রমজানকে সামনে রেখে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।
শামীম সরকার, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুসলমানদের পবিত্র মাস মাহে রমজান শুরুর এখনো ২৭দিন বাকি থাকলেও দেশে খোলা বাজারে বাড়তে শুরু করেছে , ছোলার দাম। মাস খানেক আগেও ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা থেকে ৮৪ টাকা কেজি দরে।
এখন ভালো মানের ছোলা কেজি ৯৫ টাকা এবং কিছুটা দুর্বল মনের ছোলা কেজি ৮৮ টাকা থেকে ৯০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় খোলাবাজারে বোতলজাত সয়াবিনের দাম না বাড়লেও
বেড়েছে খোলা পর্যায়ের পামওয়েল ও সয়াবিন তেলের দর। সরকার নির্ধারিত সর্বশেষ অনুযায়ী খোলা সয়াবিন তেলের লিটার ১৬৭ টাকা এবং পাম অয়েল তেলের লিটার ১১৭টাকা দরে বিক্রি হওয়ার কথা কিন্তু দুই সপ্তাহ ধরে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা থেকে ১৭৪টাকা এবং পাম তেল ১২০থেকে ১৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হোসেনপুর পুমদী এলাকায় মুদির দোকানদার আল আমিন ভূঁইয়া বলেন,খোলা তেলের দাম পাইকারিতে বেড়ে যাওয়াই খুচরা ব্যবসায়ীদের ও বাড়তি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া বোতলজাত তেলের মোড়কে দাম না বাড়ানো হলে ও পাইকারি পর্যায়ে বেড়েছে। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরা কম লাভ করে বোতলের গায়ে লেখা দামে বিক্রি করছে।
চিনির বাজারে টালমাটাল পরিস্থিতি এখনো থিতু হয়নি। সরকারি সংস্থাগুলো অভিযানের ভয় বাজারে এরকম লুকিয়ে বিক্রি হচ্ছে প্যাকেট জাত চিনি। দোকানিরা পরিচিত ক্রেতাদের কাছে ১২০ টাকা দরে চিনি বিক্রি করছেন।
যদিও প্যাকেটের লেখা ১১২ টাকা।
এছাড়া খোলা চিনি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। তবে আগের মতো সব দোকানে চিনির পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখা যায়নি।
ব্রয়লারও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে, চালের বাজারে উল্টা বাক।কাঁচামরিচের দাম তিন চারদিন ধরে বাড়তি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৫০টাকা দরে এদিকে শীতের সবজির মৌসুম প্রায় শেষ বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি ঢুকছে। তবে সেগুলোর দাম চড়া।
ব্রয়লার মুরগী ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। গত দুই তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে২০০টাকা থেকে ২১০টাকা এবং ফার্মের ডিমের ওজন পাঁচ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা হোসেনপুরে ব্রয়লারের দাম কমলেও আগের মতোই বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে সোনালী মুরগি
প্রতি কেজি গুনতে হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। সপ্তাহ দুয়েক ধরে বাড়ছে গরুর মাংসের দামও। পাড়া-মহল্লার দোকানে কেজি কিনতে হচ্ছে ৭০০থেকে ৭২০ টাকা দরে।
শীতের সবজি মৌসুম প্রায় শেষ। বাজারে গৃষ্ম কালীন সবজি ঢুকছে। তবে সেগুলোর দাম ছড়া। এর মধ্যেই ঝিঙ্গে ভটভটি টাকা করোল্লা পটল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা পটল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে।
এবছর ভরা মৌসুমে চালের দাম কমেনি উল্টা বেড়েছে। দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার কয়েকদফা শুকনো কমিয়ে আমদানির অনুমতি দেয়। প্রতি কেজিতে ২টাকা বেড়েছে মোটা চাল (স্বর্ণা) বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা দরে। গত সপ্তাহে এ ধরনের চালের দাম ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। মাঝারি (পায়জাম, লতা, বিআর-২৮) চালের কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং সরু চালের (মিনিকেট) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে মাঝারি চাল ৫৪ থেকে ৫৮ এবং সরু চাল ৬২ থেকে ৭২ টাকা কেজি হোসেনপুরের ব্যবসায়ীরা জানান, চালের দাম বেড়েছে এটা বলা ঠিক হবে না। ২ এক টাকা মাঝে মধ্যে ওঠানামা করে।
মাসখানেক ধরে আটা ও ময়দার দাম সামান্য কমেছে।
শিরোনাম :
রমজানকে সামনে রেখে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।
- Reporter Name
- Update Time : ০৯:০৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- ৩৪৩ Time View
Tag :
আলোচিত