Dhaka ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজউকের পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ!

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ৯৪ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আলোচিত–সমালোচিত কর্মকর্তা পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম । ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ওপরমহলের আশীর্বাদে তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়ম না মানা, ইচ্ছেমতো অফিস করা, অনৈতিক সুবিধা নেওয়া, লেকের অংশ কেটে প্লট করা, ঘুষ দাবিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজউকে দাপট দেখানোর অভিযোগ রয়েছে পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে।গোপালগঞ্জের বাসিন্দা শেখ শাহিন রাজউকের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পূর্বাচলের পরিচালক (এস্টেট) হিসেবে ২০১৫ সালে দায়িত্বে আসেন। সম্প্রতি তাঁকে অন্যত্র বদলি করা হয়। তিনি অফিস সহকারী থেকে পদোন্নতি পেয়ে পরিচালক হয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, শেখ শাহিন ইচ্ছেমতো অফিস করতেন। মোবাইলও বন্ধ রাখতেন। ফলে সেবাপ্রত্যাশীরা তাঁকে পেতেন না। পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ পাওয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির লিখিত অভিযোগ করেন শেখ শাহিনের বিরুদ্ধে। আবুল হাসেম খন্দকার নামের আরেক ব্যক্তিও মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবির অভিযোগ আনেন। অভিযোগ অনুযায়ী, নথি ঠিক করার জন্য তাঁর কাছে ২ কোটি টাকা ঘুষ দাবি করা হয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় শেখ শাহিন তাঁর নথি দেড় বছরের বেশি সময় আটকে রাখেন।শেখ শাহিনের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে পরিচিত একটি কেমিক্যাল কোম্পানির নির্বাহী পরিচালককে নিজ দপ্তরে মারধরের অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে রাজউকে শেখ শাহিনকে তাঁর দপ্তরে পাওয়া যায়নি। দপ্তরের এক কর্মচারী জানান, রাজনৈতিক ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর শেখ শাহিন বেশ কিছু দিন ধরে অফিসে আসছেন না। পরে শেখ শাহিনের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

রাজউকের পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ!

Update Time : ১১:০৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আলোচিত–সমালোচিত কর্মকর্তা পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম । ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ওপরমহলের আশীর্বাদে তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়ম না মানা, ইচ্ছেমতো অফিস করা, অনৈতিক সুবিধা নেওয়া, লেকের অংশ কেটে প্লট করা, ঘুষ দাবিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজউকে দাপট দেখানোর অভিযোগ রয়েছে পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে।গোপালগঞ্জের বাসিন্দা শেখ শাহিন রাজউকের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পূর্বাচলের পরিচালক (এস্টেট) হিসেবে ২০১৫ সালে দায়িত্বে আসেন। সম্প্রতি তাঁকে অন্যত্র বদলি করা হয়। তিনি অফিস সহকারী থেকে পদোন্নতি পেয়ে পরিচালক হয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, শেখ শাহিন ইচ্ছেমতো অফিস করতেন। মোবাইলও বন্ধ রাখতেন। ফলে সেবাপ্রত্যাশীরা তাঁকে পেতেন না। পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ পাওয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির লিখিত অভিযোগ করেন শেখ শাহিনের বিরুদ্ধে। আবুল হাসেম খন্দকার নামের আরেক ব্যক্তিও মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবির অভিযোগ আনেন। অভিযোগ অনুযায়ী, নথি ঠিক করার জন্য তাঁর কাছে ২ কোটি টাকা ঘুষ দাবি করা হয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় শেখ শাহিন তাঁর নথি দেড় বছরের বেশি সময় আটকে রাখেন।শেখ শাহিনের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে পরিচিত একটি কেমিক্যাল কোম্পানির নির্বাহী পরিচালককে নিজ দপ্তরে মারধরের অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে রাজউকে শেখ শাহিনকে তাঁর দপ্তরে পাওয়া যায়নি। দপ্তরের এক কর্মচারী জানান, রাজনৈতিক ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর শেখ শাহিন বেশ কিছু দিন ধরে অফিসে আসছেন না। পরে শেখ শাহিনের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়।