামিয়ে চেক করে। এ সময় উক্ত বাসে থাকা ককসিট ভর্তি ৩০ মন অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়ি মাছ পাওয়ায় মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা মোতাবেক মোবাইল কোর্টে হিমেল সীমান্ত পরিবহনের মালিক শ্রী অনিল বাচুকে ৩০,০০০/-(ত্রিশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড করা হয় এবং অপদ্রব্য পুশকৃত ৩০ মন চিংড়ি জব্দ করা হয়।
জব্দ কৃত চিংড়ি মাছ মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয় এবং জরিমানার অর্থ সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তি তাৎক্ষনিক প্রদান করায় সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।