“রংপুরের তাজহাট কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে নবান্নে পিঠা উৎসব”
রউফুল আলম, ব্যুরো চীফ, রংপুরঃ
হেমন্তের শীত শীত সকালে মাটির চুলায় ঢেঁকিতে ভানা নতুন চালের গুঁড়া দিয়ে হরেক রকমের পিঠা তৈরি করেন গ্রামের গৃহস্থ ঘরের নারীরা। সেগুলো খেয়ে দিন শুরু হয় পরিবারের সদস্যদের।এ উৎসব একান্তভাবেই বাঙালির উৎসব। শীত-গ্রীষ্মের সকালগুলো মুখর ও আনন্দময় হয়ে ওঠে নানা রকম পিঠার অনন্য স্বাদে। কিন্তু বর্তমানে নানা ধরণের ফাস্ট ফুডের জোয়ারে আমরা গ্রাম বাংলার পিঠার কথা ভুলতেই বসেছি। সেই ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে দেশে এখন নানা ধরনের পিঠা উৎসব হয়।
এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রংপুরের তাজহাট কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে হয়ে গেল নবান্নে পিঠা উৎসব।কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট এর সহযোগিতায় বিভিন্ন পর্বের আয়োজনে ৬ টি স্টলে হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছিল শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কেউ বানিয়েছেন দুধপুলি পিঠা, পুলি পিঠা কেউবা পাঠি সাপটা, জামাই পিঠা, বেনি পিঠা, পাকান পিঠা,কমলা সুন্দরী, তালের বড়া, নকশী পিঠা, সেমাই পুলি পিঠা, রস পিঠা, সবজি পাকান, ডিম পিঠা, ক্ষীর পুলি পিঠা, দুধ চিতই পিঠা, সুজি পিঠা, ডিমসুন্দরী পিঠা, নারিকেল পুলি পিঠাসহ নানা নামের ও রঙয়ের মুখরোচক পিঠা।
সকালে পিঠা উৎসবের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন,অধ্যক্ষ মোঃ শামসুদ্দিন মিঞা। তিনি জানান,আবহমান কাল থেকে বাঙালির ঘরে ঘরে এ পিঠা উৎসব বিশেষ আবহের সৃষ্টি করে আসছে। এ ধরনের নান্দনিক আয়োজন পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে। এ পিঠা উৎসব তরুণ প্রজন্মের কাছে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মূখ্য প্রশিক্ষক কৃষিবিদ মোঃমাসুদুর রহমান সরকার, কৃষিবিদ অশোক কুমার রায়,উর্ধ্বতন সিফাত আরা,অতিরিক্ত কৃষি অফিসার (সংযুক্ত) মল্লিকা রানী,প্রশিক্ষক শরীফা জান্নাত,রাফিকা আক্তার,ফারহানা ইয়াসমিন, মাহফুজা খানম,মোঃ আশরাফ সিদ্দিকী, এসএআই শামছুন্নাহার,মায়া রানী, মোছাঃ রেজওয়ানা বেগম প্রমূখ।পরে তারা পিঠা উৎসবের স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।
মোঃ রউফুল আলম
রংপুর
০১৭১৭৭৫৭৭১০
তারিখঃ ২৪/১১/২২