Dhaka ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রসুন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলায় কৃষকেরা।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০১:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
  • ৭৪৩ Time View

রসুন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
শফিকুল ইসলাম সোহাগ,  দিনাজপুর –
দিনাজপুরে আগাম রসুন রোপন শুরু করেছেন কৃষকেরা এ জেলায় ধান লেচুর আলু ভুট্টার মতই রসুন চাষ হয়ে থাকে।দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলায় কৃষকেরা আগাম  রসুন চাষাবাদ শুরু করছেন।  এ উপজেলায় ভালো রসুন চাষাবাদ হয়ে থাকে বলে জানা গেছে  উত্তর অঞ্চলের সব থেকে বড় রসুনের হাট উপজেলা কাচিনিয়া বাজারে হয়ে থাকে  বর্তমানে কৃষকরা রসুন আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩১৫০ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম না পেলেও এ বছর ভালো ফলনের আশায় কৃষকরা রসুন চাষে ঝুঁকছেন। সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবার উপজেলায় রসুনের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
কৃষকরা জানান, ভালো লাভের আশায় অনেকে জমি বর্গা নিয়ে রসুন চাষ করেছেন। গত দুই বছর আগে যেখানে রসুন প্রতি মণের দাম ৪ হাজার থেকে ৪.৫০০  টাকা করে ছিল। সেখানে গত বছর ৪৫০০- ৫০০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আগ্রা গ্রামের কৃষক আমিন জানান, এক বিঘা (৫০ শতক) জমিতে রসুন লাগাতে বীজ ১২ হাজার, জমি তৈরিতে ৩ হাজার ২০০ টাকা, শ্রমিক ৪ হাজার ৫০০ টাকা, সার ১০ হাজার টাকা, নিড়ানি ২ হাজার টাকা ও ৪ হাজার টাকা উত্তোলন ৩ হাজার টাকা লাগে। সব মিলে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়।
উপজেলার খামার পাড়া গ্রামের রসুনচাষি ইয়াকুব আলী জানান, রসুনের দাম না পেলেও এ বছর অনেক আশা নিয়ে এক একর জমিতে রসুন লাগাচ্ছি। এ বছর রসুনের ভালো ফলন হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। উপজেলার সবচেয়ে বেশি রোপন হয় গুলিয়ারা গ্রামে, এছাড়াও আগ্রা, সাহাপাড়া, খলিল হাজী পাড়া, রামনগর, চাকিনিয়া, দেলুগাঁও, মারগাঁও, পাঠান পাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে। গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও উপজেলার কৃষকরা ব্যাপক হারে এবং গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি রসুন আবাদ বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব জানান, বর্তমানে উপজেলার কৃষকদের কাছে রসুন প্রধান অর্থকারী ফসল হয়ে উঠেছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে। তাই এবার রসুনের ভালো ফলন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

রসুন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলায় কৃষকেরা।

Update Time : ০৮:০১:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

রসুন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
শফিকুল ইসলাম সোহাগ,  দিনাজপুর –
দিনাজপুরে আগাম রসুন রোপন শুরু করেছেন কৃষকেরা এ জেলায় ধান লেচুর আলু ভুট্টার মতই রসুন চাষ হয়ে থাকে।দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলায় কৃষকেরা আগাম  রসুন চাষাবাদ শুরু করছেন।  এ উপজেলায় ভালো রসুন চাষাবাদ হয়ে থাকে বলে জানা গেছে  উত্তর অঞ্চলের সব থেকে বড় রসুনের হাট উপজেলা কাচিনিয়া বাজারে হয়ে থাকে  বর্তমানে কৃষকরা রসুন আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩১৫০ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম না পেলেও এ বছর ভালো ফলনের আশায় কৃষকরা রসুন চাষে ঝুঁকছেন। সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবার উপজেলায় রসুনের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
কৃষকরা জানান, ভালো লাভের আশায় অনেকে জমি বর্গা নিয়ে রসুন চাষ করেছেন। গত দুই বছর আগে যেখানে রসুন প্রতি মণের দাম ৪ হাজার থেকে ৪.৫০০  টাকা করে ছিল। সেখানে গত বছর ৪৫০০- ৫০০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আগ্রা গ্রামের কৃষক আমিন জানান, এক বিঘা (৫০ শতক) জমিতে রসুন লাগাতে বীজ ১২ হাজার, জমি তৈরিতে ৩ হাজার ২০০ টাকা, শ্রমিক ৪ হাজার ৫০০ টাকা, সার ১০ হাজার টাকা, নিড়ানি ২ হাজার টাকা ও ৪ হাজার টাকা উত্তোলন ৩ হাজার টাকা লাগে। সব মিলে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়।
উপজেলার খামার পাড়া গ্রামের রসুনচাষি ইয়াকুব আলী জানান, রসুনের দাম না পেলেও এ বছর অনেক আশা নিয়ে এক একর জমিতে রসুন লাগাচ্ছি। এ বছর রসুনের ভালো ফলন হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। উপজেলার সবচেয়ে বেশি রোপন হয় গুলিয়ারা গ্রামে, এছাড়াও আগ্রা, সাহাপাড়া, খলিল হাজী পাড়া, রামনগর, চাকিনিয়া, দেলুগাঁও, মারগাঁও, পাঠান পাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে। গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও উপজেলার কৃষকরা ব্যাপক হারে এবং গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি রসুন আবাদ বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব জানান, বর্তমানে উপজেলার কৃষকদের কাছে রসুন প্রধান অর্থকারী ফসল হয়ে উঠেছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে। তাই এবার রসুনের ভালো ফলন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।