রঙিন আলোয় সেজেছে এবারের বইমেলা।
চলছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৩। দীর্ঘ ৩ বছর পর আমাদের ঐতিহ্যবাহী মেলা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে থেকে আরম্ভ হয়েছে। মেলা উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। মেলা শুরুর দিন থেকেই পাঠক মহলে রয়েছে উৎসবের আমেজ। তবে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ না থাকলেও অনেকেই বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করেছেন। স্টলে বই দেখছেন বইপ্রেমীরা। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তোলা ছবি।
বইমেলার প্রতিটি স্টল সেজেছে রঙিন আলোয়। রংতুলির ছোঁয়ায় প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে স্টলগুলো। প্রতিটি স্টলে বই সাজানো শেষ। এখন কর্মীরা পাঠকের পছন্দের বই তাদের হাতে তুলে দিতে ব্যস্ত। অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ চলছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ জুড়ে। সাথে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুবিশাল জায়গা নিয়ে আয়োজিত এ বর্ণাঢ্য মেলা। শাহবাগ থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
দীর্ঘ ৩ বছর পর ঐতিহ্যবাহী মেলা, প্রাণের বইমেলার পর্দা উঠছে। গত কয়েক বছর কিছুটা অগোছালোভাবে মেলা শুরু হয়। ২০২১ সালে করোনা মহামারীর প্রকোপে কাঁপছিল সারাদেশ। তারই মধ্যে ১৮ মার্চ থেকে আরম্ভ হয়েছিল বইমেলা। এরপর গত বছর, ২০২২ এ ১৫ ফেব্রুয়ারি বইমেলার পর্দা উন্মোচিত হয়। এর আগে ২০২০ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কারণে ১ দিন দেরিতে ২ ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবার নির্ধারিত সময়ে বইমেলার সূচনা ঘটাতে অনেক পাঠকই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। আর করোনা ভাইরাসের প্রকোপ না থাকায় নেই কোন অতিরিক্ত বিধিনিষেধ। এজন্য পাঠক মহলে বইছে আনন্দের সুবাতাস।
অ্যাডভোকেট সোয়াদ খান নামে এক পাঠকের কাছে এবারের বই মেলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতি বছর হাজির হন পরিবার নিয়ে। গত দুবছর আসতে পারেননি করোনা মহামারীর কারণে। এবার পরিস্থিতি অনেকটা অনুকূলে । মেলার স্টল বিন্যাস দেখেও খুশি।
এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৬০১টি প্রতিষ্ঠান ৯০১টি ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছে। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট দেওয়া হয়েছে। রয়েছে ৩৮টি প্যাভিলিয়ন।
মেলায় প্রথম দিন থেকে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সাফল্য প্রকাশনীর স্টল থেকে প্রকাশক ফজলে রাব্বি জানালেন, প্রথম দিন থেকেই অনেক পাঠকের উপস্থিতি আমাদের আনন্দিত করেছে। বেচাকেনাও চলছে বেশ ভালো। তবে কাগজ, বাঁধাই সহ নানা অনুসঙ্গের দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই তুলনায় বইয়ের দাম বৃদ্ধি করতে পারিনি। তাই গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে বইয়ের ব্যবসায়ীদের জন্য সরকার থেকে কোন ধরনের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা গেলে এই শিল্পের প্রভূত উন্নতি সাধিত হবে।